শব্দব্রাউজ ৩২ || নীলাঞ্জন কুমার
তেঘরিয়ার বিপাশা আবাসন ২।১২।২০২০ র সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট । ভোটের আগের দামামা বাজাচ্ছে সকলের খবরের কাগজ । সেখান থেকে উঠে আসছে দেখার ও জ্বলার সম্পর্ক । প্রতিপক্ষ মানেই যে প্রতিক্রিয়া তা বুঝিয়ে ছাড়ছে নিত্যসংবাদ ।
শব্দসূত্র : দেখবি আর জ্বলবি
প্রিয় লুচির ফুলে ওঠার সঙ্গে দেখা ও জ্বালার কাব্যিক দ্যোতনার এমন উদাহরণ যত্রতত্র । নির্বিবাদে বাসের পেছনে লেখা পড়ি, তাকে ছড়িয়ে দিই সহজে । ছড়া খুব তাড়াতাড়ি ছড়ায় বলে জ্বলবি আর ফুলবি যেমন মিলিয়ে দেয় কোন ছন্দরসিক, তেমনি লুচির মতো ফুলবি শব্দটির চিন্তায় কোন খাদ্যরসিকের সম্পর্ক নিশ্চিত আছে । বাসের পেছনের ছড়া সমূহ যতই মুখরোচক হোক না কেন তার তীর্যকতা আমাদের অনেক বেশি রক্তের ভেতর ঢুকে পড়ে । এখন রাজনৈতিক দেখবি আর জ্বলবির সময় । খবরের কাগজ তার সাক্ষী । না দেখলে কিংবা দেখালে যেমন লোকের জ্বলুনির চিন্তা আসে না , তেমন পক্ষ না থাকলে প্রতিপক্ষ আসবে কোথা থেকে ? রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লুচির গানের সঙ্গে তালে ছন্দে মজায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ মেলে না ।
কেউ জ্বলে উঠলে জটিলতা অবধারিত । তার সমাধান করতেও হরেক ঝক্কি । পরাজয়ের ভেতরে হরেক ঝক্কি । পরাজয়ের ভেতরে যে জ্বালা তার সঙ্গে লুচির মাধুর্য মেলে না । জয়ের আনন্দে লুচি হলে তার গন্ধে নিজেকে দিগ্বিজয়ী মনে হয় । জিয়ো, জিয়ো ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন