পূরবী~৫৩
অভিজিৎ চৌধুরী
জাতীয়তাবাদের নামে যে উগ্র মৌলবাদের আগুন তা রবীন্দ্রনাথ ঘরে বাইরে উপন্যাসে দেখিয়েছেন।লিডারশিপের দ্বিচারিতা, ভণ্ডামি সে যুগে যেমন ছিল,এ যুগ তাকেও অতিক্রম করবে এটাই স্বাভাবিক।নিখিলেশ তো গণতন্ত্রের সেবক ছিলেন না, তাঁর কোন ভোটের প্রয়োজন ছিল না।মুসলিম প্রজাদের পাশে দাঁড়িয়ে অসহায় নিখিলেশ একজন বেনিভোলেন্ট জমিদার ও বিবেকবান মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন।
তীর্থ তার সময়ে দাঁড়িয়ে এরকম না হলেও বিপ্রতীপ ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে।অসহায় মানুষ অসহায়, তার কোন ধর্ম হয় না।তবুও সুখে আছে যারা সুখী হোক তারা।হঠাৎ অতিমারির প্রকোপ জীবনকে অনিশ্চিত করেছে।মৃত্যু যেভাবেই আসুক এক ভয়ংকর অশনি সংকেত আর মৃত্যু যখন গোষ্ঠীকে ধ্বংস করে তার রূপ ভয়ংকর।রবীন্দ্রনাথ প্লেগ হাসপাতাল নির্মাণের কথা ভেবেছিলেন।
ব্লকের দায়িত্ব ছাড়ার আগে সেখানকার বাতিল হয়ে যাওয়া সানিটোরিয়ামকে সেফ হোমের রূপ দিয়ে এসেছিল তীর্থ।অনেক লড়াই ছিল,তবুও আজ যদি অনেক মানুষ আশ্রয় পায়, সেদিনের কবির আন্তরিক মনোবেদনা ও উত্তোরণ হবে প্রকৃত আয়ুধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন