সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২০১.
এবার শুরু করছি বেশ কিছু টুকরো খবর পরিবেশন করতে। যেখবর এখনো বৃহৎ সংবাদপত্রের শিরোনাম হবার যোগ্যতা অর্জন করেনি। কিন্তু আমার জীবনে এইসব ঘটনা বা ঘটনার সংবাদ গুরুত্ব অপরিসীম। তার অনেকগুলি আগে লিখেছি। বাকিগুলির কিছু নির্বাচিত এখন।
২০০৪-এর ৫ থেকে ৭ ছিল কাটোয়া লিটল ম্যাগাজিন মেলা। কবিতাপাক্ষিক সেই মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। হাওড়া স্টেশন থেকে সকাল সকাল ট্রেন ধরেছিলাম। ওই একই ট্রেনে গিয়েছিল নাসের হোসেন ও গৌরাঙ্গ মিত্র। ভেটেনারি মেডিকাল কলেজের শিশির পাল সহ কয়েকজন ছাত্র ' পোতাশ্রয় ' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিল। সেটির প্রথম সংখ্যার প্রকাশও কাটোয়ার ওই লিটল ম্যাগাজিন মেলা-মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। সেই রকম ঠিক হয়েছিল। কবি অরুণ মিত্র-র মৃত্যুর পর ' অরুণ মিত্র -র সঙ্গে ' এবং অরুণ মিত্র স্মারক সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানও ওই মঞ্চে নির্ধারিত ছিল। পোতাশ্রয় - সম্পাদক শিশির পাল নতুন চাকরিতে জয়েন করার জন্য কাটোয়া যেতে পারেনি। গিয়েছিল অম্বিকাপ্রসাদ মিশ্র বিবেকানন্দ দাস এবং অভিজিৎ সামন্ত।
গৌরাঙ্গ বাড়ি থেকে টিফিন করে নিয়ে গিয়েছিল। সেটি ভাগাভাগি করে খাওয়া হল। তাছাড়া টুকটাক আরো কিছু। ওই ট্রেনেই গিয়েছিল ঘোড়সওয়ার সম্পাদক উজ্জ্বল সিংহ , দাহপত্র সম্পাদক কমলকুমার দত্ত।
লোকাল পৌঁছল ১২টা নাগাদ। স্টেশনে কবিতাপাক্ষিকের আত্মজন তুষার পণ্ডিত মুহম্মদ মতিউল্লাহ্ প্রমুখ কয়েকজন।
ওখান থেকে লজ অশোক। কবি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় - এর কর্ণধার। ওখানে প্রথমে দুটি ঘরের ব্যবস্থা হয়েছিল কবিতাপাক্ষিকের জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে বর্ধমান থেকে এসে পড়েছিল দীপ সাউ এবং মুরারি সিংহ। বহরমপুর থেকে নিখিলকুমার সরকার স্বপন দত্ত সমরেন্দ্র রায়। এসেছিল আফজল আলি।জমজমাট টিম কবিতাপাক্ষিক। সঙ্গ দিয়েছিল শিল্পী তাপস দাস।
কাটোয়া বইমেলার অবিক্রিত কিছু বই ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়নি। ওগুলো ছিল জপমালা-তপনের বাড়িতে। সেসব আনতে গেল মতিউল্লাহ্ ।তাছাড়া ট্রানপোর্টেও বই এসেছিল ।
বই সাজাবার দায়িত্বে ছিল দীপ সাউ আফজল গৌরাঙ্গ মুরারি নাসের পোতাশ্রয়-এর নবীনরা এবং অবশ্যই আমি। স্টলের পেছনে কবিতাপাক্ষিক এবং পোতাশ্রয় -এর ব্যানার ছিল।
ওইদিন মঞ্চে ছিল অরুণ মিত্র -র সঙ্গে ৫ নভেম্বর। ব্যানারে আগে ছিল ২ নভেম্বর , যা গত বছরের। এবার সেই ২ -কে ৫ করার দায়িত্ব পালন করেছিল তাপস দাস।
মেলার কথা আগামীকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন