কিছু বই কিছু কথা ২১৬ || নীলাঞ্জন কুমার
আমি ঈশ্বরকে দেখেছি পাথরের মূর্তিতে নয় লিঙ্গে । মৃত্যুন্ঞ্জয় জানা । আই- সোসাইটি । চল্লিশ টাকা ।
সদ্য প্রকাশিত কোন কাব্যগ্রন্থের সদ্য সদ্য আলোচনার একটা মজা আছে । কবি তাঁর কাব্যগ্রন্থের ক্ষেত্রে পাঠকের ভাবনা পেতে যখন দারুণ উদগ্রীব, তখন আলোচনা পেলে তো আনন্দ হবেই । কবি মৃত্যুন্ঞ্জয় জানার প্রায় দু-লাইন ব্যাপী কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম ' আমি ঈশ্বর দেখেছি পাথরের মূর্তিতে নয় লিঙ্গে ' তে আই যুগের ভাবনা কিছুটা গড়ে উঠেছে তা বলা যেতে পারে । তবে বিভিন্ন যুগ পেরিয়ে এসে ওই যুগকে বোঝা ও তার থেকে কবিতা লেখার যে প্রবণতা তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে কবিকে আরো পরিশ্রম করতে হবে । তবে তিনি তার ৩৯টি শিরোনামহীন কবিতায় ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তা কবিতা পড়লেই বোঝা যায় এ সব উচ্চারণে : ' ঢ্যাং কুড়াকুড় । ঢ্যাং কুড়াকুড় । ছেলেটির জামাতে রিফু/ নতুনের ছোঁয়া । আগমনীর বার্তা দিয়ে যাচ্ছে/ প্ল্যাটফর্মে। ফুটপাথে । ত্রিপলের ছাউনিতে । ' ; ' মিশে যাও বাতাসে/ মিশে যাও নদীতে / মিশে যাও মাটির সাথে/ মিশে যাও ব্রহ্মান্ডে ভালোবাসতে ভালোবাসতে ।' , ' লক্ষ্মীপ্যাঁচা কাঁদে । নড়ে না । / ভালোবাসার ধ্বংসস্তূপে- / বিরহে ।'
একথা বলতে হবে যে কবিকে আই যুগের অন্যতম কবি হয়ে উঠতে হলে,অহেতুক কথা বলা, অত্যধিক আবেগ , কবিতা কে সেই উচ্চতায় আসতে বাধা দিচ্ছে । শব্দের ক্ষেত্রে সংযত না হলে কবিতার দ্যোতনা তার কাব্যে ধরা দেবে না বুঝতে হবে । কমলেশ নন্দের বিমূর্ত প্রচ্ছদ , প্রচ্ছদকারের মুন্সিয়ানার সন্ধান দেয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন