পূরবী~ ৬৫
অভিজিৎ চৌধুরী
আমি তো তখন থাকব না,তখন তুমি থাকবে।তীর্থ বলল এক নবীনকে।সাহিত্য এক ধারাবাহিকতা।রিলে রেস।রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিলেন।আর তারপরই তাঁর যোগ্য উত্তরসূরীরা সেই রিলে রেস ঈর্ষণীয় গতিতে টেনে নিয়ে গেছেন।
আজ কোথাও ভাটা এসেছে।সাহিত্যে এসেছে চৌর্যবৃত্তি। ফেসবুক এক নতুন সংকট নির্মাণ করেছে।আবার মুক্তিও দিয়েছে খানিকটা।ঝাঁকে ঝাঁকে লেখক।অন লাইনে লেখা হয়ে যাচ্ছে।
পুনে স্টেশনে এক মস্তানবাবার আবির্ভাব হয়েছে।স্টেশনে ওই মস্তানবাবাকে প্রণাম করলেই যাবতীয় পুণ্য।
প্রিন্ট মিডিয়াকে ছাপিয়ে এক নতুন মস্তানবাবা বাংলা সাহিত্যে। রহস্য গল্প মির্চিতে পাঠ করলেই লেখক।একদিন রহস্য গল্পকে নিম্নমাদ্রজনের সাহিত্য বলা হতো।সময় বদলাচ্ছে।জলসাঘরের সেই জমিদারির যুগ শেষ।এক নতুন প্রবাহ।
বউঠান,তোমার কার লেখা ভাল লাগে!
বঙ্কিম।বাবু শ্রীযুক্ত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
কি এমন নতুন কথা বললে!
বউঠান, তুমি লিখবে!
আমি কেন লিখব দিগগজবাবু, তুমি থাকতে।
লেখো না,তোমার সেই গ্রামের কথা, চড়কের কথা।
চারু লিখল,আমাদের গ্রাম।
এইভাবে হয়তো যে লিখছে না তার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রকান্তমণি।নতুন আবির্ভাবের সংকেত।
সূর্যকান্তমণি অস্তমিত হওয়ার আগে চাঁদের সেই উপজাত নরম আলোকে দূর থেকে স্নেহের বার্তা পাঠাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন