সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৯১.
১৫ জুন সকালে আরো কয়েকজন এবং জন্মদিনের পায়েস
১৫ জুন অনুষ্ঠানের দিন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি জ্ঞানশঙ্কর মিত্র সকাল সকাল চলে এসেছিলেন।এসে আন্তরিকভাবে দেখাসাক্ষাৎ করেছেন, আমাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন, আমাদের পরিবারের একজনের মতোই। তাঁকে আমাদের হার্দিক অভিনন্দন জানিয়েছিলাম আমরা সকলে মিলে। নাসের এমনটাই লিখেছিল , আমি কপি করে যাচ্ছি।জ্ঞানশঙ্কর মিত্র শঙ্খ ঘোষ সহ প্রায় একশো জন কবিতাপ্রেমী অভিব্যক্তির লতাবিতানে বসে জলখাবার খেয়েছি , খেয়েছি জন্মদিনের পায়েস সহ কচুরি আর চা। এদিন সকাল ১০টায় এসেছিল রাজকল্যাণ চেল সুব্রত চেল সৌমেন চট্টোপাধ্যায় নভনীল চট্টোপাধ্যায় রজতশুভ্র গুপ্ত ব্রজকুমার সরকার এবং ঈশ্বর ত্রিপাঠি। দুর্গাপুর থেকে রবীন্দু বিশ্বাসের গাড়িতে সুবীর ঘোষ নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় এবং রিমি দে। রূপনারায়ণপুর থেকে প্রদীপ বিশ্বাস উত্তমকুমার চক্রবর্তী মানিকচন্দ্র দাস । সাড়ে দশটা নাগাদ দীপ সাউ শ্যামলবরণ সাহা উৎপল সাহা বর্ধমান থেকে । ১১টা ১০ নাগাদ বহরমপুর থেকে শক্তিনাথ ঝা নীলিমা সাহা বর্ণালী সাহা। বোলপুর থেকে রুদ্র কিংশুক এবং সজল দে। এছাড়া আরো কয়েকজন।
□ কবিতাচর্চাকেন্দ্র -র ভিত্তিপ্রস্তর শঙ্খ ঘোষ-এর হাতে , মাদল-এল সামনে স্বর্ণচম্পক গাছ রোপণ করলেন প্রভাত চৌধুরী
টুসু-প্রদীপের ব্যবস্থা করেছিলেন উৎপল চক্রবর্তী। কবিতাচর্চাকেন্দ্র-র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের স্থানে টুসু- প্রদীপ জ্বালাবেন শঙ্খ ঘোষ , সঞ্চালক নাসেরের এই অনুরোধ ছিল সকলের পক্ষে । শঙ্খদা জ্বালালেন টুসু- প্রদীপ যথাস্থানে । এভাবেই সুপ্রোথিত হল মূল অভিলাষটি। নাসেরের অনুরোধে আমি কিছু বলেছিলাম। আমার পর বলেছিলেন জ্ঞানশঙ্কর মিত্র এবং ঈশ্বর ত্রিপাঠি। শঙ্খদাকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করা হলে শঙ্খদা বললেন :
' প্রভাতের কাছে আশ্বাস পেয়েছিলাল আমাকে কিছু বলতে হবে না। এতক্ষণে বেশ সুস্থিরভাবেই ছিলাম। এইবার টেনশন শুরু হল। কিছু বলতে হবে। একটু আগে প্রভাত যখন বললেন শান্তিবারি ঝরছে , তখন হঠাৎই বৃষ্টি তো নয় ,নিশ্চয়ই বৃষ্টি তখন হচ্ছিল না, বৃষ্টির জমে থাকা জল উপর থেকে আমার গায়ে এসে পড়লো। মনে হল, সত্যি সত্যিই শান্তিবারি। মনে হল , কুঞ্জবনে বসে আছি। ... কবিতার কথা ভেবেই কবিতাপাক্ষিক এই সমস্ত কাজ করে চলেছে। এটি যদি খুব তাড়াতাড়ি গড়ে ওঠে , কবিতাচর্চাকেন্দ্রের সংরকাষণকক্ষের জন্য আমার প্রায় ছ-শো লিটল ম্যাগাজিন আমি দিতে চাই। ...কবিতাপাক্ষিকের উদ্দশ্য সফল হোক।
এর উত্তরে আমি জানিয়েছিলাম :
মান্যবর শঙ্খ ঘোষ আমাদের অভিভাবক, তিনি আমাদের যা দেবেন আমরা সানন্দে সেটাই মাথা পেতে নেবো।
এরপর বক্তব্য বলেছিলেন উৎপল চক্রবর্তী । আর বহরমপুর থেকে এসে গেলেন শক্তিনাথ ঝা।
মুরারি সিংহ ঘোষণা করেছিল কবিতাচর্চাকেন্দ্র-র পরিচালকমণ্ডলীর নামগুলি।
নাসেরের ঘোষণার পর আমাদের সকলকে যেতে হল মাদলের সামনে স্বর্ণচম্পক গাছটি রোপণ করার জন্য। আর ওই গাছটি যে আমিই রোপণ করেছিলাম, এটা আগেই লিখেছিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন