পূরবী-৫২
অভিজিৎ চৌধুরী
মৃত্যু এমন বুকের কাছে শ্বাস ফেলেনি কখনও।এ যেন সেই চিতার পাল যে কিনা চোখের পলকেই ছিনিয়ে নিয়ে যায় অসহায় মানুষের জীবন।বাতাস এতো বিষাক্ত! কি করে বিশ্বাস করব নদী,অরণ্যেও রয়েছে মৃত্যুফাঁদ।একেকটা মৃত্যুর ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে গতরাতের সন্ত্রাস বিস্মৃতির আড়ালে চলে যাচ্ছে।তারপরেঔ আবার।
রবীন্দ্রনাথ নাম দিলেন,অমর্ত্য। মর্তে যাঁর মৃত্যু নেই।সুকুমার রায়কে কথা দিয়েছিলেন সত্যজিত রায়কে দেখবেন।তাই কিছুদিন শিশু সত্যজিৎ শান্তিনিকেতনে ছিলেন।
এই মৃত্যু ভয়াবহতা অতিক্রান্ত হবোই যদি না কেউ বলে,আরে যাচ্ছ কেন!
এতো মৃত্যু,এতো শীতলতা।অথচ চরাচরে ক্ষমাহীন রোদ্দুর।নিজের চলে যাওয়াকে তোয়াক্কা করে না তীর্থ,সে অকুতোভয়।কিন্তু প্রিয়জনেরা,সন্তানেরা তাদের বাঁচতে দাও অতিমারি।
বহু বছর পর নোবেল প্রাইজ শব্দটার সঙ্গ উত্তাল হয়েছিল বাঙালি।অমর্ত্য সেন নোবেল পেলেন।তাঁর বিভিন্ন বই অর্থনীতি ব্যতীতও পড়তে চেষ্টা করেছে তীর্থ। কখনও কখনও বঙ্গানুবাদ।একবার প্রতীচীর ঢেউ এসে লাগল তার ব্লকে।পরের পর্বে সেসব হবে।
চানঘরে বউ গাইছে, আহা আজি এ বসন্তে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন