রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য

প্রভাত চৌধুরী



১৮১.

গতকাল বলেছিলাম ' আমাদের কবিতাপাক্ষিক ' শীর্ষক যে লেখাটি কপা ২৫১ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল ৩ মে ,২০০৩ , সেটি এই লেখায় আনার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু আজ ওই লেখাটি আর একবার পড়লাম। পড়ার পর দেখলাম : এখনো পড়া যাচ্ছে। পড়া যখন যাচ্ছে , তখন  পাঠকদের পড়াতেও অসুবিধা হবে না। অতএব শুরুটা পড়তে থাকুন :

' আমার স্ত্রী রাজমাতা যূথিকা চৌধুরানি একটি রচনার কথা প্রায়ই বলেন, যেটি তিনি লিখবেন, তার নাম " কত পাখি এল গেল "। আমি ঠিক এভাবে ভাবতে অভ্যস্ত নই। আমি বিশ্বাস করি মানুষ এবং পাখির ফিজিওলজি এক নয়। আর মানুষকে পাখিরূপে দেখা আমার চোখের পক্ষে কঠিনতম কাজ।আমার স্ত্রী মানুষের ডানায় পালক সংস্থাপনের প্রক্রিয়া জানলেও জানতে পারেন ,আমি জানি না। তবে আমার স্ত্রী যাঁদের পাখিরূপে চিহ্নিত করেন , আমি তাঁদের চিনি কবিযশোপ্রার্থী রূপে --- এটুকু লিখতে দ্বিধা নেই। পাখিদের যাতায়াত বিষয়ক রচনাটি বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশ করা গেল না, পরবর্তী কোনো সংখ্যায় সেটি শোভিত হবে।

একদিন শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আর আমি গাড়ির পেছনের সিটে, কোনো চিত্রপ্রদর্শনীতে যাচ্ছি , হঠাৎই জানতে চাইলাম --- তুমি কী করে কবিতাপাক্ষিকে ভিড়লে ? শুভাশিস বলতে শুরু করল সেই রূপকথা , নাকি গল্প ! সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলাম এবারে কবিতা- পাক্ষিক-এর ২৫শে বৈশাখের সংখ্যার বিষয় হবে 

" আমাদের কবিতাপাক্ষিক"।সেই মতো প্রস্তুতি , তার ফলস্বরূপ এই সংখ্যা ।

শিবসেনাপ্রধান কোনো আত্মকথা লিখেছেন কিনা জানি না , জানার কথাও নয়, তবে কবিতাপাক্ষিক প্রধানের লেখাটা বাধ্যতামূলক। তাই লিখছি '।

এখন কী লিখেছিলাম সেটিও বা তার কিছু কিছু নমুনা তো পেশ করা যেতেই পারে । কেউ আপত্তি করতে যাবেন কেন খামোখা ।আর আপত্তি করলে তা শুনতে আমি বাধ্য নই। বাধ্য অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তাকে ঝাঁট দিয়ে বের করে দেওয়া। যেমন তখন দিয়েছিলাম। পড়ুন ঝাঁটার কার্যবিবরণী :

'  বর্ধমানে কবিতাপাক্ষিক ৫ প্রকাশ উপলক্ষে একটি সভা হয়েছিল। ওখানে জানতে পেরেছিলাম বর্ধমান জেলার একটি পত্রিকা কবিতাপাক্ষিক সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের আনুগত্যের অভিযোগ তুলেছিল । আমরা নাকি প্রতিষ্ঠানের হয়েই কাজ করতে চাইছি।সেই মতামতটি কবিতাপাক্ষিক২০০-তে একবার প্রকাশিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে আমি ওই পত্রিকাগোষ্ঠীর একজনকে জানিয়ে ছিলাম যে বম্বের চলচ্চিত্র তারকা নীতু সিং এসে কবিতাপাক্ষিক বিক্রি করবেন মেট্রোর উলটো দিকে, আপনারা আসবেন। কবিতার জন্য প্রয়োজনে আমি এটাও করতে পারি  । এটুকুই জানাতে চেয়েছিলাম।'

ওটা ছিল কথার কথা। নীতু সিং নামটা ব্যবহার করাটা একটা ধমক বলে মনে হয়েছিল তখন। ওইসব লিটল ম্যাগাজিনের কর্মকর্তাদের পেছনের সিটে বসে লেজ নাড়া ছাড়া অন্য কোনো কাজ নেই  । কাজ করার বাসনাও নেই। সেই যোগ্যতাও নেই । আছে শুধু প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার  মূলগায়েনের মূল-বুলিতে গলা মেলানো । 

নীতু সিং -এর বিকল্প হিসেবে আমরা উপস্থিত করেছিলাম ' কবিতার কিয়স্ক '। সেই কিয়স্ক সম্পর্কে কী লিখেছিলাম, সেটুকু পড়ে দেখুন।  

' আমরা একটা কিয়স্ক বানিয়েছি । সেই কিয়স্ক নিয়ে ইতিমধ্যে গেছি শুশুনিয়ায়, ছান্দারে ।শুশুনিয়ায় ছিল ধারার মেলা , লক্ষাধিক লোকের সমাগম।থাকার কথা ছিল তিনদিন । প্রথম দিনেই প্রায় সব বই শেষ ।আমরা শেষের দু-দিন খালি কিয়স্ক সাজিয়ে বসে থাকতে পারিনি। শুশুনিয়ার মানুষ , কবিতাপ্রেমীদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। উচিত ছিল শেষ দু-দিন থেকে যাওয়া ।গাজন এবং চড়ক বাঁকুড়া জেলার বেশ কয়েকটি জনপদে হয়ে থাকে, তার মধ্যে জগন্নাথপুর পাঁচাল বাঁকুড়া জেলার বেশ কয়েকটি জনপদে হয়ে থাকে, তার মধ্যে জগন্নাথপুর পাঁচাল বাঁকুড়া আর ছান্দার উল্লেখযোগ্য। আমরা ছান্দারের মোড়ে দিনগাজন আর রাতগাজনের দিন বিকেল ৪টে থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত কিয়স্ক সাজিয়ে বসেছিলাম  ।এই অঞ্চলে কবিতার বই বিক্রির রেওয়াজ নেই বললেই চলে । কিন্তু যতক্ষণ কিয়স্ক ছিল ততক্ষণই আগ্রহী মানুষজন ভিড় করে কিয়স্কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন । সামর্থ্য অনুযায়ী বই কিনেছেন । চড়কের দিন আমরা কিয়স্কটিকে নিয়ে যাই শিবথানে , ঠিক চড়কগাছের সামনে ।'

সেসবের জন্য আগামীকাল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...