রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পুরস্কার || হোমেন বরগোহাঞি || মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ -বাসুদেব দাস, Basudeb Das,

পুরস্কার

হোমেন বরগোহাঞি

মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ -বাসুদেব দাস




' ভাবিয়া না পাই কী দিব তোমারে
করি পরিতোষ  কোন উপহারে,
যাহা  কিছু আছে রাজ ভান্ডারে
 সব দিতে পারি আনি।'
' প্রেমোচ্ছ্বসিত আনন্দ-জলে
ভরি দুনয়ন কবি তারে  বলে
কন্ঠ হইতে দেহো মোর গলে
ওই ফুলমালাখানি।'
- রবীন্দ্রনাথ

সাহিত্যিককে  পুরস্কৃত করার উদ্দেশ্য মহৎ। পুরস্কারের অর্থমূল্য খুব বেশি অর্থপূর্ণ নয়; তার প্রতীকী  মূল্য অর্থাৎ লেখকের সৃজনক্ষম  প্রতিভার প্রতি সমাজের স্বীকৃতি এবং শ্রদ্ধা তার একমাত্র চিরস্থায়ী মূল্য। সন্দেহাতীত সৎ উদ্দেশ্য থাকলেও সবসময় যে বিচারকদের সিদ্ধান্ত নির্ভুল বা সর্বজনগ্রাহ্য হবে, এরকম আশা করা অনুচিত। কিন্তু উদ্দেশ্য সৎ এবং সুবিচারের চেষ্টা আন্তরিক হওয়া উচিত। এই কথা প্রত্যেকেই আশা করে। পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে যদি রাজনীতি, বন্ধু প্রীতি এবং স্বজনপ্রীতির অনুপ্রবেশ ঘটে, তাহলে সাহিত্যিক পুরস্কার তার সমস্ত মূল্য হারিয়ে ফেলে।
বাংলা সাহিত্য ভারতের সবচেয়ে উন্নত সাহিত্য। অন্যান্য বহু ভারতীয় ভাষার সর্বোত্তম গ্রন্থটির চেয়েও অনেক মাঝারি ধরনের বাংলা বই একটির সাহিত্যিক মূল্য বেশি বলে মনে হয়। ১৯৭৩  সনে একজনও বাঙালি লেখক সাহিত্য আকাদেমি  পুরস্কার পায়নি।'দেশ' নামের বাংলা পত্রিকা তখন সম্পাদকীয় মন্তব্য করে লিখেছিল–' সাহিত্য আকাডেমি নির্বিচার আমাদের সাহিত্যের সর্বোত্তম বিচার নিশ্চয় নয়( তার প্রমাণও রয়েছে)। বাংলা সাহিত্যে বছরে কত বই প্রকাশিত হয় কার খবর বিচারকরা রাখে কি? যাদের ওপর পুরস্কার প্রদানের চূড়ান্ত অধিকার ন‍্যাস্ত  রয়েছে, তারা যে তার জন্য যোগ্য ব্যক্তি– সেকথা বিশ্বাস করার কোন সঙ্গত যুক্তি আছে কি? বাংলা ভাষায় রচিত গ্রন্থ আকাদেমি পুরস্কার পেল না– তার জন্য অন্তত লেখকদের ক্ষোভ করার কোনো কারণ নেই। কিন্তু একটা প্রশ্ন আমরা করতে পারিঃ কারও ব্যক্তিগত মর্জি বা গুচির উপরে নির্ভর না করে সত্যিই বাংলা গ্রন্থের উপযুক্ত বিচার হয়েছে কি ? ভারতের সবগুলি ভাষায় উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচিত কেবল বাংলা ভাষায় একটি সাধারন মানের বইও প্রকাশিত হল না ,– এ কথা ভাবতে লজ্জা হয় ।'
১৯৭৩ সনে কোনো একটি বাংলা বই কেন সাহিত্য আকাদেমি র পুরস্কার পেল না তার গোপন রহস্য ফাঁস করে দিয়ে একই সংখ্যার 'দেশ' পত্রিকার অন্য একটি প্রবন্ধ লেখা হয়েছিলঃ পুরস্কারের যোগ্য বইয়ের নাম কি কুড়িজন বিদগ্ধধ বাঙালি  সাহিত্যিক এবং পণ্ডিতের কাছে চিঠি এসেছিল। লেখকদের নাম গোপনীয়,চিঠিও গোপনীয়। সাহিত্য আকাদেমি অনেকবার চিঠি লেখালেখি করে মাত্র বারো জন লোকের কাছ থেকে উত্তর আদায় করতে পারল। বাকি একজন নীরব হয়ে রইল। এই নীরবতার কয়েকটি কারণে অত্যন্ত লজ্জাজনক। গণ্যমান্য প্রাথমিক বিচারকদের কাছ থেকে যে সমস্ত' শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ'এর নাম এল তাতে দেখা গেল যে কোনো কোনো শ্রেষ্ঠ লেখক বিচারক বিশেষের আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ বন্ধু । অনুগত বন্ধুর বই সম্পর্কে প্রাথমিক বিচারক তিন পৃষ্ঠা জুড়ে সুপারিশ পাঠিয়েছেন, বাকি দুটি বইয়ের বিষয়ে মাত্র দুটি লাইন!... এই পর্ব শেষ হওয়ার পরে চূড়ান্ত তালিকায় যে সমস্ত সুপারিশ করা হল, সেই তালিকা সাহিত্য আকাডেমির কার্যনির্বাহকের সামনে পেশ করা হল। নির্বাচন পরবর্তী পর্যায়ে যা ঘটল তাহল এইঃ প্রাথমিক বিচারকদের দ্বিতীয় তালিকার সমস্ত বইয়ের চার কপি করে বাজার থেকে কিনে আনা হল এবং আকাদেমির দ্বারা নিযুক্ত তিনজন রিডারকে সেই সমস্ত পড়ে তাঁদের মতামত দিতে বলা হল। রিডার তিনজনের নাম টপ সিক্রেট। যথাসময়ে রিডারের মতামত আকাদেমির অফিসে গেল। দেখা গেল তিনজন তিনটি পৃথক পৃথক বইয়ের সুপারিশ করেছে। যদি দুজনও একই বইয়ের নির্বাচন করতেন, তাহলে একটি বই নির্ঘাত পুরস্কার পেয়ে যেত। তা হল না। ফলে এই বছরে একটিও বাংলা বই সাহিত্য আকাদেমির পুরস্কার পেল না‌। হতে পারে যে সাহিত্য সমালোচকের বিচার পদ্ধতি অন্ধের হস্তী-বর্ণনা। কিন্তু আপাতত আমি এটাই বুঝতে পারি যে প্রাথমিক বিচারক নির্বাচনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত নির্বুদ্ধিতা  হয়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ লোকসাহিত্য বিচারে অপারগ। তারা ছিলেন কোনো কোনো লেখকের মুরব্বী।
১৯৬০ সনে যখন একটিও বাংলা বই আকাদেমি পুরস্কার পেল না, তখন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর অত্যন্ত দাম্ভিকতার সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেনঃ ' ভালো বাংলা বই প্রকাশিত হয়নি।' তিনি এই ধরনের মিথ্যা কথা বলার কারণ ছিল এই যে সেই বছর পুরস্কারের খেলায় তার নিজস্ব কোনো প্রার্থী ছিল না। বিশ্বাস এবং জনশ্রুতি হল এই যে সেই বছর তিনি কোনো একজন বিশেষ সাহিত্যিকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিচারকদের কাছে অবিরামভাবে বিরূপতা প্রকাশ করেছিলেন।
পুরস্কার বা সম্মান প্রদানের ক্ষেত্রে সবসময়ই যে এই ধরনের অবাঞ্ছনীয় ঘটনা ঘটে সে কথা কিন্তু বলা যায় না। বেশিরভাগ যোগ‍্য লোকই নিশ্চয় সম্মানিত এবং পুরস্কৃত হয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যে দুর্নীতি এবং দুষ্কার্য ঘটে। তার ফলে পুরস্কার এবং সম্মানের অবমূল্যায়ন ঘটে।
দুর্নীতি কেবল  ভারতেই ঘটে এ কথা নিশ্চয় সত্যি নয়। পুরস্কার এবং সম্মান অর্জনের জন্য বিদেশেও নিচ ষড়যন্ত্র চলে। বিশ্বের বিখ্যাততম পুরস্কার নোবেল পুরস্কারও সব সময় সন্দেহ মুক্ত নয়। কিন্তু তার মধ্যেও বিদেশের  অনেক সাহিত্যিকের এরকম অনেক মহত্তর কাহিনি শুনতে পাই-- যা সমস্ত মানুষের সততা এবং মহত্তের ওপরে আমাদের বিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।
১৯৭৬ সনে সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন আমেরিকান ঔপন্যাসিক সলবেলা। পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মনে প্রথম কী প্রতিক্রিয়া হল? তাঁর মনে  প্রথম এই কথা এল যে আঁদ্রে মালরো এবং হেনরী  মিলারও এই পুরস্কার পাওয়া উচিত।
১৯২৬ সনে  সিনক্লেয়ার লুইকে আমেরিকার সবচেয়ে লোভনীয় পুলিৎজার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। সেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেছিলেনঃ 'Every compulsion is put upon writers to become safe, polite, obedient and sterile.'কিন্তু ১৯৩০ সনে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে হল। পুরস্কার বিজয়ী সিনক্লেয়ার অনুভব করলেন যে আসলে ইউজিনি অ'নিলেই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল । পুরস্কার গ্রহণ করে দেওয়া ভাষণে তিনি অকৃত্রিম অনুভূতির সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেনঃ 'Had you chosen Eugene O'Neill ,who had nothing much in American drama save to transform it utterly in ten or twelve years, from a false world of neat and competent trickery to a world of splendour and fear and greatness, you would have been reminded that he has done something far worse than scoffing ,–he has seen life as not to be neatly arranged in the study of a scholar but as a terrifying ,magnificent and often quite horrible thing, akin to the tornado ,the earth quake ,the devastating fire.'
সাহিত্যিক পুরস্কারের ক্ষেত্রে একটি আরও মহত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। এডনা সেইন্ট ভিনসেন্ট মিলের ক্ষেত্রে। 
ফার্ডিনেণ্ড পিনি আর্ল নামের একজন সাহিত্যানুরাগী মানুষ একবার একটি কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। প্রথম পুরস্কার পাঁচশ  ডলার। ভালো কবিতা গুলি সংগ্রহ করে তিনি' লিরিক্যাল ইয়ার' নাম দিয়ে  একটি কবিতা সংকলন প্রকাশ করবেন। তিনি আশা করেছিলেন যে মাত্র কয়েকশ' কবিতা আসবে। কিন্তু  প্রতিযোগিতার জন্য কবিতা এল দশ হাজার।
যে খবরের কাগজে এই কবিতা প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, এই খবরের কাগজটা একজন ধোবি তার খরিদ্দারের কাপড় বাঁধা কাজে ব্যবহার করেছিল। এই বিশেষ খরিদ্দারটি  ছিলেন একজন বিধবা মহিলা। তার দুই মেয়ের মধ্যে এডনা সেইন্ট ভিনসেন্ট মিলে নামে উনিশ বছরের মেয়েটির শৈশব থেকেই কবিতা লেখার সখ ছিল । ধোবির ঘর থেকে আনা কাপড়টা খুলতে গিয়ে খবরের কাগজের একটা বিজ্ঞাপনে হঠাৎ কোনোভাবে মেয়েটির চোখ পড়ল। কাউকে কিছু না বলে সে  মনে মনে একটা কবিতা লিখে প্রতিযোগিতায় পাঠিয়ে দিল। কবিতাটির নাম ছিল Renascence ।
দশ হাজার  কবিতা থেকে একটি মাত্র ভালো কবিতা কীভাবে বাছা  যায়? ফার্ডিনান্ড আর্ল একজন বন্ধুর সাহায্য নিলেন। বন্ধুটি কবিতাগুলি  পড়ে যায়, আর প্রথম পংক্তিটা  পড়ার পরে খারাপ বলে মনে হলেই ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ভিনসেন্ট মিলের কবিতাটিও প্রথম দুটি লাইন পড়েই সেটি একটি অত্যন্ত বাজে কবিতা বলে ফেলে দিলেন। কিন্তু ফার্ডিনান্ড আর্লের কবিতার রুচি ছিল নির্ভুল। তিনি ফেলে দেওয়া কাগজের ঝুড়ি থেকে কবিতাটা কুড়িয়ে নিয়ে প্রস্তাবিত সংকলনে স্থান দেওয়ার জন্য রেখে দিলেন। চূড়ান্ত বিচারক অরিক জন নামের একজন কবি পাঁচশ  ডলারের প্রথম পুরস্কার লাভ করলেন। কিন্তু নির্বাচিত সবগুলি কবিতা সংগ্রহ করে যখন 'লিরিকেল ইয়ার' নামের কবিতা সংকলন প্রকাশ করা হল তখন সমগ্র আমেরিকা ঘোষণা করল যে উনিশ বছরের যুবতি মেয়ে এডনা সেইন্ট ভিনসেন্ট মিলের লেখা Renasfence  নামের কবিতাটি কেবল সেই কবিতা সংগ্ৰহেরই সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা নয়, বিংশ শতাব্দীর আমেরিকান কবিতার এটি একটি সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পাওয়া অরিক জন নিজে ঘোষণা করল যে তাকে  প্রথম পুরষ্কার দিয়ে অত্যন্ত অবিচার করা হয়েছে। এখানেই ক্ষান্ত  না থেকে তিনি পুরস্কার নিতে অস্বীকার করলেন ।
আমাদের দেশে এরকম ঘটনা কখনও ঘটেছে কি বা ভবিষ্যতে ঘটবে ?
ঠিক প্রাসঙ্গিক না হলেও পুরস্কারের সম্পর্কে অন্য একটি কথা মনে পড়ছে সুইডেনের রাজা একবার প‍্যারিস ভ্রমণ করতে  এসেছিল।তাঁর দেশেরই একজন বড় বিজ্ঞানী স্কিলি চুম্বক শক্তির বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য প্যারিসের গুণী জ্ঞানী লোকেরা সুইডেনের রাজাকে  উচ্ছ্বসিত অভিনন্দন জানাল। রাজা গুস্তাভ তাঁর নিজেরই প্রতিভাশালী  প্রজা স্কিলির কখনও নাম শোনেন নি। কিন্তু প্যারিসে স্কিলির প্রশংসা শুনে রাজা তখন তার প্রধানমন্ত্রীকে টেলিগ্রাম করে আদেশ দিলেন যে স্কিলি  নামের মানুষটিকে তক্ষুনি কাউন্টের পদ দিতে হবে । প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর অন্য কোনো সহকর্মীরাও কখনও স্কিলির নাম শুনেনি । অনেক কষ্ট করে তাঁদের একজন স্কিলিকে খুঁজে বের করল। তিনি ছিলেন একজন সামরিক অফিসার এবং বিলিয়ার্ড চ্যাম্পিয়ন। যাইহোক, স্কিলি নামের একজন মানুষকে খুঁজে পাওয়া গেল। রাজার আজ্ঞা শিরোধার্য করে তাকেই কাউন্টের পদ দেওয়া হল। বিজ্ঞানী স্কিলির কেউ কোনো খবরই পেল না।
আধুনিক ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশের আকস্মিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় সেই সময়ের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ও শবযাত্রায়  যোগ দিতে গেলেন। তিনি শবযাত্রায় যোগ দিতে যাওয়ার একমাত্র কারণ ছিল এই যে দুজনেই ছিলেন ব্রাহ্ম এবং দূরসম্পর্কের আত্মীয়। কিন্তু জীবনানন্দের শব যাত্রায় যোগ দেওয়া অগণিত মানুষের শোকাকুল  মুখ দেখে বিধান রায়  বিস্মিত হলেন। কত মানুষে মৃত্যু হয়, কিন্তু জীবনানন্দের মৃত্যুতে কলকাতার এত মানুষ শোকে  ভেঙ্গে পড়েছে কেন?
জীবনে প্রথমবারের জন্য বিধান রায় জানতে পারলেন যে জীবনানন্দ কবিতা লিখতেন। কিন্তু সেই কবিতা সাহিত্যের মধ্যে অস্তিত্ব চেতনার অপরিসীম ব্যাপ্তি অনুভব করা লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য অনির্বচনীয় আনন্দ বেদনার কী অপার্থিব জগৎ সৃষ্টি করেছিল সেকথা বিধান রায় বিন্দুমাত্র অনুভব করতে পেরেছিলেন কি ?


লেখক পরিচিতি- ১৯৩২ সনে লক্ষ্মীমপুর জেলার ঢকুয়াখনায় হোমেন বরগোহাঞির জন্ম হয়। ১৯৫৪ সনে কটন কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতক। সাময়িকভাবে সরকারি চাকরি করে সাহিত্যচর্চা এবং পরবর্তীকালে সাংবাদিকতা কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ‘নীলাচল’, ‘জনক্রান্তি’, ‘নাগরিক’,’অসম বাণী’ইত্যাদি কাগজের সম্পাদনা করেন। ‘পিতাপুত্র’ উপন্যাসের জন্য ১৯৭৭ সনে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ‘আত্মানুসন্ধান’, ‘বিভিন্ন নরক’, ‘সুবালা’, ‘মৎস্য গন্ধা’, ‘সাউদর পুতেকে নাও মেলি যায়’ লেখকের অন্যতম গ্রন্থ। লেখকের ছোট গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ এবং আত্মজীবনী মূলক  রচনা অসমিয়া সাহিত্যকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করে তুলেছে।  







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...