রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২

পূরবী- ৮২ ।। অভিজিৎ চৌধুরী ।।Purabi- 82

পূরবী- ৮২

অভিজিৎ চৌধুরী 



আমারে বাঁধবি তোরা সেই বাধন কি তোদের আছে।

স্বদেশ ছাড়ার পর দুজনকে চিঠি দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু।একজন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী আরেকজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 

গান্ধীজী উত্তর দেননি।তবে ব্রিটিশ সরকারকে সুভাষ বোসের গতিবিধি জানিয়ে সাহায্যও করেননি।বরং খণ্ডিত স্বাধীনতার সময় বলেছিলেন নেহেরুকে, সুভাষ থাকলে এই স্বাধীনতা গ্রহণ করত না।

বোঝা যায় ভারতীয় রাজনীতিতে তিনিও তখন বেশ একলা।

তীর্থের কোন্নগর নবগ্রামের বাড়িতে তিনটে ছবি ছিল - সুভাষচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দ।

কিন্তু অপেক্ষা ছিল একজনের জন্য। তিনি সুভাষচন্দ্র।তিমির উদার অভ্যুদয়।

সুভাসচন্দ্র কিশোর তীর্থকে কথা দিয়েও আসেন নি।রবীন্দ্রনাথ তাসের দেশ উৎসর্গ করলেন সুভাষচন্দ্র।কেন!

এই চিন্তা- নায়ক সমস্ত বিরুদ্ধতাকে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন বলেই কি!

ভিন্ন প্রসঙ্গে, সমকালে আসি।প্রভাত চৌধুরী মারা গেলেন।তিনি বলতেন,কবিরাই রবীন্দ্রনাথের প্রকৃত উত্তরাধিকার বহন করেন।জীবনানন্দকে বড় কবি বলতেন না।জীবনানন্দকে  রবীন্দ্রনাথ হয়তো বলেছিলেন এরকমটাই তোমার কবিতার কেন্দ্রে যে বিষণ্ণতা রয়েছে তাকে আমি ভালোবাসি না।

তাই বিষণ্ণতা অতিক্রম করেই এগোতে হবে।

কুয়াশার বিষণ্ণতায় বিবস্বান জাগুন,,প্রার্থনা করল তীর্থ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...