শব্দব্রাউজ ৩৫ । নীলাঞ্জন কুমার
তেঘরিয়ার বিপাশা আবাসনের তিনতলা ফ্ল্যাটে নিয়মিত যেখানে লেখালেখির চর্চা সেখানে । ৬।১২। ২০২০ র সকাল ৯টায় । হয়তো প্রতিদিনের পাগলামি, নয় সৃজনচর্চা কোনটা হচ্ছে তা যদি বুঝতে পারতাম ! হয়তো শুরু হল শব্দের পাগলামি ।
শব্দসূত্র : পাগলে কিনা বলে
পাগলে যা বলে তা মনে রাখার দায় অন্য কারো নেই, আছে কবির, আছে সুমন চট্টোপাধ্যায়ের , ' পাগল ' গান লেখার কারণে । যেহেতু পাগল নই বলে বিশ্বাস, তাই আসল পাগলের মনের ভাব খোঁজা হয়ে ওঠে না। জানা গেল না তার নিজস্ব শব্দের ব্যুৎপত্তি । পাগলা গারদের গরাদে মাথা ঠুকে ঠুকে সে যা বলে তার ভেতর দুঃখ না আনন্দ কি আছে, সাধারণের মধ্যে কিভাবে তা মিশবে? পাগলের বলা আর ছাগলের খাওয়ার ভেতরে ছন্দের মিল থাকতে পারে কিন্তু বাস্তবের মিল কি আছে ? ছাগল কি খেতে পারবে অখাদ্য? পাগল যা বলে তার ভেতর ভুল নির্ভুল মিশে গিয়ে অন্য কিছু ঘটে যায় ।
বলার ভেতর হাজারো বাহাদুরি । শোনার যাতে আগ্রহ থাকে তার জন্য কত যত্ন! ব্যারিটোন আওয়াজ, কৃত্রিম শব্দপ্রেক্ষণ আরো কত ....। কৃত্রিম শব্দস্বাদ বিষিয়ে দেয় নিয়মিত । অবাঞ্ছিত হয়ে ওঠে জীবন, মনোবিকলন গ্রাস করে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন