পূরবী~ ৫৭ || অভিজিৎ চৌধুরী
তীর্থ ভাবছিল, কোনটা অপরূপ! এই এখন বেঁচে থাকাটা নাকি মৃত্যুর পর অসীমলোকে হারিয়ে যাওয়া! তার আগে মরতে হবেই।কেমন হবে মৃত্যু!ফোটন- কণা হয়ে যাওয়া যেত যদি তাঁদের কাছে! মৃত্যুর স্বাদ যাঁরা পেয়েছেন।হয় কিচ্ছুটি নেই,না হয় লয় হয়ে গেছে সব কিছু।দেহের কোনটা আগে স্তব্ধ হবে! নানা মুনির নানান মত।চোখে রোদচশমা।শান্তিনিকেতন ছাড়ছেন রবীন্দ্রনাথ। চোখের জল আড়াল করছেন।হিয়ার মাঝে লুকিয়ে রইল পৃথিবীর আলপথ।বিপুল তরঙ্গের মধ্য দিয়ে তিনি পার করলেন বাইশে শ্রাবণ।
তীর্থের মৃত্যু হবে অনাড়ম্বর। আই সোসাইটি এক মিনিটের নীরবতা পালন করবে।
আকাশ পার করে অন্য আকাশ! মা থাকবে! ডাকবে কি, মনু এলি!
মনে হবে বা-রে।এতো নতুন করে শুরু।দেওঘরে বাজার করতে যাওয়া।রায় লজ।ছোট্র ঘর।কি মমতায় মা অপরূপা করে তুলেছে ছোট্ট ঘরটি।বিকেলে টমটমে চেপে অদূরের পাহাড়।বাবা কাশছে।খানিকটা রক্ত পড়েছে পাথরের গায়ে।মা বলছে,ফিরে যাই চল।
সেই ফিরে যাওয়া কতো সুন্দর। ঘোড়াগুলির গলায় ঘন্টিবাঁধা।বাজছে।
হেমন্ত আসছে।কুয়াশার ঢেউ উচ্চাবচ পথ জুড়ে।
গাছগুলি বৃষ্টির তোড়ে নুইয়ে পড়ছে।রবীন্দ্রনাথ চলেছেন একা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন