কবিতাগুচ্ছ
শান্তনু ভট্টাচার্য
রূপান্তর
নাগাড়ে বৃষ্টি...
চোখের সামনে জলছবি দৃশ্যপট
জেলে ডিঙিগুলো ফোঁটা ফোঁটা শিহরনে কম্পিত।
সামনের বাওড়ের মালিক আজ
কিছু বাপ মায়ে খ্যাঁদানো কচিকাঁচা
বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছি তাদের উচ্ছল জলকেলি...
মনে মনে একটা স্বপ্ন দেখছি
শ্যাওলা আর আঁশের গন্ধ মেখে
উঠে আসছে এক একটা মাছ মানুষ... রঙিন
.....................
দান
এককুষি চোখের জল
ঢেলে দিলাম নদীতে
বললাম যা- চলে যা
ঢেউ ভেঙে ভেঙে মোহনার দিকে
গভীর সঙ্গমে তৃপ্ত কর
দাউদাউ বুকের আগুন... নিঃসঙ্গ সমুদ্রের
...........
নস্টালজিয়া
যতবার যত্ন করে জড়িয়ে দাও
হু হু শীতে কারুকাজ আলোয়ান...
আমার গায়ে তবু লেগে থাকে
ছোট্ট বেলার লাল টুকটুকে সোয়েটার
ঊনতিরিশ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন পালন করা না গেলেও
সকালে জামবাটি পায়েস
বিকেলে কেক কাটার উৎসব আমাকে টানে।
বাতি নেভা রাতে তোমার সাথে নিবিড় হলে
প্রথম প্রেম শাসায়...দূরে যেতে বলে আমাকে
হাত ধরে কেউ যখন বলে
সামনে তাকাও--সামনে
তখন ইচ্ছে করে পিছন ফিরে
আমারই জন্য কেউ আসছে কিনা বড্ড দেখতে...
......................
নীলকন্ঠ
পেটের ভেতর বিষ
গলায় পেঁচানো দুঃখ
টলতে টলতে
বাওড়ের ঢালু জমি
কেউ কোথাও নেই
রাত গভীর হলে নক্ষত্ররাজি নেমে আসে
বুকের উপর,অমৃত মন্থন
দূরে ঝমঝম মেল ট্রেন পেরিয়ে যায়
রেজিনগর...বেলডাঙা...সারগাছি
সুখের পাত্র ভরে নক্ষত্রেরা ফিরে গেলে
গরলে জারিত ক্লেদ রিক্ততা
মজতে থাকা দুঃখগুলো--
ধীরে ধীরে নীলকন্ঠ গড়ে তোলে
......
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন