পূরবী~৫৪
অভিজিৎ চৌধুরী
তারপর এলেন মায়াবি দেশের মানুষ।শ্যামলা চিকন হাতে সোনার কাকনের শব্দ বাজে।তিনি আদরের ধন,আমি অবহেলার।কাছে যাওয়া জো নেই।তবে ইস্কুল থেকে ফিরলে পান্তা ভাতের সঙ্গে চিংড়ির চচ্চড়িতে নতুন বউঠানের চমৎকার রান্নার হাতের স্পর্শ পাওয়া যেত।আর যেদিন লংকার আভাস দিয়ে নিজের হাতে খাইয়ে দিতেন, সে ছিল অমৃত।বউঠান ছিলেন সাহিত্যের দীক্ষিত পাঠক।বঙ্কিমবাবু ছিল তাঁর প্রিয় এবং বিহারীলালকে কাব্যপাঠের জন্য আমায় ডেকে আনতে হতো।
বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে আমার দেখা এক বিয়েবাড়িতে। গৃহকর্তা বঙ্কিমবাবুকে গলায় মালা পড়াতে গেলে,তিনি আমায় দেন মালাটা পড়িয়ে দিলেন।গৃহকর্তাকে বলেন,আপনি ছেলেটির সন্ধ্যা সংগীতের কবিতাগুলি পড়েছেন! অপূর্ব।
স্কুল জীবনে কোন প্রাইজ পাননি।যেদিন নোবেল পেলেন,জগৎ সভার সের পুরস্কার, খুব একা তিনি।ছুটি নেই নতুন বউঠান নেই শমি নেই জ্যোতিদাদা মোরদাবাদ পাহাড়ে।
তীর্থ ভাবছিল,রবিবাবুর জীবন তার দরকার নেই।এতো দুঃখ এতো যন্ত্রণা তার সইবে না।বরং সে নিজে সহজে মরে যেতে পারে।মরণরে তুহুঁ মম শ্যাম সমান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন