স্মৃতিকথা- ৩৪
এই আমি চরিত্র
নীলাঞ্জন কুমার
( গত মাসের পর )
।।৩৪।।
' আছে চাবিকাঠি ' আমার প্রথম বই তা ছাপা শুরু হয়ে গেল মেদিনীপুরের মহাতাবপুরে উপত্যকা দৈনিক পত্রিকার প্রেসে সেই সঙ্গে স্বরলিপি পত্রিকা চালু হয়ে গেল । সেই সময়ের থেকে উপত্যকার সম্পাদক তাপস মাইতির সঙ্গে আমার আলাপ । মৃণাল কান্তি কালীর কাছে মাঝে মাঝে আসতেন কবি ও প্রাবন্ধিক দীপঙ্কর দাস, যিনি এক সময় ' যুগযাত্রী ' নামে একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেছিলেন তাছাড়া ' রোদ্দুর ' নামে একটি অত্যন্ত মানসম্পন্ন লিটল ম্যাগাজিনের কয়েকটি সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন । তিনি পেশাতে ছিলেন আইনজীবী । মেদিনীপুর জেলা জজ কোর্টে প্রাকট্রিস করতেন । ধীরে ধীরে উনি হলেন আমার কাছের জন ।
' স্বরলিপি ' পত্রিকা বেরতে শুরু হল । সে সময়ে মেদিনীপুরের ভালো ভালো লেখকদের লেখা প্রকাশ করতে লাগলাম । তার সঙ্গে শুরু হল' উজ্জয়িনী ' পত্রিকার লেখা আনার কাজ । এছাড়া অন্যান্য দিকগুলো দেখতে হত আমাকে ।তখন থেকে শুরু হয়ে গেল প্রকৃতার্থে একটি ভালো পত্রিকার সম্পাদনার অভিজ্ঞতা । সঙ্গে চললো মনুসংহিতা কপির কাজ । মনোসংহিতা প্রি বুকিং শুরু হয়ে গেল কলকাতাতে বেনিয়াটোলার ভোলানাথ প্রকাশনীতে । যা হোক তখন বিশেষ উন্মাদনা আমার মনে । হাজারো স্বপ্ন । মৃণাল দা ও স্বপ্ন দেখতেন । উনি দু দুবার আমার সহকারী নিয়েছিলেন । তারা টেকেনি । পরে আমিই ঠিক করলাম বরুণ বিশ্বাসকে । বরুণ এখন একটি সরকারি অফিস থেকে রিটায়ার্ড করেছে । দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে সে ' কাগজের নৌকা ' পত্রিকা বছরে বেশ কয়েকটি সংখ্যা
সম্পাদনা করে মেদিনীপুর শহর থেকে । বরুণের বাবা ছিলেন মেদিনীপুর কেন্দ্রিয় কারাগারের একজন কর্মচারী । ওর বাড়িতে বহু বহুবার গেছি ।সেখানে বরুণের দুই বন্ধু কল্যাণ দাস ও দেবাশিস বিষ্ণু রায়ের সঙ্গে আমার আলাপ । বর্তমানে দুজনেই প্রয়াত । ওরাও কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মচারী ছিল । ওদের মধ্যে সামান্য সাহিত্য গুণ ছিল । যা আজকের অবস্থানে হাস্যকর ।
মানুষ মানুষের পাশে থাকে।একে অন্যকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এটা অত্যন্ত একটা সুন্দর ব্যাপার।
উত্তরমুছুন