বিদেহ নন্দিনী~ ৩৪
ডঃমালিনী
মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদঃ বাসুদেব দাস
(৩৪)
এই কয়েকদিন আমি বড় অশান্তিতে কাটিয়েছি। যুদ্ধ পুর্ণ গতিতে চলছে বলে জানতে পেরে আমার সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। এমনকি পাহারা দিতে থাকা রাক্ষসীরা ও আমার কাছ থেকে বেশকিছু দূরত্ব রেখে দলবেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার দিন ত্রিজটা এসেছিল। তিনি দুঃখ করে আমাকে বলছিলেন-' জানকী, রাজা রাবণের দুর্বুদ্ধির জন্যই এখন রাক্ষস কুল ধ্বংস হবে। আজ সকালে যুদ্ধে বেরোনোর আগে রাবণকে মা নৈকসী এবং প্রপিতামহ মাল্যবান উপদেশ দিয়েছিল রামচন্দ্রের সঙ্গে সন্ধি করার জন্য। দুজনেই লঙ্কেশ্বরকে কাছে বসিয়ে নিয়ে বলেছিল-' তুমি দেবতা, গন্ধর্ব, অসুর, নাগ, পশুপাখি সবার কাছে অবধ্য হবে বলে ব্রহ্মার কাছ থেকে বর পেয়েছিলে। সেই সময় নর-বানরকে গুরুত্ব দাওনি। এখন সামান্য বলে ভাবা এই নর-বানর তোমার মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেই রামচন্দ্রের সঙ্গে সন্ধি করার জন্য উপদেশ দিচ্ছি। মনে রাখবে তুমি অমরত্বের বর পাওনি।' কিন্তু মা এবং প্রপিতামহের কথায় লঙ্কেশ্বর ক্রোধিত হলেন। তিনি দু'জনকেই অনেক আঘাত দিয়ে কথা বলে অভদ্রভাবে চলে গেলেন। এই বৃদ্ধ বয়সে মাতা নৈকসী ছেলের কাছ থেকে কঠিন কথা শুনে খুব দুঃখ পেয়েছেন। লঙ্কা নগরীর চারপাশে নানা ধরনের অমঙ্গলের চিহ্ন কিছুদিন ধরে দেখে তিনি বড় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তারপরে ত্রিজটা মন শক্ত করে বলেছিল-' অবশ্য দশাননকে সহজে যুদ্ধে পরাজিত করা অসম্ভব। তিনি বুদ্ধিতে বৃহস্পতি ।এখন নগর রক্ষার জন্য লঙ্কার পূর্ব দুয়ারে রেখেছেন সেনাপতি প্রহস্তকে। তিনি সৈন্যসামন্ত নিয়ে প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন প্রতি আক্রমণ করার জন্য ।পশ্চিম দুয়ারে সৈন্যসামন্ত নিয়ে রয়েছেন স্বয়ং ইন্দ্রজিৎ । উত্তর দুয়ারে শুক-সারণ আদি বীরের সঙ্গে রাজা রাবণ নিজে। দক্ষিণ দুয়ারে মহাপার্শ এবং সহোদর নামে দুই বীর।'কথাটা বলে আমার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত খবরা খবর নিয়ে ত্রিজটা অশান্ত মনে বেরিয়ে গিয়েছিল
সেদিন থেকে ত্রিজটা আর অশোক বনে আসেনি।
যুদ্ধের তীব্রতা আমি অশোক বন থেকেই অনুমান করতে পারছিলাম। অনবরত সৈন্য সামন্ত চলাফেরার শব্দ, পতি পুত্র হারাদের ক্রন্দনধ্বনি অশোক বনে পর্যন্ত শুনতে পাচ্ছিলাম। আমার মধ্যে সবসময় ভয়,শঙ্কা এবং উদ্বিগ্নতা বিরাজ করছিল। আমিও মানসিক চাপে অশোক বনের নিচে একবার বসেছি একবার শুয়েছি। সময় কিছুতেই যায় না। এভাবে ছটফট করে থাকার সময় এককর্ণা নামে রাক্ষসী এসে হাজির হল। উত্তেজনায় তার সমগ্র মুখমন্ডল লাল হয়ে পড়েছে। ভয়ে ঢোক গিলে এককর্ণা বলল -'বাঁদর সেনা নগরের প্রাচীর ভেঙ্গে ভেতরে চলে এসেছে। প্রাচীরের চারপাশে যে সমস্ত গভীর জলের খাদ কুমির দিয়ে পরিপূর্ণ করে রাখা ছিল সেই সমস্ত বাঁদর সেনারা ভরাট করে ফেলেছে । বুজিয়ে ফেলা খালের উপর দিয়ে কোটি কোটি বানর সেনা হাতে প্রকাণ্ড শিল, গাছের ডাল নিয়ে পর্বতশীর্ষে রাক্ষস সেনা আক্রমণ করছে ।' নিঃশ্বাস না নিয়ে একনাগাড়ে বলতে থাকা এককর্ণা কথাগুলি বলে সাবধান হয়ে পড়ল। সে তখন বুঝতে পারল যে আমার কাছে তার এই কথাগুলি বলা উচিত হয়নি। এককর্ণা ভয়ে ভয়ে বলল-' 'প্রকৃতপক্ষে আমি ত্রিজটাকে এই খবরটা দিতে এসেছিলাম। আমি বেহুশের মত আপনাকে বলে ফেললাম। সে আরও কিছু বলতে যেতেই আমি বললাম তুমি কী বলছিলে আমি কিছুই শুনি নি বলে ভেবে নিও।
আমি যুদ্ধের ভয়াবহতা অশোক বন থেকে অনুমান করার চেষ্টা করেছিলাম। যে কোনো মুহূর্তে স্বামী রামচন্দ্র আমার খোঁজে অশোক বনে প্রবেশ করতে পারে বলে আশায় চেয়ে ছিলাম। সেদিন বিকেলে বিভীষণের পত্নী সরমা এল। তিনি কোনো ভুমিকা না করেই আমাকে বললেন বৈদেহী, বলতে শুনেছি রাক্ষস সৈন্যের জন্য এই যুদ্ধ হল এক নতুন অভিজ্ঞতা। বাঁদর সেনা তীর,ধনুক নিয়ে যুদ্ধ করছে না। শিল,গাছের ডাল নিয়ে যুদ্ধ করছে। বাঁদরেরা যে ধরনে রাক্ষস সেনার উপরে শিল বর্ষণ করে গাছের ডালের আঘাতে একদিক থেকে রাক্ষস সেনা নিঃশেষ করে চলেছে, রাক্ষস সেনার হাতের অস্ত্র হাতেই থেকে যাচ্ছে। তাছাড়া বিশালদেহের বাঁদরেরা রাক্ষসের গায়ের মাংস দাঁত দিয়ে কামড়ে খন্ড খন্ড করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।আর ও কিছু বলতে যেতেই তার একজন বিশ্বাসী অনুচর দৌড়ে এসে জানাল যে যুদ্ধ বড় তীব্রতর হয়ে উঠেছে। কুম্ভকর্ণের পুত্র নিকুম্ভকে মহাবীর নীল বধ করেছে ।দুই পক্ষের বহু সেনা মৃত্যুর মুখে পড়েছে। খবরটা শুনে আমার চোখ জলে ভরে উঠল। হাজার হোক ভাইপো। তিনি আমাকে আর কিছুই বলতে পারলেন না। দ্রুত আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাজপ্রাসাদের দিকে এগিয়ে গেলেন।
সেদিন নাকি যুদ্ধ রাতেও চলছিল। অন্ধকারে রাক্ষসেরা মায়ার শক্তিতে অদৃশ্য হয়ে পড়ছিল যদিও রাম লক্ষ্মণের বাণ অদৃশ্য রাক্ষস সেনাকে বধ করছিল।
আমি অস্থির মনে সেই রাতটা পার করলাম। পরের দিন আমাকে পাহারা দেওয়া রাক্ষসীদের কথাবার্তা থেকে জানতে পারলাম যে মহাবীর ইন্দ্রজিতের সঙ্গে রামচন্দ্রের বাহিনীর যুদ্ধ হয়েছে। ইন্দ্রজিতের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছে মহাবীর বালীর পুত্র অঙ্গদ। অঙ্গদ নাকি ইন্দ্রজিতের অবস্থা শোচনীয় করে তোলায় উপায়হীন রাবণ পুত্র ব্রহ্মার কাছ থেকে লাভ করা বর প্রয়োগ করে মায়া যুদ্ধ আরম্ভ করেছে। ইন্দ্রজিৎ আকাশে অদৃশ্য হয়ে বাণ মেরে হাজার হাজার বানর সেনা নিহত করছে। ইন্দ্রজিৎ অদৃশ্য হয়ে থাকার জন্য রাম লক্ষ্মণ নাকি বাণ কোন দিক থেকে আসছে ধরতে না পেরে তারা প্রতিআক্রমণ করতে পারছে না। দাদা ভাই দুজনেই নাকি বিমূঢ় হয়ে পড়েছে ।এদিকে ইন্দ্রজিতের বাণ দুজনের দেহ ক্ষতবিক্ষত করে চলেছে। রাক্ষসের কথা শুনে আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। আমার সর্ব শরীর কাঁপতে লাগল। চোখের জলে আমার দু গাল ভেসে গেল। অনেকক্ষণ কান্নাকাটি করে আমি নিজের মনকে নিজেই প্রবোধ দিলাম, মনে সাহস আনলাম। তারপর গাছের নিচে রাম বাহিনীর বিজয় এবং মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনায় নিমগ্ন হলাম।
