রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১

পূরবী -৭৮,অভিজিৎ চৌধুরী ।। Purabi- 78

পূরবী- ৭৮

অভিজিৎ চৌধুরী



আমার পিতা সেই শিখ উপাসকদের  মাঝখানে বসিয়া সহসা এক সময় সুর করিয়া তাহাদের ভজনায় যোগ দিতেন।

রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন,ফিরিবার সময় মিছরির খণ্ড ও হালুয়া লইয়া আসিতেন।

জালিয়ানা হত্যাকাণ্ডের পর যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বুদ্ধিজীবীরা যখন নীরব ছিলেন,তখন রবীন্দ্রনাথ একমাত্র প্রতিবাদ করেছিলেন।সেই প্রতিবাদের সাহসী চিঠি, নাইটহুডকে প্রত্যাখান আজকের সময়ের নিরিখেও অনন্য। আজও শুনেছি অমৃতসরে শোকজ্ঞাপনের সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিও উঠে আসে বিনম্রতায়।

এক নিতান্ত বালকের সেই স্মৃতি, যেন এক উজ্বল পরম্পরা হয়তো সহিষ্ণুতার স্মারক। শুধু ইউরোপ নয় ভারতীয় রাগ সংগীতও রবীন্দ্রনাথ  নিজের মতন করে আত্মস্থ করেছিলেন।

এই যে ছড়িয়ে যাওয়া নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে আটকে না থাকা তা হয়তো ঠাকুরবাড়ির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলও সহায়ক হয়েছিল।

তবুও তীর্থ মনে করে ব্যক্তি যখন বিবস্বানের দীপ্তিতে প্রতিভাত হন তখন তিনি আবহমসনকালের মন্ত্রে নিজেকে দীক্ষিত করেন।তাঁর পরিবার,আত্মজনদের পক্ষেও বিপুলা ধরিত্রীর মানসপুত্রকে ক্রমশ অচেনা লাগে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...