যে প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই
হোমেন বরগোহাঞি
মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ- বাসুদেব দাস
উত্তর ঠিক নেই বলে বলা যায় না। কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী ছাড়া বাকি অন্য কেউ সেই উত্তরে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হতে পারে না। প্রশ্নটি হলঃ ঈশ্বর নামে একটি পরম সত্তা সত্যিই আছে কি?
এই প্রশ্নগুলি সম্পর্কিত মানব সমাজকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারেঃ আস্তিক, নাস্তিক এবং অজ্ঞেয়বাদী। আস্তিক্যবাদীদের মূলমন্ত্র হল- বিশ্বাসে মেলে কৃষ্ণ তর্কে বহুদূর। তারা কোনো প্রমাণের অপেক্ষা না করেই প্রশ্ন কীভাবে বিশ্বাস করে যে এই বিশ্ব সৃষ্টির একজন স্রষ্টা আছে এবং তাঁর ইচ্ছামতোই সমগ্র জগৎ চালিত হয়- সেই পরম সত্তার সঙ্গে সংযোগ সাধন মানবজীবনের চরম লক্ষ্য বলেও তারা বিশ্বাস করে। যেহেতু জীবনের চরম লক্ষ্য রয়েছে তাই তাদের মতে জীবনটা কখনও অর্থহীন হতে পারেনা। দ্বিতীয় দলে পড়ে নাস্তিকরা। তারা বস্তু বহির্ভূত কোনো পরমসত্তা বা চেতনায় বিশ্বাস করেনা। এই দুই দলের বাইরেও আরও একদল মানুষ আছে, যারা আস্তিকদের মতো যেভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা জীবনের অর্থ অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে পারেনা, সেভাবেই তারা নাস্তিকদের মতো সৃষ্টির কোনো এক আদি কারণ এবং চরম লক্ষ্যের সম্ভাবনাও ফু মেরে উড়িয়ে দিতে চায় না। তারা কেবল বলতে চায় যে মানুষের জ্ঞান আর চেতনা নাগাল পাওয়ার ওপারে কিছু একটা পরমসত্তা থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু মানুষের সীমিত জ্ঞান বুদ্ধিতে সেই পরমসত্তার স্বরূপ জানা কখনও সম্ভব নয়।
এদেরকে বলা হয় অজ্ঞেয়বাদী।
আমি নিজেকে অজ্ঞেয়বাদী বলতে চাই। নিজের চিন্তা শক্তির বিকাশ না হওয়া পর্যন্ত জন্মার্জিত সংস্কার এবং পরিবেশের প্রভাবের ফলে আমি আস্তিক এবং ঈশ্বরবিশ্বাসী ছিলাম। যৌবন সুলভ আত্মবিশ্বাস এবং প্রশ্নশীলতা আমাকে নাস্তিক করে তুলেছিল। কিন্তু বয়স এবং চিন্তা শক্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বিরাট এবং বিস্ময়কর বিশ্বসৃষ্টি এক আতশবাজি ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে বিশ্বাস করাটা আমার পক্ষে কঠিন হয়ে উঠেছে, তার সঙ্গে এটাও বিশ্বাস করা আমার পক্ষে কঠিন যে আমার এবং একটি শুয়োরের জীবনের শেষ পরিণতি অভিন্ন।
মনুষ্যেতর সমস্ত প্রাণীর ক্ষেত্রে বিবর্তনের প্রক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে কেন থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল এবং কেবল মানুষের ক্ষেত্রেই তা কেন আজও অব্যাহতভাবে ক্রিয়াশীল- সেই প্রশ্নেরও কোনো যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর আমি আজ পর্যন্ত পাইনি। মানুষের সভ্যতার বয়স এখন মাত্র দশ হাজার বছর হয়েছে । মানুষ যদি আণবিক আত্মহত্যা না করে তাহলে আর ও দশ হাজার বছর পরে মানুষ কী রূপ লাভ করবে সে কথা আজ কেউ কল্পনা করতে পারবে কি ? সেই দেব- সদৃশ মানুষ এবং তখনও শুয়োর হয়ে থাকা একটা শুয়োরের জীবনী অন্তিম পরিণতি একই হবে বলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে কি?
মানুষ তার সীমিত জ্ঞানে যতটুকু জেনেছে তার ওপারে কিছুই নেই- একথা বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। কিন্তু তা বলে মানুষ তার সীমিত জ্ঞানে ঈশ্বর ,আত্মা এবং পরকালের যে সমস্ত উদ্ভট রূপ কল্পনা করেছে সেসব বিশ্বাস করাও সম্ভব নয়। বরং বিনম্রভাবে একথা স্বীকার করে নেওয়াই বেশি ভালো যে একটা বুদ্ধিমান কুকুরের চেতনায় যেভাবে সে বসে থাকা ড্রইংরুমটির বিলাসী আসবাব, টেলিভিশন সেট কিংবা দেওয়ালে ঝুলে থাকা রেমব্রান্টের ছবির কোনো অর্থ নেই ঠিক সে ভাবে এই বিরাট বিশ্বের বেশিরভাগ কথাই মানুষের জন্য দুর্বোধ্য। কুকুর বুঝতে পারেনা বলেই টেলিভিশনটা যেভাবে অর্থহীন হয়ে যেতে পারে না, ঠিক সেভাবে মানুষ বুঝতে পারে না বলেই জীবন-মৃত্যুর ওপারের রহস্য গুলি অর্থহীন হতে পারে না। অবশ্য এই উপমাটা আমার নিজের উদ্ভাবন নয়। কোনো একজন পণ্ডিতের লেখায় পড়েছিলাম। তার নামটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
ঈশ্বর ,আত্মা ,পরকাল ইত্যাদির কথা উঠলেই অবধারিতভাবে ধর্মের প্রসঙ্গ এসে পড়ে। আমি ধর্মে বিশ্বাস করিনা। পৃথিবীতে সৎ এবং আদর্শ জীবন-যাপন করার জন্য ধর্মের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং অনেক তথাকথিত ধর্ম বিশ্বাসীর চেয়ে নাস্তিকের মধ্যে বিবেকী এবং মানবপ্রেমিক মানুষ বেশি দেখা যায় । অন্যদিকে ধর্ম মৃত্যুর ওপারের জীবনের যে চিত্র তুলে ধরেছে বা যাকে মানবজীবনের চরম লক্ষ্য বলে ঘোষণা করেছে তার প্রতিও আমি বিন্দুমাত্র আকর্ষণ অনুভব করি না । উদাহরণস্বরূপ কোনো কোনো ধর্ম বলতে চায় যে মুক্তি বা নির্বাণই মানুষের চরম লক্ষ্য হওয়া উচিত। তারা জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে নিস্তার লাভ করে পরম ব্রহ্মে লীন হয়ে যেতে চায়। প্রধানত দুটি কারণে মোক্ষ বা নির্বাণের কামনা সম্পূর্ণ অর্থহীন বলে আমার মনে ধারণা হয় । প্রথমত আমি ধরেই নিয়েছি যে আমি ইচ্ছা করি বা না করি মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আমি মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যাবই। জীবন মাত্র একটাই। পরজন্ম বা জন্ম-মৃত্যু চক্র বলে কোনো জিনিস নেই। মহাশূন্য তথা পরম ব্রহ্মে বিলীন হয়ে যাওয়াটাকেই যদি মোক্ষ বা নির্বাণ বলে বলা হয়, তাহলে প্রাণী মাত্রই মোক্ষলাভ জন্ম স্বত্ব। তার জন্য বিশেষ সাধনা বা ধর্মাচরণের কোনো প্রয়োজন নেই। কেউ কেউ অবশ্য এখানে প্রশ্ন করতে পারেঃ তুমি দেখছি নিজেকে অজ্ঞেয়বাদী বলে ঘোষণা করেছিলে। পুনর্জন্ম নাই বলে এত নিশ্চিন্তভাবে তুমি কীভাবে জানলে?' এর উত্তরে আমি বলতে চাই যে নিজের জীবনের হিসাব নিকাশের জন্য পুনর্জন্ম বা মৃত্যুর পরে আত্মার অস্তিত্ব নাই বলে ধরে নিয়েছি। কিন্তু যখন কোনো ধর্ম বলে যে মহাশূন্য তথা পরম ব্রহ্মে বিলীন হয়ে যাওয়াটাই জীবনের পরমতম লক্ষ্য , তখন আমার মনটা ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এক সময় আমি একটা বস্তু কণিকাই ছিলাম, অর্থাৎ পরমব্রহ্মে বিলীন হয়ে ছিলাম। কোটি কোটি বছরের সাধনার পড়ে আমি চেতনা এবং কল্পনায় বিভূষিত এই অপরূপ গরিমা -মণ্ডিত মানবজীবন লাভ করেছি। এই কোটি কোটি বছরের সাধনাকে ব্যর্থ করে কীসের দুঃখে আমি পুনরায় নিশ্চয় কোন বস্তু কণিকায় পরিণত হতে যাব?
অন্য কোনো কোনো ধর্ম আত্মাকে অমর বলে ঘোষণা করেছে, কিন্তু সেই আত্মার অন্তিম পরিণতি হল অনন্ত নরক-বাস কিংবা অনন্ত স্বর্গবাস। কারও বিশ্বাসে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়, কিন্তু তা বলে নিজের বিশ্বাস ব্যক্ত না করেও আমি থাকতে পারব না। অনন্ত স্বর্গ কিংবা অনন্ত নরক কোনোটাই আমার কাম্য নয়। তাছাড়া আমি এই কথা কখন ও বিশ্বাস করতে পারি না যে মানুষের জন্য অনন্ত স্বর্গ বা অনন্ত নরক পূর্বনির্দিষ্ট হয়ে রয়েছে- বা মানুষ প্রার্থনা এবং ধর্মাচরণের দ্বারাই ঈশ্বরের করুণা লাভ করতে পারে। ওল্ড টেস্টামেন্টে জবের উপাখ্যানের মধ্য দিয়ে যে মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে আজ পর্যন্ত কোনো ধর্মই তার উত্তর দিতে পারেনি।
সংক্ষেপে বলতে গেলে ধর্ম মানুষকে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিতে চায় আমার জন্য সেইসব প্রতিশ্রুতির কোনো মূল্য নেই। ধর্মের basic premise টাই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্ম যে ঈশ্বরকে কল্পনা করেছে সেই ঈশ্বরে আমি বিশ্বাস করিনা। আমি আমার অনুভূতির অবিকল প্রতিধ্বনি শুনতে পাই এইচ এল মেনকেনের এই স্পষ্ট ভাষণেঃ' ঈশ্বরের তথাকথিত মঙ্গলময়তার কোনো প্রমাণই আমি এই জগতে দেখতে পাই না। বরং ঈশ্বরের দৈনন্দিন কাজকর্ম গুলি দেখে তার বিপরীতে আমার এই বলেই ধারণা হয় যে তিনি নিশ্চয় অতিশয় নির্বোধ, নিষ্ঠুর বা খল স্বভাবের ব্যক্তি। আমি নির্মল বিবেক নিয়ে একথা বলতে পারি, কারন আমার প্রতি তার আচরণ অতিশয় সদয়, সত্যি কথা বলতে গেলে তিনি আমার প্রতি সদায় অতি সৌজন্যপূর্ণ ব্যবহার দেখিয়ে আসছেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের উপর তিনি যে বর্বরোচিত অত্যাচার চালিয়ে আসছেন সে কথা আমি এক মুহূর্তের জন্য ও ভুলতে পারিনা। যে ঈশ্বর যুদ্ধ আর রাজনীতির ঈশ্বর, যে ঈশ্বর ধর্মতত্ত্ব এবং কর্কট রোগের ঈশ্বর, সেই ঈশ্বরকে পূজা করার কথা আমি ভাবতেই পারি না।
দুঃস্থ মানবতার প্রতি করুণা এবং সহানুভূতিতে মানুষটি কীভাবে উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছে লক্ষ্য করেছেন কি? ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত অভিযোগ নেই। তাঁর নিজস্ব জীবন সৌভাগ্যে পরিপূর্ণ। কিন্তু ঈশ্বরকে তিনি ক্ষমা করতে পারেন নি অন্য কোটি কোটি মানুষকে তিনি জীবন্ত ভোগানোর জন্য। বেশিরভাগ ধর্ম বিশ্বাসী এবং সাধু মহন্তের চেয়ে এই নাস্তিক এবং ঈশ্বর নিন্দুক মানুষটি হাজার গুনে বেশি ভক্তির পাত্র নয় কি? ধার্মিক মন্দিরে বসে বসে অহোরাত্র ঈশ্বরের নাম নেয় নিজের শান্তি এবং মুক্তির জন্য। কিন্তু মেনকেন ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ক্রোধে জ্বলে পুড়ে মরছেন মানবকুলের অকথ্য দুঃখ-যন্ত্রণার কথা ভেবে। এই পবিত্র ক্রোধ এবং করুনার চেয়ে মনুষ্যত্বের মহত্ত্বর পরিচয় আর কি হতে পারে?
কিন্তু এহ বাহ্য ।
ঈশ্বর আছে কিনা আমি জানিনা। থাকলেও তার আসল মতলব কী আমি জানিনা। চেতনা বস্তু থেকেই উদ্ভুত না তা বস্তুর ওপরে আরোপিত সেই তর্ক ও চিরকালের জন্য সমাপ্ত হয়েছে বলে আমি ভাবি না। কিন্তু মানুষের দুর্বল ইন্দ্রিয় চেতনা এবং দেশ কালের দ্বারা সীমিত ক্ষুদ্র জীবনের সীমার বাইরে অন্য কিছুই নেই, নেই আপাতদৃষ্টিতে অরাজক এই বিশ্ব বিধানের মূলে কোনো কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা- সে কথাও বিশ্বাস করা আমার পক্ষে কঠিন। আস্তিক অন্ধভাবে বিশ্বাস করে, নাস্তিক সৃষ্টির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে এক পরমসত্তা ঈশ্বরের অস্তিত্ব ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমার মতো অজ্ঞেয়বাদী কী করে? বিশ্বাস এবং সংসয়ের মধ্যে চির দোলায়িত তার জীবনের অবলম্বন কী?
সমস্ত অজ্ঞেয়বাদীর হয়ে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আর্থার কোয়েসলার । তিনি বলেছেন মানুষ যেভাবে গায়ের ত্বক দিয়ে চুম্বকের আকর্ষণ অনুভব করতে পারে না, তেমনই কেবল বুদ্ধির সাহায্য ও মানুষ পরমসত্তার উপলব্ধি করতে পারে না । এই বাণী যেন লেখা হয়েছে অদৃশ্য কালি দিয়ে কিন্তু মানুষ সেই বাণী পড়তে না পারলেও সেরকম একটি বাণীর অস্তিত্ব যে আছে সেই বোধটাই তার অস্তিত্বের গঠনবিন্যাস পরিবর্তন করে দিতে পারে এবং সেই বাণীর সঙ্গে সংগতি রেখে কাজ করার জন্য তাকে বাধ্য করতে পারে ।'
এই কথাটাকেই আর ও বেশি প্রাঞ্জন করে বোঝানোর জন্য কোয়েসলার একটি রূপক সৃষ্টি করেছেন এইভাবে,' একটি জাহাজ সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে। জাহাজের মালিক ক্যাপ্টেনের হাতে মোহর মারা খাম দিয়ে বলেছে যে ক্যাপ্টেন সমুদ্রের মাঝখানে পৌঁছানোর পরে খামটা খুলতে হবে এবং তার মধ্যে থাকা নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। ক্যাপ্টেন বিপুল কৌতুহলে সেই মূহূর্তের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে- যে মুহুর্তে তার সমস্ত অনিশ্চয়তার অন্ত পড়বে। কিন্তু যখন সেই মুহূর্তটি এসে উপস্থিত হল এবং ক্যাপ্টেন মোহর মারা খামটা খুললেন, তিনি দেখে বিচলিত হলেন যে মালিকের নির্দেশটি লেখা হয়েছে অদৃশ্য কালিতে। নানা ধরনের রাসায়নিক পরীক্ষা করেও তিনি কোনো মতেই তার পাঠোদ্ধার করতে পারলেন না। মাঝেমধ্যে হয়তো দু একটি শব্দ দৃশ্যমান হয় বা দু একটি চিত্র দেখে তাকে দ্রাঘিমা বলে অনুমান অনুমান করতে পারি, কিন্তু পরের মুহূর্তে সমস্ত আবার অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। নির্দেশটিতে আসলে কি লেখা ছিল সে কথা হয়তো আর কোনোদিনই জানবে না, তিনি মালিকেরও নির্দেশ অনুসারে কাজ করলেন না কি ঠিক তার বিপরীতটা করলেন সে কথাও তিনি জানবেন না। কিন্তু তিনি পড়তে পারেন বা নাই পারেন - তার পকেটে একটা নির্দেশ পত্র আছে সেই চেতনাটাই তাকে বিশেষ দায়িত্ব সহকারে এভাবে কাজ করতে বাধ্য করেছে- যেভাবে একটি প্রমোদ জাহাজ বা দস্যু জাহাজের ক্যাপ্টেন কাজ করতেন না।'
রায়নার মারিয়া রিলকেও এই কথাটাই একটু অন্যভাবে বলেছেনঃ
We stand and strain against our limitations
And wrest things in we can not recognise.
--------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন