সাহিত্যের আড্ডায় রবীন্দ্রনাথ
সংস্কৃতি সংবাদ , কলকাতা
দিপালী মাইতির প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'এবার ফেরাও মোরে' কবিতার অমোঘ লাইন 'স্বার্থ মগ্ন যে জন বিমুখ / বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে। / মহাবিশ্ব জীবনের তরঙ্গেতে নাচিতে নাচিতে / নির্ভয়ে ছুটিতে হবে সত্যেরে করিয়া ধ্রুবতারা, / মৃত্যুরে করিনা শঙ্কা, দুর্দিনের অশ্রু জলধারা / মস্তকে পড়িবে ঝরি,তারি সাথে যাব অভিসারে ...." । ১৬ই মে সপ্তাহের সাহিত্যের আড্ডায় মূল থিম ছিল এটি। আড্ডার সূচনায় সপ্তাহ সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী বলেন রবীন্দ্রনাথকে ভারতবাসীর সৎ বিবেক গুরুদেব বলেছেন , স্বয়ং গান্ধীজিও তাই বলেছেন। গুরুদেব এবং গুরুবাদী কথার মধ্যে ফারাক রয়েছে। গুরুদেব কথার অর্থ শিক্ষক। গুরুবাদি অর্থ হচ্ছে অন্ধ ভক্ত। রবীন্দ্রনাথ নিজেও গুরুবাদী ভাবনার বিরুদ্ধে ছিলেন। তাই 'গুরু বাক্য' প্রহসনটি তিনি লিখেছিলন। দিলীপ চক্রবর্তীর লেখা 'সংস্কৃতির শিকড়ের পুনরুদ্ধার ও আমাদের রবীন্দ্রনাথ' শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে সুকুমার রুজ অংশবিশেষ পাঠ করে শোনান। অর্পিতা ঘোষ পালিত পর্যটক রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটি সুন্দর রচনা পাঠ করেন। সুকুমার রুজ তাঁর একটি ছোট গল্পে চমৎকারভাবে তুলে ধরেন প্রেমিক প্রেমিকার জীবনের রবীন্দ্রনাথ। আড্ডায় সুন্দর গল্প শোনান মিতা নাগ ভট্টাচার্য। মালবিকা ভট্টাচার্য তাঁর একটি চমৎকার ছোট গল্প শোনান। প্রদীপ চক্রবর্তী নন্দিতা সেন বন্দ্যোপাধ্যাীয় নীলাঞ্জন কুমার সুতপা ভট্টাচার্য চক্রবর্তী প্রত্যেকের তাঁদের সুন্দর কবিতা এবং গল্প শোনান যা সবাইকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুতপা। বর্তমান সময়ে রবীন্দ্রনাথের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সন্দীপ দাস সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন । অনলাইনেও এই আলোচনা শোনেন অনেকেই। সপ্তাহের বিমল সরকার সকলকে আপ্যায়ন করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন