পূরবী~ ৬৩
অভিজিৎ চৌধুরী
একটা শ্লেট লইয়া কবিতা লিখিতাম।সেটাও বোধহয় মুক্তির লক্ষণ।
জীবন স্মৃতিতে এরকমই লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
একবার বিদ্যাসগর মহাশয়কে ম্যাকবেথের তর্জমা শোনাতে নিয়ে গেলেন রামসর্বস্ব পণ্ডিতমশাই।কিছুটা শোনালে হলে সেখানে উপস্থিত রাজকৃষ্ণবাবু বলেছিলেন,ডাকিনীর উক্তিগুলির ভাষা ও ছন্দের বিশেষত্ব থাকছে এমনটা করলে ভাল হতো।
তীর্থ অনুবাদ করতে তেমন চাইত না।তার কাছে অজানা শব্দগুলি আভিধানিক অর্থের বাইরে গিয়ে নিজের মতন কিছু একটা হয়ে যেত।
১৭ বছর বয়সে লনডন কেমন দেখেছিলেন লিখলেন;এমন বিষণ্ণ অন্ধকার পুরী আর কখনও দেখিনি।ধোঁয়া মেঘ বৃষ্টি কুয়াশা ব্যস্তসমস্ত লোকজন - তাঁর হয়তো প্রথম দর্শনে ভাল লাগেনি।
ব্রাইটন পাবলিক স্কুলেও ভর্তি হলেন।নবাগত প্রবাসীর তখন কি মনে পড়ত স্বদেশে ফেলে আসা নতুন বউঠানের কথা! জ্যোতিদাদার তেতলার আসর!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন