সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২১১.
কবিতাপাক্ষিক ৩০০ সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখন অবধি পরিবেশন করা হয়নি। বা আমি করিনি। সেটি হল এই বিশেষ সংখ্যাটিতে জানানো হয়েছিল :
সম্পাদনা : প্রভাত চৌধুরী নাসের হোসেন ।
দুটি নামের মধ্যে কোনো কমা কিংবা এবং অথবা ও ছিল না। প্রয়োজন ছিল না বলেই। অর্থাৎ সম্পদকমণ্ডলী কিংবা এডিটোরিয়াল টিম ছিল না , খাতায়-কলমে। আদতে টিম তো ছিলই। টিমের সকলের সর্বাকরণ সহযোগিতা তথা সমর্থন ছাড়া আমরা দু-জন এই বিশাল কর্মকাণ্ড সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারতাম না ।
এই সংকলনটি সম্পর্কে গুটিকয় জরুরি তথ্য জানিয়ে রাখছি।
ডি টি পি হয়েছিল : কবিতাপাক্ষিক ডেস্ক-এ ।
মুদ্রণ : কল্যাণী প্রিন্টার্স , ১৭ কানাই ধর লেন ।
বাঁধাই : শ্রীকৃষ্ণ বাইন্ডিং ওয়ার্কস , ১০১ বি , বৈঠকখানা রোড।
কবিতাপাক্ষিকের পক্ষে যূথিকা চৌধুরী কর্তৃক ৩৬ডি , হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট , কলকাতা ৭০০ ০২৬ থেকে প্রকাশিত।
মূল্য বা দাম : ১০০ টাকা।
কপি রাইট : কবিতাচর্চাকেন্দ্র , কাদাকুলি , ছান্দার , বাঁকুড়া ।
এই তথ্যগুলি পরবর্তীকালের পাঠকদের পক্ষে জেনে রাখাটা কর্তব্য।
এই সংকলনে প্রকাশিত সমস্ত কবিতাই কবিতাপাক্ষিক ১ থেকে ২৯৯ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়ে ছিল।
বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে , ২৯৯ সংখ্যায় প্রকাশিত নীলার্ণব চক্রবর্তী সোম মুখোপাধ্যায় শ্রীপার্থ চট্টোপাধ্যায় রাহুল ঘোষ এবং উত্তম চৌধুরী-র কবিতা সংকলনে স্থান পেয়েছিল। আলাদা করে উল্লেখ করতে হয় উত্তম চৌধুরী-র কবিতাটির কথা। যেখানে উত্তম লিখেছিল :
' অবশ্যই তিনশোতম সংখ্যার জন্য তিনশো সেকেন্ড হাততালি --- মানে পাঁচ মিনিট এবং তিনশোটি হাত মানে দেড়শোজন মানুষ হলঘরে থাকবেনই।
উত্তম আরো লিখেছিল :
বাইরে তিনশোটি পতাকা--- লাল,নীল ,হলুদ , সবুজ এবং তিনশোটি না হোক শূন্য দুটি বাদ দিয়ে অন্তত তিনটি সাদা ধবধবে পায়রার আকাশে উড়ান আর তিনবার সমস্বরে জয়ধ্বনি। এবং হলঘরের ভেতরে অন্তত তিনশো মিনিট দুর্দান্ত কবিতাপাঠ আর জমজমাট আড্ডার মাঝে পোস্টমডার্ন বাকশস্যের উত্তাপ নেওয়া ।'
এই লেখার অধিকাংশ পাঠক জানেন উত্তম চৌধুরী আলিপুরের বা আলিপুরদুয়ারের। উত্তম ৩০০ -উৎসবের প্রায় একমাস আগে দেখতে পেয়েছিল যাবতীয় আয়োজন-কে। মনে রাখতে হবে তখন আমাদের হাতে হাতে ধরা-র মতো 4G প্রযুক্তি চালু হয়নি । আমি এর নাম দিলাম আত্মীয়তা-র নিজস্ব যোগসূত্র ।
নাকি আমরাই ওই কবিতাটি পড়ার পর আমাদের অনুষ্ঠান বা কবিতাউৎসবের ডিটেলস নির্ধারণ করেছিলাম।
তবে এটুকু বলতে আমার দ্বিধা নেই আমি কিঞ্চিৎ বাবু-কালচারের প্রতিনিধিত্ব করার কারণেই পায়রা ওড়ানোটা উত্তমের কবিতা থেকে নিইনি । কেবল বাবু-কালচার নয় ' পায়রা ওড়ানোর ' সঙ্গে শান্তি-আন্দোলনের একটা গা- ঘেঁষাঘেষির কারণেও হতে পারে।
বাবু-কালচার এবং শান্তি -আন্দোলন , এই দুটির মধ্যে যে কোনো একটি-তে টিক চিহ্ন লাগিয়ে ভাবতে থাকুন , আমি আগামীকালের লেখার কথা ভাবতে বসে যাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন