পূরবী- ৮৬
অভিজিৎ চৌধুরী
রবীন্দ্রনাথের তিরোধানের পর ঠাকুর বাড়িতে পড়ে রইলেন মহর্ষির দুই বিকৃতমস্তিষ্ক পুত্রের পরিবার।জমিদারির আয় অনেক আগেই চলে গেছিল।শুধুমাত্র লেখা দিয়ে ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে রবীন্দ্রনাথ ৬ নম্বর জোড়াসাঁকোর বাড়িটিকে রক্ষা করেছিলেন।
তাঁর মৃত্যুর পর সবই মুহূর্তের কালের অক্ষরে ইতিহাস হয়ে গেল।সেই নাটমঞ্চ সেই খাজাঞ্চিখানা বুড়ো বটগাছ কেয়ারি করা বাগানের বদলে পড়ে রইল একরাশ হতাশা।হয়তো চিলেকোঠার ঘরে নতুন বউঠান অপেক্ষা করতেন রবির জন্য।রবি যে নোবেল পেয়েছেন সেই লোকে গিয়েও তিনি হয়তো হেসেছেনও।বলেছেন,তুমি বড্ডো খ্যাতির কাঙাল।
আজকের ভাষায় তীর্থ বলল,অ্যাওয়ার্ড।
রথী অনেক আগেই চলে গেছিলেন সব কিছু ছেড়ে।
৫ নম্বর জোড়াসাঁকোর বাড়িটিকে রক্ষা করতে পারেননি অবন ঠাকুর।তাঁর কোন রকম বৈষয়িক বুদ্ধি ছিল না।অনেক আগেই ৫ জোড়াসাঁকোর বাড়ি বিক্রি করে তিনি উাঠেছিলেন ভাড়াবাড়িতে।
জোড়াসাঁকোর বাড়িগুলির দিকে তাকিয়ে খুব কান্না পাচ্ছিল তীর্থের।মনে হচ্ছিল,হে ছলনাময়ী, তোমার সৃষ্টির পথে শুধুই কি বাসন্তীর দীর্ঘশ্বাস!
একবার সে সকলের সঙ্গে বউঠানের কাছে এলো।
তিনি যেন বললেন,তুমি কে!
তীর্থ বলল কোমল স্বরে, আমি তীর্থ।
তিনি ফিসফিস করে বলে উঠলেন,তুমি রবি।ছদ্মবেশে আমায় ঠকাতে এসেছ!
আকাশে তখন এক ঝলক রামধনু দেখা দিয়েছে।
দিনের আলো গভীরে গেলে রাত হয়,আবার বসে সাহিত্য বাসর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন