সৌমিত্র রায়- এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২০২.
সে বছর কাটোয়া লিটল ম্যাগাজিন মেলার উদ্বোধন করেছিল আমার বিশেষ সুহৃদ রতন বসুমজুমদার।
এরপর ছিল কবিতাপাক্ষিকের ' অরুণ মিত্র -র সঙ্গে
৫ নভেম্বর '।
' মানুষ যতদিন পর্যন্ত স্বপ্ন দেখবে ততদিন কবিতাও থাকবে ' ব্যানারটি মঞ্চের একপাশে আটকে দিয়েছিল ভগবাহাদুর সিং। আর মঞ্চের যেখানে চালচিত্র এঁকেছিল শিল্পী তাপস দাস , তার একপাশে লাগানো হল কবিতাপাক্ষিক আর নীচের দিকে 'অরুণ মিত্র-র সঙ্গে ৫ নভেম্বর ' ।
কাটোয়া লিটল ম্যাগাজিন মেলায় কবিতাপাক্ষিকের এই অনুষ্ঠান শুরু হল জপমালা ঘোষরায় -এর গাওয়া রবীন্দ্রগান দিয়ে । এরপর কবিতাপাক্ষিকের প্রধান সম্পাদক মুরারি সিংহ কিছু বক্তব্য বলেছিল। বিশিষ্ট কবি এবং কথাকার দীপংকর ঘোষ-এর হাতে অরুণ মিত্র স্মারক সম্মান তুলে দিয়েছিলেন কবি এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা : গোবিন্দরাম মান্না। আমাদের অনুরোধে দুজনেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেছিলেন। নতুন পত্রিকা ' পোতাশ্রয় ' - এর প্রথম সংখ্যাটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেছিল তুষার পণ্ডিত। লিটল ম্যাগাজিন কী এবং কেন কেন্দ্রিক কিছুকথা বলেছিলাম আমি। অরুণ মিত্র-র কবিতা পাঠ করেছিলেন মুরারি সিংহ স্বপন দত্ত এবং দীপ সাউ। পড়ার কথা ছিল মুহম্মদ মতিউল্লাহ্ গৌরাঙ্গ মিত্র আফজল আলি এবং নাসের হোসেনের। সময়াভাবে এদের পড়া হয়নি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিল গৌরাঙ্গ মিত্র।
সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা তথা পরিচালনা ছিল নাসের- এর।পরের অনুষ্ঠান মেলা কমিটির আয়োজনে লোকগান। সব শেষে কবি জয়দেব বসু- র সাক্ষাৎকার। রাজনীতি কবিতা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেছিলাম তুষার এবং আমিও।
পরের দিন শনিবার , ৬ নভেম্বর ২০০৪। বেলা ৯টা নাগাদ কবিতাপাক্ষিক টিম পৌঁছে গিয়েছিল জপমালা-তপনের বাড়ি। সকালের জল ও খাবার = জলখাবার।
গিয়েছিলাম : নাসের অম্বিকা মুরারি গৌরাঙ্গ সমরমাস্টার নিখিল স্বপন দত্ত এবং আমি। আয়োজন : লুচি তরকারি মিষ্টি কফি প্রভৃতির বিশাল সূচি। মধ্যাহ্নভোজনও ওখানেই।
জপমালার শিষ্য গেয়েছিল : একী লাবণ্য / এসো শ্যামল সুন্দর / তোমার খোলা হাওয়ায় / আমি কান পেতে রই ও আমার /একদিন যারা মেরেছিল তারে রাজার দোহাই দিয়ে ।
জপমালা গেয়েছিল :
ঘরেতে ভ্রমর এল গুনগুনিয়ে / এই তো তোমার প্রেম / এই তো তোমার প্রেম/ ধীরে ধীরে প্রাণে আমার এসো হে / উতল হাওয়া লাগলো গানের তরণীতে।
এরপর জপমালা এবং মানবেন্দ্র একত্রে গেয়েছিল
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়েছিলে। জপমালা-তপনের মেয়ে শ্রীতমা খুব মুডি ছিল সেসময়। তার মুড ঠিক হবার পর তার নাচ। জপমালা গেয়েছিল নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগলো ,সঙ্গে শ্রীতমার নাচ। বেশ জমে গিয়েছিল।আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখেছিলাম তথা শুনেছিলাম। তবলাবাদক ছিল জপমালাল আরেক শিষ্য ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জি। বেলা ১১টা নাগাদ বহরমপুর যাবার ট্রেন ধরেছিল নাসের নিখিল স্বপন আর সমরমাস্টার।
এরপর শুরু হয়েছিল ক্লাসিক্যাল।টপ্পা ঠুংরি গজল এবং খেয়াল , তারানা সহ। গেয়েছিল মানবেন্দ্র এবং জপমালা। সবটাই ছিল আমার অনুরোধ মতো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন