পূরবী~ ৪৭
অভিজিৎ চৌধুরী
প্যারিসে বিখ্যাত চিত্রশালায় প্রদর্শনী হলো।আড়ালে প্লাতা নদীর সেই বিজয়া।
কখনও ফেরেননি আর তাঁর প্রিয় নারীদের কাছে।তার মানে ভালোবাসাকে শাশ্বত রাখা।এটুকু সেই বিজয়াও মেনেছিলেন হৃদয় দিয়ে।
এদিকে অন্য পটভূমিতে বিশ্ব ইতিহাসকে বিকৃত করছেন হিটলার।নিজের বায়োপি দেখালেন এক সময় দিন মজুর ছিলেন।যাবতীয় জ্ঞান ভাণ্ডারে আগুন ধরালেন।লজিক ও স্বাধীন চিন্তার অবসান ঘটালেন।বার্লিন ছাড়তেই হল আইনস্টাইনকে।এলেন ডেনমার্ক। হিটলারের চরেরা পিছু নিলো।অবশেষে ইংল্যান্ডের এক গ্রামে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আত্মগোপন করলেন।ছোটদের পড়াচ্ছেন।
ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে রমা রলাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল রবীন্দ্রনাথকে কাছে পেতে।উপলব্ধির স্তরে না গেলে সহমত হতেন না।বিশ্বমানবতায় যাত্রাও এক উপলব্ধি।
তীর্থের মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তি মানুষের বিবর্তনে প্রগতির এক শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
প্রায়ই পর্বতপ্রমাণ ভুল করেছেন।আবার নিজেই খুঁজে নিয়েছেন সংশোধনের পথ।বারবার নিজের সংস্কার করেই চলেছেন।
আর অটোক্র্যাটিক লিডাররা ঠিক বিপ্রতীপ।তাঁরা নিজে ভুল করে তার সংক্রমণ করান।সভ্যতা বারবার ধ্বংসের মুখে পড়ে।
ভয়ংকর অতিমারীতে এই জীবাণু থেকে মুক্তির উপায় কোন অজানা ভয়ের কাছে সমর্পণ নয়,বরংসৃজনে উদ্বুদ্ধ থাকা।
আজ পঁচিশে বৈশাখ।তীর্থের কাছে প্রতিটি দিনই পঁচিশে বৈশাখ।তবে আবার সাদা পাতায় কালো অক্ষরে তাঁর সঙ্গে সখ্য ভাবনার নতুন সূত্রপাত।
পূরবীর আলোয় চিরকালীন নতুন অভ্যুদয়কে ভালোবাসার আলোয় দেখা।আজ নির্বাণের কথা নয়,কোন তিরোধানের শ্রাবণধারা নয়।একান্তে বিবমিষা উত্তীর্ণ চিরচেনা চিরসখা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন