কবিতা
শালিকবাড়ি
উঠোনে আগাছায় ফুল ফুটেছে ভাদ্রের বর্ষায়
কোনোটার নাম জানা নেই
যেমন জানি না আমার প্রপিতামহের নাম
উঠোনে শালিক আসে সকাল দুপুর
বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভাত ছড়িয়ে দেয় মা
বৃষ্টির আলপনা আঁকা হয় পাতিলেবুতলায়
ছোপ ছোপ কাঁচা হলুদের দাগ আসন্ন বসন্তের
কিশোরীর সারা দেহে
কি জানি কি তার নাম
রক্তচন্দন গুলে প্রলেপ দেয় ঠাকুমা নাতনির বিষফোড়ায়
নরম শীতল সে থুত্থুড়ে হাতে রূপকথার অদ্ভুত মায়া
ছেঁড়া ছাতা মাথায় দিয়ে ধূমল বর্ষার দুপুরে
এক পরিব্রাজক এসে দাঁড়ায় ঝিনুক উঠোনে
হাতে তার লাল রুদ্রাক্ষের মালা
কত কালের চেনা এই সব গল্পরা একদিন
জীবন্ত মানুষের মত হাত পা নেড়ে চলেফিরে বেড়াতো...
কালের ফিলামেন্টে কত বৈদ্যুতিক তরঙ্গ খেলে গেল
অন্ধকার লেবুতলা বাঁশবন মেটে চণ্ডীমণ্ডপ উঠে এলো
টাইলসকাটা দেওয়ালের পোশাকে
এখন বাড়িটার উঠোনে শালিক আসে না
হাতে গরমভাতের থালা নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে
থাকে না কেউ
তবু মারবেল পাথরের খাঁজে মৃতগন্ধা নদীটার মত
ফুটে উঠেছে একটি নাম
শালিকবাড়ি...
চমৎকার ����
উত্তরমুছুনচমৎকার ������
উত্তরমুছুনঅনবদ্য
উত্তরমুছুন