কিছু বই কিছু কথা ২৪৭ । নীলাঞ্জন কুমার
ব্যর্থ অতিক্রমণ । চন্ঞ্চল দুবে । ত্রিষ্টুপ । পন্ঞ্চাশ টাকা ।
' যে গ্রাম জ্বরে পুড়ছে সে না বাঁচলে/ কে বলবে তোর ভাত বেড়েছি আয় ।' ( ' অমৃত ') কিংবা, ' দুজনেই পিতা হয়ে সন্তানকে ছায়া দেব বলে/ দুজনে মায়ের মতো সময়ের গর্ভে ধরি বীজ । ' ( ' ইচ্ছাপত্র ') -এর মতো উজ্জ্বল পংক্তি উপহার দিলে পুরো বইটি পড়ার আকর্ষণ গড়ে ওঠে । তা ঘটেছে চন্ঞ্চল দুবের ' ব্যর্থ অতিক্রমণ ' কাব্যগ্রন্থের ক্ষেত্রে । যদিও সমস্ত কাব্যগ্রন্থের ক্ষেত্রে কবিতা এক দিকে ধাবমান না হওয়ায় কিছুটা এলোমেলো লেগেছে । ফলে টিউনিং এর অভাব ঘটেছে । তবে শব্দচয়ন ও আঙ্গিকের দিকে তিনি যে বেশ পোক্ত তা উপরোক্ত পংক্তিগুলোর থেকে বোঝা যাচ্ছে ।
কবির এতো ভালো পংক্তির বেশ কিছু কবিতাতে অহেতুক প্রাচীনত্ব প্রশ্রয় পাওয়ার স্বাদে ঘাটতি ঘটে । তবু তিনি তার মধ্যে ফুটিয়ে তোলেন স্বাতন্ত্রতা , যেমন :
' মাথার উপরে রোদ্দুর তাকে দগ্ধ করবে বাকি দিন / তোমার ছায়াটি কেড়ে নিয়ে তাকে পুরুষ জন্ম দিলে । '
( পুরুষজন্ম ) , ' তাঁদের বিদ্যুৎ লতার মতো জিহ্বা/ চেটে খায় মেধা ও মনন ।/ সেইসব সপ্রশংস চোখের আবিলতা লিখে রাখি । ' ( ' লিপিকরণ ' ) ।
কবির নিজস্ব উপলব্ধি ছুঁয়ে থাকে এক মমতা ঘেরা দিক নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থের ভেতরে । তাই বইটি কিছুটা হলেও স্পর্শ করে । ব্রজকুমার সরকারের প্রচ্ছদে কালার কম্বিনেশনের দিকটি নিয়ে আরো ভাবনার অবকাশ ছিল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন