কিছু বই কিছু কথা ২৬৩। নীলাঞ্জন কুমার
না কোথাও জংশন / ফ্রাকটালপনা । শান্তনু রায় । গ্রাফিত্তি ।
কবি শান্তনু রায়ের ব্যতিক্রমী চটি কাব্য পুস্তিকা ' না কোথাও জংশন/ ফ্রাকটালপনা ' র ভেতরে তিনি ' কেয়ারফুলি কেয়ারলেস ' ভাবে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন কাব্যিক কিছু কথা যা আমাদের নিয়ে চলে কাব্যিক দিকগুলোর থেকে আলাদা কিছুর দিকে । যেমন: ১। ' চোখ থেকে ছিটকে যাচ্ছে ঘুম তাও চারদিকে অ্যাতো স্বপ্ন! ' ,২। ' যে ভোর মানে মৃত্যু জেনেছে তার স্বপ্ন কোন চিহ্নে ? ' ( ' এখান থেকেই ' ) , ' কিছু ভালো লাগছে না/ ঝাপসা ঘরের জট টুংটাং রাঙতা মোড়া সকাল বিকেল ' ( নার্সারি স্কুল) , ' একটা ঠান্ডা তারা খসে পড়ে আমার শরীরে/ কে পারবে কে আমার শুকনো জখমগুলো/ খুলে দেবে ফের ' ( কয়েককোয়া কোয়ান্টাম কোয়ান ') যা আমাদের পুরনো ধারাবাহিকতাকে ধাক্কা দেয় ।
কবির এ সব প্রায় অগোছালো বাক্যবিন্যাস ও আপাত বাউন্ডুলে দিকের সামনে দাঁড়িয়ে বুঝতে পারি কবিতা কতখানি আলাদা হয়ে যাচ্ছে । কবিতার ভাবনা যে তাতে পুষ্ট হচ্ছে তা না বলা গেলেও কবিতার জন্য কিছু চিন্তা ভাবনা যে চলছে তা নিশ্চিত বলা যায় । প্রতিদিন যে অগনিত পুরনো কবিতা নতুন আঙ্গিকে বলার তাগিদ বাড়ছে তার থেকে স্বাদবদল যে ভীষণ প্রয়োজন তা বুঝিয়ে দিয়ে কবি এভাবে ভেঙে চলেন কাউকে রেয়াত না করে ।
কবির পদ্য ও গদ্যধর্মী দু ধরনের কবিতা তাই পড়তে হয় মগ্ন হয়ে । নাহলে যে বহু ফাঁক রয়ে যাবে আগামীকালের কবিতা চিনে ফেলার ক্ষেত্রে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন