সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২১৫
এবার গদ্যের রীতিতে একটু পরিবর্তন আনছি।প্রথমে কবিতার কোটেশন , পরে কবির নাম ।
১ ॥ ' নক্ষত্র খোঁজার সেই খেলা / কতকাল যে খেলিনি... অথচ কত ছোটো এ গোলার্ধ/ হাত বাড়ালেই আকাশ ... তবু কোথাও কোনো পোস্টম্যান নেই '। : অরুণ মিত্র
২ ॥ ' শহরের রাস্তায় রাস্তায় ধর্মভীরু অক্ষম ষাঁড়ের আস্ফালন ' : কাননকুমার ভৌমিক
৩ ॥ ' তখন থেকেই তাকে দেখি / না- বাজানো তানপুরার রাগরূপাবলি অভিমানে চৌদিকে ঘুরে বেড়ায় '। : অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
৪ ॥ ' অন্ধকার কিছু যুক্ত করে না / অন্ধকার কারো সঙ্গে যুক্ত হয় না ---/তার পূর্ব তার পরের সঙ্গ সমতল' : আলোক সরকার
৫ ॥ ' জন্মগ্রহণ করতে হলে প্রাণ নিয়ে / জন্মগ্রহণ করতে হয়।' : বিনয় মজুমদার
৬ ॥ ' ... সৃজনের / পথে হাঁটো নিত্যদিন, ফোটাও মৃত্যুর ঠোঁটে সজীব কুসুম ।' : শামসুর রাহমান
৭ ॥ ' ঘরের খাইয়া বনে তাড়াইতে যায় / রাশি রাশি মোষ, হায়, কী হবে উপায়---' : শঙ্খ ঘোষ
৮ ॥ ' জেনো, মাটি ও ফলনে চোখ রেখে, তিনি / ডেকে গিয়েছেন, চোখ বুঁজে, / তোমাদেরই কবি অরুণ মিত্র।। ' : সিদ্ধেশ্বর সেন
৯ ॥ ' কোনো পুরুষের হাতে আংটি দেখলেই তার সঙ্গে /আর ভালো করে কথা বলতে ইচ্ছে করে না/ এটা আমারই দোষ!' : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১০ ॥ ' এখন কল্পনা করা অসম্ভব যে, কোনো এক সময়/ বালিগঞ্জ আর কসবার মাঝখানে/ ছিল একটা লেভেলক্রসিং, /তখন এই বিজন নামের সেতু ছিল না , ছিল না এক লাফে টপকিয়ে কলকাতার বাইরে পৌঁছে যাওয়ার সুবিধা। ' : শরৎকুমার মুখোপাধ্যায় ৷
১১ ॥ ' হাওয়া এল , এবং বৃষ্টি, /কুয়াশা মুছে ফেলে উপত্যকার গাছগুলোকে,/ আর রইল পিছনে আমার টানা পথ:/ ধূসর গঞ্জ-গ্রাম, ' : শান্তিকুমার ঘোষ
১২ ॥ ' পাখিগুলো তো ফিরে এল বলে। বিকেলের ট্রেন/ এখনো দাঁড়িয়ে স্টেশনে। পায়নি সিগন্যাল।' :সুধেন্দু মল্লিক
১৩ ॥ ' তাকে খোঁজা তিলে তিলে মৃত্যুকেই তিলোত্তমা করা / তবু খুঁজতে হবে '। : রাম বসু
১৪ ॥ ' আপনি এত ইমপালসিভ হবেন না , ফলওয়ালার কাছে গিয়ে/ শুনলাম মাঝেমাঝে নেভাদার কথা জিগ্যেস করেন ?/ কী করে জানল টেকচাঁদ , মার্কসবাদী শ্রীসুবিমল সেন ।' : প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত
১৫ ॥ ' এক নিমগাছের কয়েকটি পাতা কম পড়েছিল। ঘ ১২।৩৭ গতে রোহিনীনক্ষত্র ছিল পাতা গজানোর শুভক্ষণ । ফলে সে জ্যামিতিবক্সের শরণাপন্ন। জ্যামিতিবক্সের মধ্যে এককালে যাজ্ঞবশ্ক্য ; থাকতেন '। : সমীর রায়চৌধুরী
১৬ ॥ ' যাই বলুন / কবিতার হাড়-মাস , শিরা-উপশিরা , আধি-ব্যাধি, এগজিমা-আলসার, কোলেস্টেরল/ ইত্যাদির ব্যাপারে ওঁর মতো সমঝদার মানুষ দুটি দেখিনি এখনো।
... ... ...
এইসব দেখি / আর বুঝতে পারি উনি একেবারে সময়ের ছাঁচে তৈরি।একই সঙ্গে বামন ও বরাহ। ' :
পূর্ণেন্দু পত্রী
১৭ ॥ ' প্রত্যেক মুখেই আছে তিনটে চারটে অদেখা বিষাদ/ যেন বা ত্বকের নীচে অন্য ত্বক, ' : দিব্যেন্দু পালিত
১৮ ॥ ' তুমি কি শুনতে পাও জলার ধারের পুরনো পাকুড়ের শিরাওঠা শিকড়ে/ বিপন্ন কালো , বেড়ালের ধূসর সবুজ ডাক' ; ফণিভূষণ আচার্য
১৯ ॥ ' অশ্রুহীন ক্রোধহীন/ আমি শুধু ভুল ট্রেনে চেপে/ হঠাৎ হঠাৎ / তোমার স্টেশন ভেবে নামি। ' :অমিতাভ দাশগুপ্ত
২০ ॥ ' অ্যালার্ম বেজেছে, কিন্তু মনে নেই। ঘুম ভাঙতে চোখে পড়ে ঘড়ি। / এগারোটা বাজে। সেই পুরোনো গন্ধের মোহ নাকের নিকটে ঘুরে গেল ; : ভূমেন্দ্র গুহ
আরো কিছু কবিতার কথা , আগামী সংখ্যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন