কিছু বই কিছু কথা ২০৪ । নীলাঞ্জন কুমার
আধখানা প্রবাদ । গৌরাঙ্গ মিত্র । কবিতা পাক্ষিক । ষাট টাকা ।
' একটা প্রিয়স্বপ্ন একশো আট টুকরোয় ভেঙে/ একশো আটটা সাদা বক হয়ে শেষ পর্যন্ত বলাকা হয়ে যায়- ' এর মতো সুন্দর ' উৎসর্গ ' পত্রের কবিতা অবলীলায় লিখতে পারেন ২০১০সালে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ' আধখানা প্রবাদ ' কাব্যগ্রন্থে কবি গৌরাঙ্গ মিত্র , সেখানে বইটির ভেতরে ঢুকতে আলাদা নির্যাস অনুভব করব তা বলাই বাহুল্য । তাই মিথ্যাচারণকে আশ্চর্যভাবে তাঁকে কবিতায় আনতে দেখি: ' মিথ্যার অশ্বত্থামা আছে, আলোকোজ্জ্বল আলেয়া আছে/ তবে মিথ্যার কোন মিথ্যাচারণ নেই, মিথ্যাপীরও নেই ।'( ' মিথ্যাচারণ ও মিথ্যাপীর ') তখন গৌরাঙ্গের কবিতাচর্চার ফাঁক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে ।পাশাপাশি ' বিতর্ক সভা ' কবিতায় : ' একথা ঠিক বিতর্ক সভায় অনেক তর্কাতর্কির পরেও/ কাকেরা সাদা হয়ে উঠবে না, রাজহাঁস কালো হবে না '-র মতো দৃষ্টিভঙ্গি ও তীব্র শ্লেষ তিনি আমাদের দিকে ছুঁড়ে দেন, তখন 'সমালোচনা মানেই কষাঘাত ' এই মনোভাবকে অস্বীকার করে বইটি ভালোবাসতে ইচ্ছে হয় ।
আগে বলেছি এখনো বলছি পরেও বলবো , গৌরাঙ্গ ধীরে ধীরে অনেক পরিশ্রমে কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁর কবিতাজগৎ , তা তাঁর কবিতা পর্যায়ক্রমে পড়লেই বুঝতে পারা যায় । তাঁর এই কাব্যগ্রন্থে পাই: ' সারা গায়ে তোমার দরবারি কানাড়া মেখে/ এখান থেকে আমি চলে যাব ।' ( ' কিন্তু কৃষ্ণজিৎ') , ' ভেবেছিলাম গোরুর গাড়িটার পেছনে ছুটব , / কিন্তু ছোটা হয় না, আমাকে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে স্থবির সময় । ' ( ' গোরুর গাড়ি ') চুম্বন করার মতো পংক্তি ।
বর্তমানে গৌরাঙ্গ মিত্রের কবিতা এমনই , যাকে পুনঃপাঠ করতে গেলে আবার আঁতিপাতি করে পড়তে হয় । কারণ তাঁর ভেতর সত্য বাসা বেঁধে আছে, যে
সত্যের সঙ্গে মনে মনে সকলেই বাস করতে চাই মিথ্যে দূরে ঠেলে । শৈবাল নায়েকের প্রচ্ছদ কে বলতে হয় , বাঃ। কালার, পরিকল্পনা মনকে ধরে রাখে ।
' একটা প্রিয়স্বপ্ন একশো আট টুকরোয় ভেঙে/ একশো আটটা সাদা বক হয়ে শেষ পর্যন্ত বলাকা হয়ে যায়- ' এর মতো সুন্দর ' উৎসর্গ ' পত্রের কবিতা অবলীলায় লিখতে পারেন ২০১০সালে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ' আধখানা প্রবাদ ' কাব্যগ্রন্থে কবি গৌরাঙ্গ মিত্র , সেখানে বইটির ভেতরে ঢুকতে আলাদা নির্যাস অনুভব করব তা বলাই বাহুল্য । তাই মিথ্যাচারণকে আশ্চর্যভাবে তাঁকে কবিতায় আনতে দেখি: ' মিথ্যার অশ্বত্থামা আছে, আলোকোজ্জ্বল আলেয়া আছে/ তবে মিথ্যার কোন মিথ্যাচারণ নেই, মিথ্যাপীরও নেই ।'( ' মিথ্যাচারণ ও মিথ্যাপীর ') তখন গৌরাঙ্গের কবিতাচর্চার ফাঁক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে ।পাশাপাশি ' বিতর্ক সভা ' কবিতায় : ' একথা ঠিক বিতর্ক সভায় অনেক তর্কাতর্কির পরেও/ কাকেরা সাদা হয়ে উঠবে না, রাজহাঁস কালো হবে না '-র মতো দৃষ্টিভঙ্গি ও তীব্র শ্লেষ তিনি আমাদের দিকে ছুঁড়ে দেন, তখন 'সমালোচনা মানেই কষাঘাত ' এই মনোভাবকে অস্বীকার করে বইটি ভালোবাসতে ইচ্ছে হয় ।
আগে বলেছি এখনো বলছি পরেও বলবো , গৌরাঙ্গ ধীরে ধীরে অনেক পরিশ্রমে কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁর কবিতাজগৎ , তা তাঁর কবিতা পর্যায়ক্রমে পড়লেই বুঝতে পারা যায় । তাঁর এই কাব্যগ্রন্থে পাই: ' সারা গায়ে তোমার দরবারি কানাড়া মেখে/ এখান থেকে আমি চলে যাব ।' ( ' কিন্তু কৃষ্ণজিৎ') , ' ভেবেছিলাম গোরুর গাড়িটার পেছনে ছুটব , / কিন্তু ছোটা হয় না, আমাকে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে স্থবির সময় । ' ( ' গোরুর গাড়ি ') চুম্বন করার মতো পংক্তি ।
বর্তমানে গৌরাঙ্গ মিত্রের কবিতা এমনই , যাকে পুনঃপাঠ করতে গেলে আবার আঁতিপাতি করে পড়তে হয় । কারণ তাঁর ভেতর সত্য বাসা বেঁধে আছে, যে
সত্যের সঙ্গে মনে মনে সকলেই বাস করতে চাই মিথ্যে দূরে ঠেলে । শৈবাল নায়েকের প্রচ্ছদ কে বলতে হয় , বাঃ। কালার, পরিকল্পনা মনকে ধরে রাখে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন