সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৯৮.
গতকাল ' পবিত্র বিতর্ক ' প্রসঙ্গে লিখেছিলাম , তা ছিল কবিতাপাক্ষিক-এর সম্পাদকমণ্ডলীর গরিষ্ঠ অংশের অভিমত। এই ফাঁকে তৎকালীন সম্পাদক- মণ্ডলীর নামগুলি জানিয়ে রাখছি।
প্রধান সম্পাদক : মুরারি সিংহ
সংযুক্ত সম্পাদক : ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায় গৌরাঙ্গ মিত্র
সম্পাদকমণ্ডলী : নাসের হোসেন রবীন্দু বিশ্বাস শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় সুজিত সরকার আফজল আলি।
এদের মধ্যে ঠিক কোনকোন জনের সমষ্টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল তা আমার পক্ষে জানানো সম্ভব নয় , কারণ তখন তো আমি সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত ছিলাম না , একথা লিখলে কেউ বিশ্বাস করবেন না। তবে এই মতামতটি আমার একার ছিল না।
সম্পাদকমণ্ডলীর মতামত ছাড়াও আলাদা করে ৪ জনের মতামত ছাপা হয়েছিল। সেই মতামতগুলি বেশ দীর্ঘ মতামত ছিল।
এই ৪ জন : নিখিলকুমার সরকার সুবীর ঘোষ শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় স্বপন চক্রবর্তী। এদের মতামতের অংশ আমি উদ্ধৃত করছি।
নিখিলকুমার সরকার মাথা উঁচু রেখে লিখেছিল :
' ... ... সুতরাং এদের জন্য আলাদা কোনোরূপ সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হয় না। এরা ইচ্ছে করলেই দিনকে রাত , রাতকে দিন করতে পারেন --- সাদাকে কালো , কালোকে সাদা। মাননীয় পবিত্র সরকার এই সংখ্যাগরিষ্ঠ একচক্ষুবিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী প্রজাতির অন্যতম গৌরবান্বিত ব্যক্তিত্ব। আর সেইজন্যই বোধকরি এই পবিত্র- বিতর্ক।'
নিখিল আরো লিখেছিল : ' কারণ এক পবিত্র সরকার তো নন , আমাদের যাপন- চেতনা নির্ণায়কের ভূমিকায় চারপাশে অমিত জ্ঞানবান ও শক্তিমান কত না পবিত্র সরকার।
সুবীর ঘোষ এই বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছিল ।সুবীর লিখেছিল : ' আমরা, যারা কবিতাপাক্ষিককে ভালোবাসি তারা অকারণ কারোর প্রতি অসৌজন্যমূলক মন্তব্য ছুড়ি না কেননা তা সুরুচির পরিপন্থী । সুরুচির মধ্যে সুন্দরের অবস্থান। আমাদের আবহমান আদর্শ রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্রনাথ সারা-জীবন সুন্দরের জয়গান করে গেছেন।
পবিত্র সরকার একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ । ফোনেটিক্স ও লিংগুইস্টিক -এর মতো জটিল বিষয়ে যে -কয়েকজন বিরল প্রতিভা বর্তমান , পবিত্রবাবু তাঁদের একজন।
একটি নামকরা দৈনিক মারফৎ আমরা জেনেছি পবিত্র সরকার নাকি তাঁর পি এইচ ডি থিথিস সমাপ্ত না করেই ডক্টরেট উপাধি ব্যবহার করে যাচ্ছেন এবং তাঁর হাতে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র বা সার্টিফেকেট নেই। এই অভিযোগ একদিনেই নিভিয়ে দেওয়া যেত যদি পবিত্রবাবু সাংবাদিক- সম্মেলন ডেকে তাঁর সার্টিফিকেটটির একটি ফটোকপি ধরিয়ে দিতেন। কিন্তু সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেই পরবর্তীতে জল এত ঘোলা হয়েছে।
এরপর সুবীর চারটি পর্বে তার বক্তব্য লিখেছিল।প্রতিটিই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে সুবীর ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় লিখেছিল :
' আমরা আশা করি , সুস্থ শিক্ষাধারাস্রোতের কথা ভেবে পবিত্রবাবু তাঁর সত্তর দশকে পাওয়া (? )
পি এইচ ডি সার্টিফিকেটটি প ব সরকারকে অথবা তাঁর প্রাক্তন কর্তৃপক্ষকে অথবা সাংবাদিকদের দেখাবেন , ২০০৪- এ সংগৃহীত সার্টিফিকেটটি অবশ্যই নয়।
বাকি দু-জনের বক্তব্য আগামীকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন