সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৮৭.
কবিতাপাক্ষিক ২৮১ সংখ্যায় প্রকাশিত অর্জুন মিশ্র কলমনামে নাসের হোসেনের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে আমার এই দিনলিপি।
শিরোনাম ছিল :
কাদাকুলি , ছান্দার , বাঁকুড়ায় কবিতাচর্চাকেন্দ্র-র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
কবিতাপাক্ষিক-এর ১১ বছর পূর্তি উৎসব
সাব-হেডিং ছিল :
কবিতাচর্চাকেন্দ্র-র ভিত্তিপ্রস্তরের বেদি , মঞ্চপ্রেক্ষিত এবং ' মাদল ' সম্পাদন
১২ জুন ২০০৪ শনিবার আমি গণদেবতা ধরেছিলাম। ১২ তারিখ থেকেই বেদির বাকি-কাজ শেষ করা হল। বেলিয়াতোড়ের স্বরূপ চক্রবর্তী আনন্দ চট্টোপাধ্যায় তিমিরকান্তি ও সুদীপ মণ্ডল ছিল। সারাদিন। অমানসিক পরিশ্রম করেছিল এই চার যুবক। মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য দুটি তালাই অর্ডার দিয়েছিল স্বরূপ। সে-ই সেদুটিকে ফ্রেমে আটকে ছিল। নামাঙ্কন করেছিলেন উৎপল চক্রবর্তী। ' মাদল ' -এর দেওয়ালের ছবিগুলিও এঁকেছিলেন উৎপলদা। মূলত লালু মাজি ও তার সঙ্গীরা সারাদিনের পরিশ্রমে লেপালেপির ও মোরামের রাস্তা তৈরির কাজ করেছিল। ভিত্তিপ্রস্তরের বেদির পরিকল্পনা উৎপলদার।রূপায়িত করেছিল শিল্পী শ্যামাপদ পান, রাজমিস্ত্রি মদন , সহকারী শিল্পী উত্তম পান( টান্টু ) এবং কুচু দাস।রাজকল্যাণ চেল এসেছিল।
□ টাটাসুমোয় শঙ্খ ঘোষ-কে নিয়ে কবিতাচর্চাকেন্দ্র-
অভিমুখী
১৪ জুন অর্থাৎ উৎসবের আগের দিন বেলা সাড়ে দশটায় আমার কালীঘাটের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিল নাসের। বৃহস্পতিবার ডা : প্রদীপ ঘোষ অনুরোধ করেছিলেন ট্রেনে না গিয়ে টাটাসুমোয় যাবার জন্য। ঠিক হয়েছিল দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রদীপ দেড়টা নাগাদ চলে আসবে ঈশ্বরচন্দ্র নিবাস , শঙ্খ ঘোষ-এর বাড়িতে।গৌরাঙ্গ মিত্রও সেই গাড়িতেই থাকবে। সেখান থেকে শঙ্খ ঘোষ , নাসের হোসেন শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বিশাল ভদ্র অপূর্ব মাইতি গাড়িতে যাবেন।
আমার বাড়ি থেকে নাসেররা নিয়েছিল ব্যানার স্মারক স্বর্ণচম্পক গাছ নিয়ে নিউ মার্কেট থেকে নিয়েছিল দুটি গোলাপস্তবক। দুটিতেই ৬০ টি করে গোলাপ।এসব সহ নাসেররা ঈশ্বরচন্দ্র নিবাসে পৌঁছে গিয়েছিল দেড়টার মধ্যে।
দুটো বাজতে পাঁচে নাসের এবং শুভাশিস ডাকতে গিয়েছিল শঙ্খদাকে। বউদি শঙ্খদার জল খাবার জন্য কিছু প্লাস্টিকের গেলাস দিয়েছিলেন।
গাড়ি স্টার্ট দেবার আগেই শুভাশিস মোবাইলে আমাকে জানিয়ে দিয়েছিল --- যাত্রা হল শুরু।
□ গৌরাঙ্গ-র বউয়ের দেওয়া লুচি-পনির এবং পথের মাঝে ল্যাংচা মিউজিয়াম
বর্ধমানের পূর্তভবন থেকে মুরারি সিংহ-র ওঠার কথা। তার আগেই শক্তিগড়ের ল্যাংচা -এলাকায় ল্যাংচা মিউজিয়ামের চেয়ারে বসে খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করেছিলেন সকলে।
গৌরাঙ্গ-র স্ত্রী শিখা সুন্দরভাবে থরে থরে সাজিয়ে দিয়েছিল লুচি এবং পনির। ল্যাংচাও কেনা হয়েছিল। ছিল চা-পান। বলার কথা হল পরদিন ফেরার সময় ল্যাংচার দোকানগুলো আর দ্যাখা যায়নি। রাস্তা বড়ো করার জন্য ওগুলো বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
কথা মতো মুরারি উঠেছিল ৪টে৪০ নাগাদ। শুভাশিস ফোনে আমাকে জানিয়েছিল মাঝে একবার সোনামুখীতে চা-পানে বিরতি।
উৎপল চক্রবর্তী এবং আমি অপেক্ষা করছিলাম অভিব্যক্তি-র গেটে। গাড়ি থামতেই প্রথমেই দেখিয়ে এনেছিলাম কবিতাচর্চাকেন্দ্রের বেদি এবং ভিত্তিপ্
কবিতাচর্চাকেন্দ্রের বেদি এবং ভিত্তিপ্রস্তর। তারপর সকলে মিলে ' অভিব্যক্তি '।
বাকি কথা চলতে থাকুক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন