বিদেহ নন্দিনী~ ২৫
ডঃমালিনী
মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদঃ বাসুদেব দাস
(পঁচিশ)
রাবণের অশোকবনের বৃক্ষের নিচে বসে আমি সবসময় চোখের জল ফেলছিলাম। একটা কথা ভেবেই মনে বড় চিন্তা হচ্ছিল। স্বামী যদি আমাকে রাবন হরণ করেছে এ কথা জানতে পেরে থাকে তাহলে আমাকে উদ্ধার করার কাজে য খুব একটা বিলম্ব হবে না। যদি খবর না পেয়ে থাকে তাহলে আমার কী গতি হবে। এই সমস্ত চিন্তা আমার ক্ষুধা, তৃষ্ণা, নিদ্রা সমস্তকিছু হরণ করেছিল। আমি দিন দিন শীর্ণ হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছিলাম। রাক্ষস পুরীতে আমার জন্য সুমিষ্ট আহার প্রস্তুত করা হত। কিন্তু আমি ওদের দেওয়া খাবারর দিকে আড় চোখে ও তাকিয়ে দেখতাম না। কখনও ইচ্ছা হলে একটা ফল হাতে উঠিয়ে নিতাম, ইচ্ছা না হলে তাও স্পর্শ করতাম না।
মাঝেমধ্যে আমার স্বামী রামচন্দ্র, লক্ষ্ণ্ণ, ঋষি মুনি এবং দেব দেবতাদের উপরে রাগ হত। মনে মনে ভেবেছিলাম কত স্বার্থপর এই ব্রাহ্মণ ঋষি মুনিরা। তারা তপশক্তির বলে রাক্ষস নিধন করতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করবেন না ।রাক্ষস নিধনে কষ্টে অর্জিত তপশক্তির হ্রাস করতে চান না। তাদের শান্তিতে বসবাস করার জন্য আমার স্বামীকে রাক্ষস বধ করতে হয়। রাক্ষস কুলের সঙ্গে শত্রুতা স্থাপন করার জন্যই আজ আমার এত বড় বিপদ। যোগ শক্তির বলে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সবকিছু বলে দিতে পারা ঋষি মুনিরা একবারের জন্যও কি জানতেন না যে রাক্ষস দের অধিপতি রাবণ আমাকে হরণ করবে? নাকি দেবতারা ও তাদের মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা রাবণকে আমার স্বামীর দ্বারা বধ করাতে চেয়ে ছিলেন।
রাগে-দুঃখে ক্লান্তিতে আমি মানুষটা জর্জরিত হয়ে পড়েছিলাম। তাছাড়া প্রতিদিনই রাবণের প্রেম নিবেদন, স্বামীকে লঘু করার জন্য বলা শব্দগুলি, প্রহরী হিসেবে নিযুক্ত করা কিম্ভুতকিমাকার চেহারার রাক্ষসের অত্যাচার এবং বাক্যবাণ সহ্য করে করে আমার জীবন তিক্ত হয়ে উঠেছিল। এভাবে দিনের পর দিন মাসের পর মাস পার হয়ে যাচ্ছিল। অবশ্য দুঃখের মধ্যেও মাঝেমধ্যে আমি তিনজন মহিলার সঙ্গে কিছু সময় কথাবার্তা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই তিনজন হলেন রাবণের ভাতৃবধূ অর্থাৎ বিভীষণের পত্নী সরমা, বিভীষণের বড় মেয়ে কলা এবং রাক্ষসী বুড়ি ত্রিজটা।
বিভীষণের পত্নী সরমা অনেক বুদ্ধি করে মাঝেমধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করে আমাকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে যত্ন নেবার জন্য উপদেশ দিতেন। কখনও তিনি নিজ হাতে প্রস্তুত করা খাদ্য মেয়ে কলার মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতেন। কলা ছিল অত্যন্ত সরল মেয়ে। আমি তার মুখ থেকেই রাবণের রাজসভায় আমার সম্পর্কে কে কী মন্তব্য করত, আলোচনা করত সমস্ত জানতে পেরে যেতাম। একদিন কলা আমাকে বলেছিল-' আমার জ্যেঠা রাজা রাবণের রাজসভার সমস্ত সভাসদ কিন্তু অজ্ঞানী নয়। কিছু লোক জ্যাঠাকে সৎ উপদেশ দেয়। অবিন্ধ দাদু রাজসভার সবচেয়ে বৃদ্ধ সভাসদ। তিনি খুবই জ্ঞানী। তিনি যে জ্যাঠাকে অনেক বুঝিয়ে বলেছিলেন আপনাকে স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেবার জন্য। জ্যাঠা মানুষের ভালো উপদেশে কান দেয় না। তাই আমার পিতা বিভীষণের উপরে জ্যাঠার বড় ক্রোধ।'
কলার কথা শোনার পরে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে যেভাবে অসৎ চিন্তাধারার মানুষ আর্য সমাজেও অনেক রয়েছে ঠিক তেমনই সৎ এবং উচ্চ মানসিকতার অনার্য সমাজেও অভাব নেই। আমাকে পাহারা দিতে দিতে ত্রিজটা রাক্ষসী আমার সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়ে পড়েছিল। প্রকৃতপক্ষে তার মতো জ্ঞানী মহিলা খুব কমই আছে। তিনি আমাকে বাক্যবাণে অত্যাচার করা রাক্ষসদের গালিগালাজ করেন। বেঁচে থাকার জন্য আমাকে সাহস জোগান। মনোবল না হারানোর জন্য আমাকে উপদেশ দেন। রাবণের মহারানী মন্দোদরী এবং ধান্য মালিনী একদিন আমার সঙ্গে দেখা করে অনেক সহজ উপদেশ দিয়েছিল।
একদিনের কথা।সেদিন রাবণ আমাকে হরণ করার দশ মাস পূর্ণ হয়েছিল। সকালে রাবণ সদলবলে অশোকবনে এলেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন এক হাজার পত্নীর মধ্য থেকে বেছে নিয়ে একশো জন স্ত্রী। রাবণের সমস্ত ভার্যা রাক্ষসী নয়। ঋষি কন্যা, দেবকন্যা এবং গন্ধর্ব কন্যারাও রাবণের পত্নী ছিল। অন্যান্য দিনের মতোই রাবণ মধুর বচনে আমাকে প্রেম নিবেদন করতে লাগলেন-' হে সুন্দরী সীতা, এত কষ্টের মধ্যেও তোমার সৌন্দর্য বিন্দুমাত্র ম্লান হয় নি। তুমি দিনের-পর-দিন রাতের পর রাত এভাবে বসে থেকে, মাটিতে শুয়ে কেন এত কষ্ট করছ আমি বুঝতে পারছিনা। তুমি চিরদিনের জন্য কেন আমার হয়ে যাচ্ছে না? আমাকে দেখলেই কেন হাত দিয়ে বুক এবং পেট ঢাকার চেষ্টা কর? আমি তোমার প্রেমে পড়ে ছটফট করছি। তোমাকে আমি এত ভালোবাসি যে তোমার উপরে কোনো জোর জুলুম করতে চাইছি না। সেই ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে গত দশ মাস তোমার সম্মতির জন্য পথ চেয়ে রয়েছি। তোমাকে হরণ করে আমি অধর্ম করেছি বলে ভেব না। পরের স্ত্রী হরণ করা বা পরের পরিবারকে জোর করে কেড়ে আনা রাক্ষসের ধর্ম। রাম নামে দরিদ্রটার জন্য চিন্তা করে এভাবে দিন কাটানো তোমার মূর্খতার পরিচায়ক। মাটিতে শুয়ে মলিন বস্ত্র পরিধান করে সব সময় চোখের জল ফেলে কোনো লাভ হয়েছে কি? তোমার রাম জীবিত না মৃত সে কথা জানার ও উপায় নেই। জীবিত হলেও সেই মানুষটার এখানে এসে পৌঁছানোর কোন শক্তি বা সাহস নেই। একনাগাড়ে কথাগুলি বলে রাবণ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল। আমার প্রতিক্রিয়া নিরীক্ষণ করে পুনরায় বলতে আরম্ভ করল রূপ-যৌবন সদায় থাকেনা। তাই যৌবন থাকতেই আমাকে স্বামী হিসেবে বরণ করে এই বিশাল রাজ্যের অধিকারী হয়ে জীবন কেন উপভোগ করছ না ।'
স্ত্রীদের সামনে রাবণকে তিরস্কার করব না বলে ভেবেছিলাম যদিও আমার পক্ষে তা মানা সম্ভব হল না। অন্যান্য দিনের মতোই রাবণের দিকে পিঠ দিয়ে কঠোরভাবে বললাম-' রাক্ষস নৃপতি রাবণ, তুমি পরের স্ত্রী হরণ করাটা রাক্ষসের ধর্ম বলেছ। কিন্তু একজন নৃপতির ধর্ম কী এ বিষয়ে কিছু বললে না। রাক্ষস নৃপতির পরের স্ত্রীকে সম্মান করা উচিত কিনা ? তোমার আমাকে পেতে চাওয়ার আশা করা বৃথা। বৃথা। তোমার সুন্দরী পত্নীদের প্রতি নিমগ্ন থাকা উচিত। তোমার রাজ্যে সৎ উপদেশ দেওয়ার মতো লোক নাই নাকি? যদি নেই তাহলে আমি উপদেশ দিচ্ছি শোনো- তুমি রামের কাছে ভুল স্বীকার করে আত্মসমর্পন কর। রাম সর্বদা শরণাগতদের রক্ষা করে থাকে। তা না হলে তুমি রক্ষা পাবে না। রাম তোমার স্বর্ণলঙ্কা ছারখার করার সঙ্গে সঙ্গে তোমাকেও বধ করবে। তুমি ইন্দ্রের বজ্র থেকে রক্ষা পেতে পার কিন্তু রামচন্দ্রের হাত থেকে পাবে না ।'আমার কথা শুনে রাবণের রাগ হয়েছিল। তবু রাগ সম্বরন করে বলেছিল-' সীতা তুমি আমাকে যে সমস্ত কথা বললে তার জন্য আমি তোমাকে প্রাণদণ্ড দেওয়া উচিত ছিল কিন্তু তোমার প্রেমে যেহেতু আমি অন্ধ হয়ে পড়েছি তাই তোমাকে আমি কোনো দন্ড দিতে চাইছি না কিন্তু একটা কথা ঠিক জেনে রাখ আর মাত্র দু মাস অপেক্ষা করব তারপরে তোমাকে আমার শয্যাসঙ্গিনী হতেই হবে। এর অন্যথা হলে রাঁধুনিরা তোমার মাংসে আমার সকালের আহার প্রস্তুত করবে। এটাই আমার শেষ কথা।'
রাবণের কথা শুনে ক্রোধে আমার সমস্ত শরীর কাঁপছিল। তাই তুই বলে সম্বোধন করে বললাম-' রাক্ষস তোর সুবুদ্ধি হবে কোথা থেকে? কারন তোর রামের হাতে মৃত্যু লেখা আছে। একজন পতিব্রতা নারীর যে পুণ্য এবং শক্তি তা দিয়ে আমি তোকে অভিশাপ দিয়ে ভস্ম করতে পারি। কিন্তু সেই অভিশাপ আমি স্বামীর অনুমতি ছাড়া দিতে পারব না। তাই তুই এখনও বেঁচে আছিস।আমার কথা শুনে রাবণের ক্ৰোধ আরও বেড়ে গিয়েছিল। সে কোনোমতে ক্রোধ সংবরণ করে শাস্তি হিসেবে বীভৎস চেহারার কয়জন রাক্ষসীকে আমার পাহারার জন্য আদেশ দিল, যাতে ওরা আমার অহংকার চূর্ণ করে রাবণকে পতি হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য করাতে পারে।
রাবণকে ক্রোধিত হতে দেখে তার পত্মীরা আমার উপরে অসন্তুষ্ট হয়েছিল। তারই একজন এগিয়ে এসে রাবণকে জড়িয়ে ধরে বলল-‘ মহারাজ এর কপালে সুখ নেই। আপনি শুধু শুধু কেন এই শীর্ণকায়ার পেছনে পড়ে আছেন? তারচেয়ে আপনি আমার সঙ্গে যতখুশি সময় কাটান।’ কিছুক্ষণ পরে পত্নীরা বুঝিয়ে সুজিয়ে রাবণকে নিয়ে চলে গেল। রাবণ চলে যাওয়ার পরে সেই ভয়ঙ্কর চেহারার রাক্ষসেরা আমাকে ঘিরে ধরল। এমনিতেই রাক্ষসেরা অনবরত কঠোর ভাবে ভৎর্সনা করে থাকে তার মধ্যে এখন রাজার আদেশ। ওরা আমার অবস্থা একেবারে দুর্বিষহ করে তোলার চেষ্টা করল। ঠিক তখনই ত্রিজটা নামের বুড়ি রাক্ষুসী এসে উপস্থিত হল। তিনি সবাইকে ধমক দিয়ে বললেন -'তোরা মানুষটাকে খেয়ে ফেলবে নাকি?' খেতে ইচ্ছে করছে যদি একে অপরকে খা। ওর সঙ্গে কেন ঝামেলা করছিস? তোরা যদি বেঁচে থাকতে চাস তাহলে এই মানুষটাকে মনোকষ্ট দিস না। ইনি রামচন্দ্রের গৃহিণী। আমি সেই মানুষটা সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি,তিনি নাকি সাক্ষাৎ বিষ্ণু এবং আজ শেষ রাতে কী স্বপ্ন দেখেছি শুনলে ভয় ভীত হয়ে পড়বি। এই মানুষটার স্বামী রাক্ষস কুল সম্পূর্ণ ধ্বংস করবে।'
