রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

পূরবী -৪৯ || অভিজিৎ চৌধুরী || ধারাবাহিক উপন্যাস

 পূরবী -৪৯ 

অভিজিৎ চৌধুরী


   ইন্দোনেশিয়া জাভা সুমাত্রা ভ্রমণের পর রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্যে নৃত্যের ব্যবহার সমধিক হয়।তাসের দেশ তার পরের কিনা তীর্থের জানা নেই।সাল তারিখ ঘাঁটতে ভালো লাগে নারেফারেন্স বইয়ের পাণ্ডিত্যের অভিমানকেও ভয় কর।আপন মাধুরী মিশিয়ে ওঁর এই শেষ বেলার পূরবী।ক্রিমেটেরিয়ামেও মৃতের জায়গা হচ্ছে না।অগত্যা ব্যুরিয়াল গ্রাউন্ড।মুহূর্তের তাণ্ডবে সবকিছু তছনচ হয়ে যেতে পারে।বাবার যাবতীয় স্নেহ আগলে ধরে রাখতে চায় সন্তানকে।

   তাসের দেশ উৎসর্গ করেছিলেন সুভাষ বসুকে।স্বাধীনতার প্রয়োজনে হিংসা রক্তপাত তবে নেতা হতে কল্যাণকামী কিন্তু কোন অচলায়তনে আবদ্ধ নন।কোথাও যেন ইংগিত রইল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রতি।বা অতিরিক্ত শৃংখলে আবদ্ধ মাতৃভূমির প্রতিও।

   শান্তিনিকেতনে বিদেশী  ছাত্র ছাত্রীদের মধ্য উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল জাপান ও চীন থেকে আসা তরুণ তরুণীরা।সেই সময়ের এশিয়া ভূখণ্ডও কবির মধ্যে প্রাচ্যের সংস্কৃতির ও দর্শনের বা শুধু তা কেন কবিতারও জয়গান দেখতে পেয়েছিল।

   জাপানে এক তরুণী রবীন্দ্রনাথের বিশেষ অনুরাগিণী হয়ে উঠেছিলেন।একলা যে গানের তরী বাইবেন বলে বের হয়েছিলেন নতুন বউঠানের সাহিত্য সঙ্গী হিসেবে,সেই একলা পথিক তাসের দেশের যাবতীয় নিয়ম ভেঙে দূরকে করলেন আপন।একদিন দেখা গেলো ভূগোল বলবে তিনি ভারতবর্ষের মানুষ কিন্ত ভালোবাসার প্রবহমানতায় তিনি বিশ্ব নাগরিক।

   খুব কম জনই হয়তো রইলেন তিনি রবির আলোয় দীপ্ত হননি।

   এই অতিমারীতে আশ্বাস বিশ্বাস জীবনের অমেয় বেঁচে থাকায় তীর্থের কাছে সেই পুরোনো রবীন্দ্রনাথই এলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...