কিছু বই কিছু কথা ২৮৭ । নীলাঞ্জন কুমার
উপেক্ষায় ফেরালে মুখ । আবদুস শুকুর খান । বানীপ্রকাশ । পঁচিশ টাকা ।
' তুমি যদি এই বিপন্ন মুহূর্তে ভেঙে ডাক দাও/ সমগ্রে যাবার/ আমি সমস্ত আঁধার ভেঙে তোমার/ প্রিয় ঘুম হতে পারি । ' (' অনন্তে') , কিংবা ' একা উদভ্রান্ত মানুষ নিরন্ন পায়ে হেঁটে যাচ্ছে/ বড় রাস্তার ধারে ..../ তার পায়ে পায়ে উঠে আসা ধুলোর অন্তর্নিহিত আর্তনাদ । '
( ভেতরে যাবার আকাঙ্ক্ষা ' ) র মত পংক্তি অবলীলায় লিখে ফেলতে পারেন সত্তরের এক আত্মস্থ কবি আবদুস শুকুর খান । তাঁর কবিতার প্রতিটি শব্দ যদি নিষ্ঠা নিয়ে ভাবনা করা যায় তবে বোঝা যায় এক অত্যুচ্চ ভাবনার ভেতর তিনি অবস্থান করছেন । যেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে । তাঁর ১৯৯৬ সালে তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ' উপেক্ষায় ফেরালে মুখ ' পড়ে এ কথা বিশেষভাবে মনে আসে ।
কবির কবিতার ভেতর যে পরিমিতিবোধের সন্ধান পাই, তাকে ছুঁয়ে থাকতে ইচ্ছে হয় । যেমন : ' যদি সরে যায়, স্নেহময়ীর নীল নির্জন হাত / ভয় নেই/ দুঃখ রাখার মত সমগ্র দিগন্ত পড়ে আছে । ' ( ' অনন্য সুন্দর থাকে চিরকাল), ' পরম বন্ধুর মতো ' ত্রাতা ' এসে দাঁড়াবে দীনতায়/ দুঃখের পাশে , মুছে ফেলে দুঃখ জীবন, ক্ষমায় । ' (' দুঃখ যেমনই হোক ')।
কবির উদ্ধৃত পংক্তিগুলি তাঁকে সত্তর দশকের এক ভিন্নধর্মী কবির বৈশিষ্ট্য দিয়েছে । অকাল প্রয়াত কবি প্রমোদ বসুর প্রচ্ছদ অঙ্কনগুণে যোগ্য । তবে বড় ফাঁকা ফাঁকা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন