পূরবী-৫৫
অভিজিৎ চৌধুরী
সদর স্ট্রীট থেকে কারোয়ার সমুদ্রতীরে গেছিলেন সদলবলে রবীন্দ্রনাথ। বোম্বাই প্রেসিডেন্সির দক্ষিণ অংশে কর্ণাটের প্রধান নগর।এলালতা আর চন্দনতরুর জন্মভূমি সেই মলয়াচলের দেশ।কলকাতার কোলাহল থেকে অনেক দূরে নিস্তরঙ্গ সমুদ্র ঝাউবন দিনে তপ্ত বালুকারাশি – নগরের এমন নিস্তব্ধতা তিনি সেই প্রথম অনুভব করেন।ওকাম্পোর সঙ্গে গল্পের ছলে এসেছিল কারোয়ার কথা।তখন বোধহয় সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানকার জেলাজজ হয়ে এসেছিলেন।
বাড়িতে যখন ফিরেছিলেন মনে হয়েছিল যেন কোন গভীরতম ঘুমের প্রদেশ থেকে উঠে এসেছেন।
সেই ঘুমের দেশ ছিল তীর্থের বালকবেলায়।প্যারা টাইফয়েডে সমস্ত চেতনা যেন প্রগাঢ় ঘুমের দেশে রওনা দিত।
চাঁদের পাহাড়ে শংকরের মা বলেছিল,বাবা শংকর, তোর বাবার শরীর ভালো নেই। তোকে নৈহাটির পাটকলে চাকরি করতে হবে।তারপরেই এলো প্রসাদদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই ডাক সুদূর মোম্বাসা। তীর্থও কি কখনও ভেবেছিল সে চাকরি করবে! মা বলতো,তোর বাবার শরীর ভালো নেই,কখন আর চাকরি করবি! চাকরির পড়ার চাইতে তীর্থের মন পড়ে থাকত এক জাহাজের ডেকে।ডেকে দাঁড়িয়ে রয়েছে নতুন ক্যাপ্টেন,হাতে দূরবীন। সাহেব জেঠুর মতোন তারও চোখদুটো বন্দরে বন্দরে ঘুরতে পিঙ্গলবর্ণ হয়ে গেছে।গায়ের রং কালো আর তামাটের মিশ্রণ ।তাতে কি,পথের বন্ধু হয়েছে কিছু সিগ্যাল।রাতে লাইট হাউস তাকে পথ দেখায়, কখনওবা ধ্রুবতারা সঙ্গী হয় তীর্থের।
আকর্ষণীয়
উত্তরমুছুন