বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫

সেই বুড়ো মানুষটির জন্য ।। মীনাক্ষী বুঢ়াগোঁহাই ।। মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ বাসুদেব দাস, অনুবাদ গল্প

 সেই বুড়ো মানুষটির জন্য

 মীনাক্ষী বুঢ়াগোঁহাই

মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ বাসুদেব দাস



  গড়িয়া পুকুরে বড়শি বেয়ে থাকা দিগন্তকে দাদুল দূর থেকে চিৎকার করে বলল,’ এই দিগন্ত, রত্ন মাস্টার মারা গেছে ,জানিস কি?’ ঘন্টা দুয়েক আগে এদিক দিয়ে মাস্টার মাঠের উদ্দেশ্যে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল নাকি? তখন দিগন্ত বড়শির সাজসরঞ্জাম তৈরি করতে ব্যস্ত ছিল। কীভাবে মানুষটার মৃত্যু হল বলে জিজ্ঞেস করবে ভাবতে ভাবতেই দাদুল অনেক দূরে চলে গেল।ফোর জিরো সেভেন বুড়োকে ধাক্কা মেরেছে নাকি ?

 তাড়াতাড়ি করে দিগন্ত বড়শি গুছিয়ে রাখতে লাগল। সে যখন রত্নমাস্টারের বাড়ির কাছে গিয়ে পৌঁছাল , তখন জায়গাটা মানুষে ভরে পড়েছে। মাস্টারের ঘরের দরজার সামনে, ভেতরে বাইরে কেবল মানুষই মানুষ ।এতগুলি মানুষ এত তাড়াতাড়ি কীভাবে জানতে পারল যে রত্ন মাস্টারের মৃত্যু হয়েছে ।শোবার ঘর থেকে হাজরিকা ডাক্তার চোখের জল মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসছে। পেছন পেছন মাথা নিচু করে শইকীয়া কম্পাউন্ডার।ডাক্তারও কাঁদে? দিগন্তের মনে মনে হাসি পেয়ে গেল। রত্নমাস্টারের বড়ো ছেলে এবং হাজরিকা ডাক্তার স্কুলে একসঙ্গে পড়াশোনা করা, সেই জন্যই মানুষকে দেখিয়ে কাঁদছে বোধ হয়।

 কী হয়ে মানুষটার মৃত্যু হল জিজ্ঞেস করবে বলে ভেবেও সে জিজ্ঞেস করার মতো আশেপাশে কাউকে দেখতে পেল না। প্রত্যেকেই ভদ্র ঘরের মানুষ। দুই একজন অপরিচিত মানুষও রয়েছে। তখনই দূরে শৈলেনকে দেখতে পেয়ে সে কাছে এগিয়ে গেল। শৈলেনের হাতে চিমটি কেটে সে জিজ্ঞেস করল,’ কী হয়েছিল রে? আমি ভালো করে জানি না বুঝেছিস।’ হার্ট ফেল’ করেছে বলে শুনেছি।’

 ‘ হার্টফেল ?অন্তরে কোনো আঘাত পেলে তবে হে হার্টফেল করবে ।দিগন্ত শৈলেন কে বুঝানোর চেষ্টা করল। শৈলেন কী জানি বলে অন্য মানুষের ভিড়ের দিকে এগিয়ে গেল। দিগন্ত এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়াতে লাগল।রত্নমাস্টারের স্ত্রী হাউ মাউ করে চিৎকার করতে থাকবে বলে সে ভেবেছিল। কিন্তু ভেতর থেকে কারও কান্না ভেসে আসছে না। কোনো ধরনের কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে না, কেবল গহীন গম্ভীর মানুষগুলি জমায়েত হয়ে রয়েছে। ধুর এটা কি মরা মানুষের ঘর? শৈলেনের কাছে গেল।’ দিদি বাড়িতে নেই নাকি? সে শৈলেনকে জিজ্ঞেস করল।

 রত্নমাস্টারের স্ত্রী এই অঞ্চলের প্রত্যেকেরই দিদি।উনিশশো একান্ন না বাহান্ন সনে তিনি এই অঞ্চলে মেট্রিক পাশ করা প্রথম মেয়ে। সেই তখন থেকে ছেলে বুড়ো প্রত্যেকেরই তিনি দিদি এবং এখন তার নাতি নাতনির বয়সের ছেলেমেয়েরাও তাকে দিদি বলেই ডাকে। নিজের সম্পর্কের মানুষগুলি ছাড়া অন্যেরা যদি তাকে কাকিমা মাসি বলে সম্বোধন করে, তখন তিনি খুব একটা খুশি হন না। বিশেষ করে কেউ যদি তাকে বড়োমা বা মাসি বলে ডাকে তাকে নির্ঘাত গালি খেতে হবে।—মাসি বলে ডাকা ছেলেটিকে বলবে—’ এই আমি তোর মায়ের দিদি নাকি? তোর মায়ের আগে জন্ম হয়েছিল না আমার আগে হয়েছিল— তুই দেখেছিলি নাকি পুনরায় বড়মা ডাকা ছেলেটিকে বলবে আমাদের মাস্টারকে বুড়ো পেয়েছিস নাকি যে আমি তোর বড়োমা হব। কেউ বুড়ি বলে মন্তব্য করলে তো তার অবস্থা শেষ ।

 দিগন্ত যদিও তার নাতি তথাপি মানুষটার স্বভাবটা জানে বলে সে শৈলেনের সামনে দিদি নাই নাকি বলে জিজ্ঞেস করল । শৈলেন বলল না দিদি গতকাল অরুণা দিদির বাড়িতে গিয়েছে। অরুণা দিদি মানে রত্নমাস্টারের বড়ো মেয়ে, কোনো একটি কলেজের অধ্যাপিকা— অঞ্চলের প্রথম এমএ,তাই তিনি সকলেরই দিদি। দিগন্ত এবার আশ্বস্ত হল।

 রত্নমাস্টার এবং দিদি ছাড়া এই প্রকাণ্ড বাড়িটাতে এখন কেউ থাকে না। তারা দুজনের মধ্যে একজন একজন করে কোথাও মানে ছেলেমেয়ের বাড়িতে গিয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই রত্নমাস্টারের আকস্মিক মৃত্যুর জন্য আশেপাশের প্রত্যেকেই বিমূঢ় হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীরা। তাকেই প্রত্যেকে এটা কর,ওটা কর বলে চলেছে। কেউ বলছে— কাউকে পাঠিয়ে দে,কেউ বলছে ওয়ারলেস মেসেজ কর, আবার কেউ বলছে ছেলেদের ফোন নাম্বার খুঁজে দেখ, মারা গেছে বলে দে।তার মধ্যে আবার কেউ বলছে বড়ো ছেলেকে খবর দিলেই হবে— তার কাছ থেকেই বাকি সবাই জানতে পারবে ।মোটকথা চারপাশে মৃদু গুঞ্জন, চাপা উত্তেজনা।

 রত্নমাস্টারের সম্পর্কীয় ভাই চন্দ্রের চোখ হঠাৎ দিগন্তের উপরে পড়ল। ও, তুইও এসেছিস। অন্যেরা কেউ না এলে মুখাগ্নি করার দায়িত্বটা তুই পাবি, থাক থাক।’ বলে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল। দিগন্তের শরীরটার মধ্যে যেন বিছা লেগেছে। সে সেখান থেকে চলে আসবে বলে ভাবল, কিন্তু এতগুলি মানুষের আকর্ষণ তাকে বেঁধে রাখল।

  এই বাড়ির ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী দিগন্তই হত। আজ এতগুলি মানুষের মধ্যে রত্নমাস্টারের একমাত্র আত্মীয় সেই। কিন্তু সেই আত্মীয়তা সমাজ স্বীকৃত নয়,, যার জন্য দিগন্তও এই মানুষগুলির সঙ্গে সাধারণ হয়ে রত্নমাস্টারের মৃতদেহটা ঘিরে আছে।

রত্ন মাস্টার মানুষের সামনে বলেছিল,’ সেই মেয়েটি বললেই হবে দিগন্ত আমার নাতি সে যে আমার নাতি তার লক্ষণ কিছু আপনারা দেখেছেন কি? তার চেহারাতেই রয়েছে নাকি তার বুদ্ধিবৃত্তিতে রয়েছে? আমার ছেলে মেয়েদের কেউ কোথাও সেকেণ্ড ডিভিসন পেয়েছে কি? সেই দিগন্ত নামে ছেলেটি –ক্লাস সেভেনে যে তিনবার ফেইল করেছে সে আমার নাতি হতে পারে কি?’রত্নমাস্টারকে সবসময় ঘিরে থাকা তাঁর গুণমুগ্ধরা তাঁর অন্য কথাতেও যেমন সায় দেয় সেভাবে এই কথাতেও সায় দিয়েছিল।

 কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য বা নেতা না হয়েও এই অঞ্চলে রত্নমাস্টারের প্রতিপত্তি অসীম। জীবনের মধ্যভাগ পর্যন্ত তিনি অবশ্য এত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন না। একটি সামান্য হাইস্কুল খুলে তেমনই সমাজসেবা এবং জীবনসংগ্রাম আরম্ভ করেছিলেন। প্রচুর অভিজ্ঞতা এবং কঠোর শ্রমে তিনি স্কুলটা উজ্জীবিত করে তোলার সঙ্গে অঞ্চলটির উন্নয়নশীল কাজকর্মে এভাবে জড়িত হয়ে পড়লেন যে তাকে বাদ দিয়ে সেই অঞ্চলের জনগণ অন্য মানুষের কথা ভাবতেই পারে না।

 সেই প্রতিষ্ঠিত ,প্রতিপত্তিশীল রত্নমাস্টারের বড়োছেলের সঙ্গে বদনাম হল তরুলতা নামের সাধারণ ঘরের সাধারণ একটি মেয়ের। মাস্টারের ছেলেটি তখন ইঞ্জিনিয়ারিঙের প্রথম সেমিস্টারে। কিন্তু সে সেই সময়ে কোনোমতেই স্বীকার করল না যে তরুলতার গর্ভের সন্তানটির সেই পিতা। সে মাত্র বলেছিল যে ইঞ্জিনিয়ারিঙের টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে আসার পরে সে তরুর সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিল এবং ওদের একসঙ্গে থাকতে অন্য মানুষেরাও দেখেছিল। কিন্তু এই ধরনের সাংঘাতিক কিছু একটা ? না, না –মোটকথা জয়ন্ত জনসভায় না থেকে হ্যাঁ করল না।সেদিন তরুলতা কেবল চোখের জল ফেলতে ফেলতে তার দিকে একবার অঙ্গুলি নির্দেশ করল। তারপর থেকে সে সেই যে নিশ্চুপ হয়ে পড়ল এখনও সেই নিশ্চুপই রয়েছে।

 বর্তমানে তার সমস্ত কাজকর্ম ,চিন্তাধারা দিগন্তকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে জয়ন্ত ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে ,ঘর-সংসার করে বৈধ পিতৃ্ত্বের অধিকারীও হয়েছে ।

 আর দিগন্ত রত্নমাস্টারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিগন্ত নামের ছোটোখাটো গাধা ছেলেটি মাস্টারের জীবনবৃত্তের চারপাশে ঘুরতে থাকল।

 দিগন্তের জীবনের এই সতেরোটা বছর কেবল রত্নমাস্টার নামে মানুষটার কথা ভাবতেই পার হয়ে গেল। আশ্চর্যের কথা । তার ক্ষুদ্র জীবনের সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্নার কথা সে রত্নমাস্টারকে বোঝাতে চায়,দেখাতে চায় । সারাদিনে একবার রত্নমাস্টারকে না দেখলে তার ভালো লাগে না। এমন কী নতুন কাপড় পরলেও সে রত্নমাস্টারের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। তার জীবনের সবচেয়ে ইম্পরটেন্ট ব্যক্তিটিই হলেন রত্নমাস্টার। সে মাস্টারের চোখের সামনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেখাতে চাইছিল। কিন্তু হঠাৎ রত্নমাস্টারের মৃত্যু ঘটায় সবকিছুই কেমন যেন উলোট পালট হয়ে গেল।

 দিগন্ত মাঝে মধ্যে একা কথা বলে। অন্যের চোখে একা একা কথা বলা মনে হলেও আসলে দিগন্ত কল্পনায় রত্নমাস্টারের সঙ্গে কথা বলে। তার অজান্তে সে রত্নমাস্টারকে বলতে চাওয়া কথাগুলি তার মুখ দিয়ে শব্দ করে বেরিয়ে যায়। তরুলতা এই মুহূর্তগুলিতে তাকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কী আছে রত্নমাস্টারের শরীরে? দিগন্ত যে সেই মানুষটাকে এত গুরুত্ব দেয়। অথচ সে যে মানুষটাকে ভালোবাসে তা তো নয়। দিগন্তের বন্ধুরা দিগন্তের একমাত্র শত্রু বলতে রত্নমাস্টারকে বোঝে।

 আসলে মানুষের জীবনে শত্রু বলে ভাবা ব্যক্তিটিই বোধহয় জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।মানুষ শত্রুর চোখের সামনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে শত্রুর অন্তরে জ্বলনের সৃষ্টি করতে চায়। সেই শত্রুর মৃত্যুর পরে কাকে দেখাবে নিজের ঐশ্বর্য ,সুখ-শান্তি ?প্রেমিকা এবং শত্রুর মধ্যে পার্থক্য কি?ঘুম থেকে জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কার কথা ভাবা হয় ? শত্রুর না প্রিয়জনের?দুটিই দেখছি একাকার হয়ে যায়। রত্নমাস্টারের মৃত্যুতে দিগন্ত যেন হঠাৎ নিঃস্ব হইয়ে পড়ল।

 দিগন্ত বাড়ি এল।মাকে খবরটা দেওয়ার পরে মা তার চোখের দিকে একদৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। তারপরে স্বাভাবিক ভাবেই নিজের অর্ধ সমাপ্ত ঘরোয়া কাজগুলি করতে লাগল।

 দিগন্ত নিজের চারপাশটা ভালোভাবে দেখে নিয়ে ভাবল, এই সুন্দর পৃ্থিবীটা রত্ন মাস্টারের চোখের সামনে থেকে সরে গেল। সেও ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে ভেবেছিল।তার পিতা জয়ন্তের মতো।সে কল্পনা করেছিল,ইঞ্জিনিয়ার হয়ে রত্নমাস্টারের দীর্ঘ পদূলিতে সে গাড়ি থেকে নামবে।দুই হাতে কোট-টাই ঠিক করে বারান্দায় বসে থাকা রত্নমাস্টারের কাছে গিয়ে বুক ফুলিয়ে বলবে, ‘আমি ইঞ্জিনিয়ার হলাম।’

 শেষ রাতে রত্নমাস্টারের পত্নী বড়ো ছেলে জয়ন্ত এবং মেয়ে অরুণা এসে উপস্থিত হল। বাড়িতে তখন কান্নার রোল উঠল। দিগন্তদের বাড়ি থেকেও কান্নার রোল ভেসে আসতে লাগল ।সকালবেলা মৃতদহ নিয়ে খোল বাজিয়ে শবযাত্রা আরম্ভ হল। দিগন্ত বাড়ির ভেতরেই থাকবে বলে ভেবেছিল যদিও এক দুর্বার আকর্ষণ পুনরায় তাকে রত্নমাস্টারের মৃতদেহের কাছে নিয়ে গেল।

 সেদিনই একটার সময় শব দাহ করা হল। চিতার আশেপাশে তখনও পুরুষ মহিলারা জায়গাটা পরিপূর্ণ করে রেখেছিল। বেশিরভাগ মানুষ যে যার বাড়িতে চলে যাবার পরে দিগন্তও বাড়ি ফিরে এল। মা তাকে স্নান করার জন্য জল- গামছা এগিয়ে দিল। স্নান করে এসে অন্যান্য দিনের মতোই সে মাকে বলল, ‘মা খুব ক্ষুধা পেয়েছে। তাড়াতাড়ি ভাত দে।’ মা তার হাত ধরে বাড়ির পেছনদিকে বাগানের কাছে টেনে নিয়ে গেল। মা তাকে আস্তে করে বলল—‘তোকে আজ ভাত খেতে হবে না। তুই আজ এক বেলা উপোস করবি।’

  দিগন্ত যেন ক্রোধে ফেটে পড়বে। যে বাড়ি তাকে আজ পর্যন্ত স্বীকৃতি দান করেনি, যে মানুষটা রাস্তাঘাটে দেখলেই তাকে উপহাস ছাড়া আর কোনভাবেই সম্ভাষণ জানাতো না–সেই মানুষটার মৃত্যুতে দিগন্তকে একবেলা উপোস করতে হবে। ‘কেন উপোস করব’বলতে না বলতেই মা ফিসফিস করে তাকে বলতে লাগল—‘আমার শপথ দিগন্ত, তুই অন্য কারও কাছে বলবি না। আসলে রত্ন মাস্টারই তোর পিতা।পিতার বয়সের একজন মানুষকে বদনাম করতে ইচ্ছা হল না বলেই আমি জয়ন্তই তোর পিতা বলে বলছিলাম।পিতার মৃত্যুতে তুই … ।

 দিগন্তের পায়ের পাতা থেকে উপর পর্যন্ত ঝিনঝিন করতে লাগল। মা তার পরের কথাগুলি কী বলছে তার কানে প্রবেশ করল না। সে মায়ের মুখের দিকে কখনও না তাকানো অদ্ভুত মুখাকৃতির একজন মানুষকে দেখার মতো অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।

------------

 লেখক পরিচিতি-মেঘালয়ের তুরা গভর্ণমেন্ট কলেজের অসমিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা।প্রকাশিত গ্রন্থ –হাতি খুতরার সপোন,অনুবাদ-লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার,বিভিন্ন পত্র পত্রিকার লেখিকা।একজন প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন লেখিকা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...