শেষ রাতের দিকে আমি রাক্ষস বাহিনীর জয়ধ্বনি শুনতে পেলাম । 'মহারাজ রাবণের জয়, রাক্ষস গৌরব ইন্দ্রজিতের জয় ।' সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন আনন্দ বাদ্যযন্ত্র বাজতে লাগল। আমি কান খাড়া করে কথাগুলি শুনতে লাগলাম। ঠিক তখনই এককর্ণা দৌড়ে এসে তার সঙ্গীদের বলল বড় শুভ সংবাদ। ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধে জয়ী হয়ে ফিরে এসেছে। রাম লক্ষ্মণ দু'জনকেই ইন্দ্রজিৎ বধ করেছে। আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। কাকে জিজ্ঞেস করব, কী করব কিছুই ভেবে পেলাম না । তবু বিচলিত না হয়ে মনটা স্থির করে ভাবলাম- আমার মন দুর্বল করার জন্য এই সমস্ত নিশ্চয় রাবণের নতুন কৌশল। তাই অশান্ত মনে ভোর হওয়ার জন্য পথ চেয়ে রইলাম। হয়তো ত্রিজটা, সরমা বা কলা কেউ না কেউ তো আসবেই।
ভোর হওয়ার কিছুক্ষণ পরে লেওয়া নামের একজন রাক্ষসী এল। আগে তাকে আমি অশোক বনে কখনও দেখতে পাইনি। লেওয়া আমাকে প্রথমে প্রণাম জানাল। তারপর কোমল কন্ঠে বলল-' সীতাদেবী আমি মহারাজ রাবণের সংবাদ নিয়ে এসেছি। আমি আপনাকে জানাচ্ছি যে আপনার পতি রাম এবং দেবর লক্ষ্মণ ইতিমধ্যে মহাবীর ইন্দ্রজিতের হাতে মৃত্যুবরণ করেছে ।দুজনের মৃতদেহ যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে আছে ।আপনি ইচ্ছা করলে একবার গিয়ে দেখে আসতে পারেন ।রাজা রাবণ আপনার জন্য পুষ্পক রথ পাঠিয়ে দিয়েছেন।
লেওয়ার কথা শুনে আমার শরীর গরম হতে লাগল। আমার অন্তরে দুঃখ দেবার জন্য বিভিন্ন কৌশলে করা কার্য গুলির জন্য রাবণের উপরে প্রচন্ড ক্রোধে আমি দাঁত কামড়ে কিছু একটা উত্তর দিয়ে পাঠাতে গিয়ে থেমে গেলাম। হঠাৎ বুকটা ধক ধক করে লাফাতে লাগল। আমি যা দুর্ভাগা হয়তো এই কথা সত্য হবে। আমি নিঃশব্দে রথে উঠলাম। আমার সঙ্গে উঠল পাহারা দেওয়া একদল রাক্ষসী। ঠিক রথ চলার আগে আগে ত্রিজটা এসে আমার কাছে বসল। রথ রণক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে চলল। অনেক দূর থেকে রক্তের স্রোত, বাঁদর , রাক্ষস এবং ভালুকের মৃতদেহ প্রত্যক্ষ করলাম। কিছুদূর যাবার পরে দেখলাম রণক্ষেত্র নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে । রণক্ষেত্রের মাঝখানে রক্তে মাখামাখি হয়ে পড়ে আছে রাম লক্ষ্মণের দেহ। চোখের জল ফেলে বাঁদর বাহিনী মৃতদেহ ঘিরে আছে।আমি রথের ভেতরে অচেতন হয়ে পড়ে গেলাম। যখন জ্ঞান ফিরে পেলাম তখন আমি পুনরায় অশোকবনে । আমি চিৎকার করে কাঁদতে আরম্ভ করলাম। কেঁদে-কেঁদে একটা সময় আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম ।আমার দুঃখ দেখে ত্রিজটা সান্তনা দিয়ে বলল মা,দুঃখ করিস না, তোর পতি এবং দেবরের মৃত্যু হয় নাই বলেই মনে হচ্ছে । সর্প বাণে দুজনকে অচেতন করে রেখেছে বলে মনে হয়। মৃত ব্যক্তির মুখ এত সতেজ হতে পারে না। ইন্দ্রজিৎ অদৃশ্য হয়ে যুদ্ধ করার সময় ইন্দ্র তাকে খুঁজে পায় না। এভাবে অন্যায় যুদ্ধ করে ইন্দ্রজিৎ সবাইকে জয় করে আসছে। আমার মনে হচ্ছে রাম লক্ষণের মৃত্যু হয়নি এবার ইন্দ্রজিৎ বুঝতে পারবে যে তার সর্পবাণে অবধ্য লোক রয়েছে । তাই মা ,তুই দুঃখ করিস না। আমি যা বলেছি তাই সত্য হবে।'ত্রিজটার কথা শুনে আমি তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম।
সেদিন বিকেলের দিকে বিভীষণের পত্নী সরমা এল। তার মনটা অন্যদিনের তুলনায় একটু আনন্দিত।সরমা ফিসফিস করে বলল-' বৈদেহী, আমার পতি বিভীষণ গোপনে তোমার কাছে আমার মাধ্যমে সংবাদ পাঠিয়েছে। সকালে আকাশে পুষ্পক রথ দেখে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে অত্যাচারী রাজা রাবণ ও রাম লক্ষ্মণের মৃত্যু হয়েছে বলে ভাবছে। তাই হয়তো দুজনের অসার হয়ে পড়ে থাকা দেহ দেখিয়ে তোমাকে বিশ্বাস করানোর জন্য চেষ্টা করছে যে রাম লক্ষ্মণ ইহ সংসার থেকে বিদায় নিয়েছে । আমার চুলে হাত বুলিয়ে সরমা পুনরায় বলল-'এখন রাম-লক্ষ্মণকে সর্পবাণ থেকে কীভাবে মুক্ত করা যেতে পারে বলছি শোনো।শুধু তুমি নয়, ইন্দ্রজিৎ, রাবণ থেকে আরম্ভ করে সুগ্রীব এবং সমস্ত বাঁদর বাহিনী ও ভেবেছিল রাম লক্ষ্মণের মৃত্যু হয়েছে। কেবল আমার পতি বিভীষণ জানত যে কোনো উপায়ে সহস্র বিষধর-সাপের বাঁধন খুলতে পারলে দুজনেই পুনরায় জীবিত হয়ে উঠবে। তাই সুগ্রীব ,হনুমান ,জাম্বুবান ইত্যাদির সঙ্গে আলোচনা করে থাকার সময় হঠাৎ চারপাশে প্রচন্ড বেগে তুফান বইতে লাগল। গাছপালা উপড়ে পড়ল ,সাগরের এক একটি ঢেউ আকাশ স্পর্শ করল। প্রত্যেকেই এক আশ্চর্য শব্দ শুনে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল বিষ্ণুর বাহন গরুড় এসেছে। গরুড়ের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে রাম লক্ষনের দেহ থেকে সাপের বাঁধন খুলে গেল। লঙ্কার সমস্ত সর্পকুল পালিয়ে গর্তে ঢুকল। গরুড় দুজনকে স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে রাম লক্ষ্মণ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেন। গরুড় রাম লক্ষ্মণ এবং সমস্ত বাহিনীকে আশীর্বাদ করে চলে গেল। তারা দুজন সুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার পতি বুদ্ধি করে এই খবর তোমার কাছে পাঠিয়েছেন। তাই জানকী তুমি চিন্তা কর না ,আমি কোনো খবর থাকলে এনে দেব। এখন আসছি। এভাবে আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বিদায় নিল।
কিছুক্ষণ পরে আমি রাম-লক্ষ্মণের ধনুর টংকার শুনলাম। সেই ধ্বনিতে সমগ্র লঙ্কা মহানগরী ধ্বনিত হল। মাঝরাতে আমি অশোক বন থেকে আবছাভাবে বানর বাহিনী রামের জয়ধ্বনি দিতে শুনলাম। সকালে প্রহরীদের কথাবার্তা থেকে আমি জানতে পারলাম রাবণ নাকি রাম লক্ষ্মণের পুনরায় জীবিত হওয়ার খবর পেয়ে একা সিংহাসনে বসে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসেছিলেন। তারপরে ধুস্ত্রাক্ষ,ব্রজদংষ্ঠ,অকম্পণ আদি বীর সেনার সঙ্গে সৈন্য সামন্ত দিয়ে যুদ্ধে পাঠালেন ।পরে অঙ্গদ এবং হনুমানের হাতে প্রতিটি বীরের প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেল। এখন রাম বাহিনী নাকি রাজধানী অভিমুখে অগ্রসর হয়ে আসছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন