নস্টালজিয়া ৩৪
পৃথা চট্টোপাধ্যায়
নস্টালজিয়া ৩৪
পৃথা চট্টোপাধ্যায়
২০২০ এর মার্চে আমাদের দেশে চিন দেশের য়ুহান থেকে যার উৎপত্তি ও বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী সেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আসতে শুরু করেছে শুনে আমরা সবাই আতঙ্কিত হলেও ভেবেছিলাম ধীরে ধীরে নিশ্চয়ই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। তারপর যত দিন এগিয়েছে আতঙ্ক আর আশঙ্কা পাকে পাকে ঘিরে ধরেছে গোটা বিশ্বকে। মহামারী ক্রমশ অতিমারীতে পরিণত হয়েছে। বিপর্যস্ত মানুষ কোনমতে বেঁচে থাকতে চেয়েছে সমস্ত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে। ক্রমশ সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েছে, লকডাউন কথাটা সবাই শিখে গেছে। আবার আনলক প্রক্রিয়া এসেছে। আবার লকডাউন। অচেনা রোগের সঙ্গে এক নিরুপায় যুদ্ধ বলা যায় এই পরিস্থিতিকে। জীবন ও জীবিকার টানাপোড়েনে এক অসহায় অবস্থার মুখে হঠাৎ করে এসেছে দরিদ্র মধ্যবিত্ত মানুষ। মাস্ক আর স্যানিটাইজার এই দুইকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আর নিজেকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে সাধারণ মানুষ ক্রমশ কাজের জন্য পথে বেরিয়েছে অসংখ্য মানুষ। কত প্রিয়জন, গুণী ব্যক্তি, ডাক্তার, পুলিশ, সাধারণ মানুষ বিষাক্ত বিশে চলে গেলেন। আমিও আক্রান্ত হলাম কোভিডের কবলে। দেখতে দেখতে ২০২১ চলে এল।প্রায় তিন মাস ধরে ওষুধ পত্র খেয়ে সুস্থ হচ্ছি ধীরে ধীরে। কেন যে এই রোগকে অতিমারী বলা হয়েছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে টের পেয়েছি হাড়ে হাড়ে।
নস্টালজিয়া আমার শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলোর কথা। তবু বর্তমান বারবার চলে আসছে লেখায়।কারণ একটাই ,আজ মা-বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। আমার অসুস্থতার জন্য মায়ের মত ভাববে এমন কেউ আর নেই। আমিও মায়ের জন্য মায়ের মত করে কখনো ভাবতে পারি নি।সেভাবে সেবা যত্ন করতে পারলাম কই। ছোটবেলায় খুব ভুগতাম। অপরিণত ছিলাম জন্মকালে। আঠাশে, মানে আট মাস পড়তেই জন্মেছিলাম আমি। তিন বার টাইফয়েড হয়ে শৈশবেই যায় যায় অবস্থা হয়েছিল নাকি আমার।জিয়াগঞ্জ মিশন হাসপাতালের তখন ব্যবস্থা পত্র খুব ভাল ছিল। সেখানেই জন্মেছিলাম আমি। ছোট্ট পাখির মত নাকি হয়েছিলাম।সরু দড়ির মত হাত-পা। একমাস সর্বাঙ্গে তুলো জড়িয়ে রাখা হয়েছিল আমাকে। খুব যত্নে আমাকে বড় করে তুলেছিল বাবা- মা।একটু অসুখ বিসুখ হলেই যাই যাই অবস্থা হতো আর চিন্তার রেখা দিত তাদের মুখে। বাবার চাকরির উপরে পুরো সংসারটা নির্ভর শীল ছিল তখন। বাবার মাইনে পত্রও সেই সময় খুব বেশি ছিল না পরে তাদের মুখ থেকেই এসব কথা শুনেছি অনেকবার।
২০২০ এর মার্চে আমাদের দেশে চিন দেশের য়ুহান থেকে যার উৎপত্তি ও বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী সেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আসতে শুরু করেছে শুনে আমরা সবাই আতঙ্কিত হলেও ভেবেছিলাম ধীরে ধীরে নিশ্চয়ই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। তারপর যত দিন এগিয়েছে আতঙ্ক আর আশঙ্কা পাকে পাকে ঘিরে ধরেছে গোটা বিশ্বকে। মহামারী ক্রমশ অতিমারীতে পরিণত হয়েছে। বিপর্যস্ত মানুষ কোনমতে বেঁচে থাকতে চেয়েছে সমস্ত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে। ক্রমশ সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েছে, লকডাউন কথাটা সবাই শিখে গেছে। আবার আনলক প্রক্রিয়া এসেছে। আবার লকডাউন। অচেনা রোগের সঙ্গে এক নিরুপায় যুদ্ধ বলা যায় এই পরিস্থিতিকে। জীবন ও জীবিকার টানাপোড়েনে এক অসহায় অবস্থার মুখে হঠাৎ করে এসেছে দরিদ্র মধ্যবিত্ত মানুষ। মাস্ক আর স্যানিটাইজার এই দুইকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আর নিজেকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে সাধারণ মানুষ ক্রমশ কাজের জন্য পথে বেরিয়েছে অসংখ্য মানুষ। কত প্রিয়জন, গুণী ব্যক্তি, ডাক্তার, পুলিশ, সাধারণ মানুষ বিষাক্ত বিশে চলে গেলেন। আমিও আক্রান্ত হলাম কোভিডের কবলে। দেখতে দেখতে ২০২১ চলে এল।প্রায় তিন মাস ধরে ওষুধ পত্র খেয়ে সুস্থ হচ্ছি ধীরে ধীরে। কেন যে এই রোগকে অতিমারী বলা হয়েছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে টের পেয়েছি হাড়ে হাড়ে।
নস্টালজিয়া আমার শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলোর কথা। তবু বর্তমান বারবার চলে আসছে লেখায়।কারণ একটাই ,আজ মা-বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। আমার অসুস্থতার জন্য মায়ের মত ভাববে এমন কেউ আর নেই। আমিও মায়ের জন্য মায়ের মত করে কখনো ভাবতে পারি নি।সেভাবে সেবা যত্ন করতে পারলাম কই। ছোটবেলায় খুব ভুগতাম। অপরিণত ছিলাম জন্মকালে। আঠাশে, মানে আট মাস পড়তেই জন্মেছিলাম আমি। তিন বার টাইফয়েড হয়ে শৈশবেই যায় যায় অবস্থা হয়েছিল নাকি আমার।জিয়াগঞ্জ মিশন হাসপাতালের তখন ব্যবস্থা পত্র খুব ভাল ছিল। সেখানেই জন্মেছিলাম আমি। ছোট্ট পাখির মত নাকি হয়েছিলাম।সরু দড়ির মত হাত-পা। একমাস সর্বাঙ্গে তুলো জড়িয়ে রাখা হয়েছিল আমাকে। খুব যত্নে আমাকে বড় করে তুলেছিল বাবা- মা।একটু অসুখ বিসুখ হলেই যাই যাই অবস্থা হতো আর চিন্তার রেখা দিত তাদের মুখে। বাবার চাকরির উপরে পুরো সংসারটা নির্ভর শীল ছিল তখন। বাবার মাইনে পত্রও সেই সময় খুব বেশি ছিল না পরে তাদের মুখ থেকেই এসব কথা শুনেছি অনেকবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন