রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১

পূরবী~ ৬০ || অভিজিৎ চৌধুরী || Purabi~ 60

 পূরবী~ ৬০ 

অভিজিৎ চৌধুরী : Purabi~ 60





আজ বাইশে শ্রাবণের সন্ধেয় তীর্থ নোটবুক খুললো।প্রতিটি বাইশে শ্রাবণে সে যেন নিজের মৃত্যুর ছায়া দেখতে পায়।অফিসে সামান্য বিতর্ক হচ্ছিল পঞ্চম জর্জ আসাকে ঘিরে তিনি লিখেছিলেন,জনগণমন অধিনায়ক জয় হে।ভূষিত করেছিলেন ভারতভাগ্যবিধাতা হিসেবে।আর তাঁর নোবেল প্রাইজ ব্রিটিশ তোষণে প্রাপ্ত।
বউঠান বলতেন,রবি তুমি খুব খ্যাতির কাঙাল।মানুষ ডাকলেই গাইতে হবে।
সুদূরপারে ওকাম্পোর হয়তো ভালোবেসেছিলেন তাঁকে।তখন বয়স ৬৩।সৃষ্টির ছলনা জাল আর প্রেম থেকে চিরবিদায় নেওয়া।
হাত কাঁপছিল।তবুও হে ছলনাময়ী, আরেকবার হয়তো শেষবার লিখবেন তিনি।পারলেন না।কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন।লিখে নিলেন হেড নার্স, যাঁকে তিনি পরিহাস করে তাই ডাকতেন।
তীর্থ একবার নিজের গলা টিপে দেখল মরতে কেমন লাগে! না,মৃত্যুর কোন ট্রায়াল হয় না।
অদ্ভুত সংযম দেখিয়েছেন যতোবার তাঁকে আঘাত করা হয়েছে।নীরব থেকেছেন।রানীকে ডেকে বলেছেন রাজা, আমার তো আর কিছু নেই শুধু আছে বীণা।আমার বীণা তোমায় ডাকবে।অবসর পেলে সাড়া দিও।না হলে ভুলে যেও।আমার কোন জোর নেই যে তোমায় আমার কাছে বেঁধে রাখতে পারি।
চললেন তিনি গহন পথে। শান্তিনিকেতনের রাঙা পথে নয়,কলকাতার জনসমুদ্রে।
জয় বিশ্বকবির জয়।
নতুন বউঠান হাসছিলেন নীহারিকাপুঞ্জ থেকে,রবি - প্রতারিত হলে তো!বোকার গল্প বিশ্বাস করে কেন ডেকেছিলে রাণীকে!
কি বলবে তীর্থ!  অগণ্য  বিস্মৃতির স্তরে তিনি কি চলে যাবেন! তাঁকে কি ক্ষমা করবে মহাকাল!
নাকি তিনি আবার চললেন চব্বিশ বছরের সেই স্থায়ী মৃত্যুস্মৃতির কাছে! রথী কি দেখতে পাচ্ছেন,সেই জলি বোট।সেই পদ্মা।শুনতে পাচ্ছেন,মহাশূন্যযান! যেতে যেতে তাঁর গান।
Songs Offerings হারিয়ে ফেলে রথী যখন পিতৃদেবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, তিনি বললেন,খ্যাতি বড় বিষম বস্তু।যতো কম হয় ততোই ভালো।তুমি যদি খুঁজে পাও ভালো,না হলেও দুঃখ নেই রথী।আবার লিখব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...