আমি ত্রিজটার কথা শুনে অবাক হলাম। একেবারে সবজান্তার মতো কথাগুলো বলছিল। গত দশ মাস ধরে আমি এই বুড়ি রাক্ষসীকে ভালোভাবে লক্ষ্য করেছি। তিনি অন্যান্যদের তুলনায় জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমতী। তাই প্রত্যেকেই ত্রিজটার কথায় গুরুত্ব দান করে। রাক্ষসপুরীর সবাই স্বপ্ন বিশ্বাস করে। তারমধ্যে ত্রিজটার স্বপ্ন। তাই প্রত্যেকেই ত্রিজটাকে ঘিরে দাঁড়াল। আমি যদিও স্বপ্ন বিশ্বাস করিনা, তবুও ত্রিজটার কথা শোনার জন্য কান খাড়া করে রইলাম।
ত্রিজটা আরম্ভ করলেন-' ভোর রাতের স্বপ্নে আকাশপথে একটা রথ যেতে দেখলাম।এক হাজার সুন্দর ঘোড়া রথটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। রথের উপরে দুজন সুন্দর চেহারার পুরুষকে শুভ্র বসন পরিহিত দেখতে পেলাম। সেই দু'জন মানুষের মধ্যে একজন এর স্বামী অন্যজন দেবর লক্ষ্মণ। দুজনের কী দীপ্তিময় চেহারা। তার পেছনে দেখলাম সীতা শ্বেতবস্ত্র পরিধান করে পর্বতের চূড়ায় বসে আছে। চার দাঁতের এক সুন্দর হাতির পিঠে চড়ে রাম লক্ষ্ণণ সীতার কাছে এসে পৌঁছালো। সীতা রামের হাত ধরে হাতির পিঠে উঠলেন। তার মুখটা তখন চাঁদের মত মনে হচ্ছিল। সীতা হাতির পিঠে উঠে চন্দ্র এবং সূর্য মন্ডলের উপরে হাত বোলাচ্ছিল। চন্দ্র মন্ডল বা সূর্য মন্ডল স্পর্শ করা দেখলে যিনি স্পৰ্শ করেন তিনি রাজা বা রানি হন। তাহলে বুঝতে পারলি সীতা কি হবে? কথাটা বলে ত্ৰিজটা প্রত্যেকের মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইল। তারপর খুব চিন্তিত ভাবে বলল সবচেয়ে বড় কথা কি দেখলাম জানিস? রাম সীতা লক্ষ্ণণ আমাদের রাজার পুষ্পক রথে উঠে উত্তর দিকে চলে গেলেন। আমাদের রাজা রাবণকে খুব খারাপ অবস্থায় দেখতে পেলাম। মুকুট বিহীন রাজার সমস্ত শরীরে রক্ত। পরনে লাল বস্ত্র। মদের নেশায় মাতাল। তাকে পুষ্পক রথ থেকে খসে পড়তে দেখলাম। তারপরে হঠাৎ দেখলাম তাকে গাধায় টানা রথে। সেই রথ থেকেও খসে পড়তে দেখলাম। এমনকি রাজার ছেলে ভাই, ভাইপো, প্রত্যেকেরই এহেন দুর্দশা দেখে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। মনে নানা ধরনের চিন্তা আসছে। একমাত্র বিভীষণকে স্বাভাবিক রূপে দেখলাম। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ত্রিজটা কিছুক্ষনের জন্য চুপ করলেন।তারপর পুনরায় বললেন -'এখন আমি কী ভাবছি শোন, শেষ রাতের স্বপ্ন ফলবেই। আমাদের লঙ্কেশ্বরের এভাবে পতন হওয়াটা সহ্য করা কঠিন। কিন্তু কী করবি? নিজেই দোষ করেছে। মানুষটাকে গায়ের জোরে এভাবে বন্দি করে রাখা উচিত নয়। তোরা সীতাকে সাধারণ মানুষ বলে ভাবিস না। ওর কথাবার্তা থেকেও কি বুঝতে পারিস নি? মানুষটা রাজাকে ভ্রূক্ষেপ করেনা। তাই সীতার উপর অত্যাচার করা বন্ধ কর। তাহলে বেঁচে থাকতে পারবি। না হলে তোদের প্রত্যেকেরই প্রাণ যাবে। ত্রিজটার স্বপ্নের কথা শুনে সমস্ত রাক্ষসী স্তব্ধ হয়ে গেল। ওরা ভয়ে ভয়ে আমার দিকে তাকালো। কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমার কাছ থেকে দূরে চলে গেল। ত্রিজটা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন-' মা মন খারাপ করে থাকিস না। তোর দুঃখের দিন খুব শীঘ্রই শেষ হবে। আমি ত্রিজটাকে জড়িয়ে ধরে বললাম-' আমি স্বপ্ন বিশ্বাস করি না, যদিও তোমার স্বপ্ন আমাকে মনোবল জুগিয়েছে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন