পূরবী ৪৮
অভিজিৎ চৌধুরী
শহর, গ্রামে,মফসসলে খুব কম বাড়ি রয়েছে যেখানে কোভিড আক্রান্ত মানুষ নেই। যাঁরা মনে করছেন তাঁদের হয় নি,আসলে তাঁরা লুকিয়ে রেখেছিলেন অদ্ভূত এই রোগে স্বাদ গন্ধ চলে যায়। শহরে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতাল সেফ হোম তুলনায় অপ্রতুল।
তীর্থ সরকারি আধিকারিক। তার মৃত্যুভয় কম।কিছুক্ষণ আগে সে একটা সুরত হাল করল।বোঝা যাচ্ছে এটি কোন আত্মহত্যা নয়।স্টেটম্যান নিল তীর্থ।একটানা অবসরহীন তিনমাস কাজ করার পর একটা রোববারে শহর কলকাতায় শ্বশুর বাড়িতে এসেছে।ঠিক উল্টোদিকের বাড়ির আবাসিকদের জীবনযাপন বড্ডো অদ্ভুত।অসংখ্য রাস্তার কুকুর দুই ছেলে আআর তার মা বসবাস করে। বাড়িটিতে একজনের কোভিড হয়েছে।এমনিতে পাড়ার কারুর সঙ্গে কথাবার্তা নেই,এখন তো আরো।
পঁচিশে বৈশাখের বিকেল থেকেই অঝোরে বৃষ্টি নামল।বাইশে শ্রাবণযেন।ওই অদ্ভুত বাড়িটা থেকে রবিবাবুর গান ভেসে আসছে। আর কোথাও রবীন্দ্রনাথের চিহ্ণ নেই শহরে।টিকার জন্য লাইন ও হাহাকার। যে জীবনে মানুষ অভ্যস্ত ছিল,বদলে গেছে হঠাৎই।
সেবার প্লেগও মানেনি রাজা প্রজা। জোড়াসাঁকোতে মৃত্যু হল অবন ঠাকুরের মেয়ের। নিবেদিতা অক্লান্তভাবে সেবা করে চলেছেন বস্তি বস্তিতে। কবিকে খুব অসহায় দেখাচ্ছে।
অভিজিৎ এর সাবলীল লেখনী সাথে বর্তমান সময়কালকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
উত্তরমুছুনসেবারো যেমন এবারো তেমন। কেউ নিজে গুটিয়ে গেছেন আর কেউ জীবন বিপন্ন
উত্তরমুছুনহতে পারে মেনেও পরের সেবায় ছুটে বেড়াচ্ছেন।
কবি থেমে যাননি। আজকের লেখকও মেলবন্ধন করছেন।
চমৎকার।আগামীর অপেক্ষায়।