সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২০৭.
শনিবার দুপুর ৩টের সময় বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে পৌঁছোলেন বাংলাদেশের কবি জাহিদ হাসান মামুদ এবং তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। স্টেশনে উপস্থিত ছিল নাসের স্বপন দত্ত শান্তনু সমরমাস্টার এবং আমি। জাহিদরা পৌঁছে যাবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল সন্দীপ বিশ্বাস। ওদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল PWD বাংলোয়। ওখানেই ছিল দীপ ও শুভ্রা সাউ।
সন্দীপ বেশ কিছুক্ষণ ওখানে জাহিদ-কে সঙ্গ দিয়েছিল। কথা প্রসঙ্গে প্রকাশিত হয়েছিল জাহিদদের গ্রামের বাড়ির কাছেই সন্দীপদের পৈত্রিক বাড়ি।
উৎসবের দিন সকাল ৬টায় বেরিয়ে পড়েছিলাম অতিথি-আপ্যায়নে।
PWD বাংলো সার্কিট হাউস PHE বাংলো ঘুরে এলাম । আবার সাড়ে ৬টায় নাসেরের সঙ্গে বহরমপুর ক্লাব। ওখানেই খাবারের ব্যবস্থা , দিনের এবং রাতের। পাশেই ঋত্বিকসদন। ওখানে থার্মোকলের ৩টি হোডিং এসে গেছে। ২টি বাইরে লাগানোর জন্য , একটি সভামঞ্চের। তখন ফ্লেক্স আসেনি। নীল কাপড়ের ওপর থার্মোকলে লেখা কবিতাপাক্ষিক ৩০০। মঞ্চের সামনে ' মানুষ যতদিন পর্যন্ত স্বপ্ন দেখবে ততদিন কবিতাও থাকবে '।
ওখান থেকে গেস্টহাউস। গেস্টহাউস থেকে ব্যানার
ও বইপত্রের ব্যাগ গাড়িতে তোলা হল।এমদাদ -উল- হক গাড়ির ব্যবস্থা করেছিল। গেস্টহাউসের কাছেই মা কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। ওখানে কচুরি ডাল ছানাবড়া। গাড়ি নিয়ে বহরমপুর ক্লাব। দেখা গেল বাস থেকে নেমে ঋত্বিকসদনের দিকে হেঁটে আসছেন দীপংকর ঘোষ তাপসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ভগবাহাদুর সিং রুদ্র কিংশুক মলয় ঘোষ। তাদের ডেকে নিলাম। বহরমপুর ক্লাবের গেটে কবিতাপাক্ষিকের ব্যানার টাঙানো হল। ঋত্বিকসদনের সামনে ১২ টি বিভিন্ন রঙের উৎসবের পতাকা ওড়ানো হয়েছিল লোহার স্ট্যান্ডে। এই আইডিয়াটা পেয়েছিলাম পার্টির একটা কর্মসূচি থেকে।ব্রিগেড-এর মিটিং । অনেকের সঙ্গে আমিও ছিলাম মঞ্চ এবং মাঠ সজ্জায়। সেখানেও ১২টা অনেকের সঙ্গে আমিও ছিলাম মঞ্চ এবং মাঠ সজ্জায়। সেখানেও ১২টা উৎসবের পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। মঞ্চের ব্যানার দুটিও নিজ নিজ স্থানে বসে পড়ল। শুভাশিসের ওপর দ্যাখাশোনার ভার রইলো।
নাসের এবং আমি গেলাম সন্দীপ বিশ্বাসের বাড়ি। ওখান থেকে গেস্টহাউস। ওখানের বইপত্র নামিয়ে এনেছিল রুদ্র কিংশুক তাপসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ভগবাহাদুর সিং।
ঋত্বিকসদনে বইপত্র নামানোর পর নাসের এবং শান্তনু চলে গেল লোকনাথ মন্দিরে। পায়রা আনার জন্য। অশোক সিনহা একটি নাইলনের তিনটি মুখবন্ধ ব্যাগে সাদা পায়রা তুলে দিয়েছিলেন নাসেরের হাতে।নাসের এবং শান্তনু হাতে করে পায়রা ধরা শিখে নিয়েছিল। অশোককেও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। অশোক আসতে পারেনি। তার প্রতিনিধি একটি ছেলে এসেছিল সাইকেলে।
রবিবার ২০ মার্চ ২০০৫ সকাল ১১টায় বহরমপুর ঋত্বিকসদনের সামনে ৩০০ কবিতাউৎসবের উদ্বোধন হল একটু অন্যরকম ভাবে। প্রবেশতোরণের কাপড়ের ওপর আটকে দেওয়া হয়েছিল কপা ২৯৯ সংখ্যায় প্রকাশিত উত্তম চৌধুরী 'প্রস্তাবনা ' কবিতাটি । তার পাশেই কপা ৩০০ সংখ্যা আমার লেখা ভূমিকাটি 'কথার কথা '।
তারপর পায়রা ওড়ানোর কথা ঘোষণা করল নাসের । আমি প্রথম পায়রাটি , দ্বিতীয়টি শক্তিনাথ ঝা , তৃতীয়টি সন্দীপ বিশ্বাস। পায়রা উড়লো। মুহুর্মুহু হাততালি । ঘোষণায় ঠাকুরদাস।রতন দাস তার মোবাইলে হাততালির ধ্বনি সরাসরি শুনিয়েছিল ধীমান চক্রবর্তী-কে। লোকনাথ মন্দিরের ছেলেটির হাতে ফেরত দেওয়া হল পায়রার ব্যাগ। তারপর ভেতরে ঢোকা হল।
ভেতরের খবর আগামীকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন