বিদির্ণ হৃদয়
সহেলী দে
নীলাভ ছত্রধারী বৃক্ষতলের স্নেহময় ছায়ায়,
এক তিত্তিরে মিঠেলতা মায়াবী জ্যোৎস্নার অপেক্ষায়~
অতীন্দ্রিয় অন্তরীক্ষে স্বপ্ন বুনে চলেছে~
একঝাঁক *নক্ষত্রের* হীরকমণি` নয়ন, তার বক্ষতলে।
বিছিয়ে দিয়েছে শরীরের লতানো সবটুকু-
অনুভূতির মর্মের সূক্ষ্ম মনিকোঠায়।
পশ্চিমের কোনেদেখা মেঘের রক্তিমছটা,
লজ্জাবস্ত্রখানির আঁচলটিকে ব্যাকুল বনতলে।
সমুদ্রের উথালরহস্য ঢেউয়ের পর ঢেউতে ভিজিয়ে চলেছে,
অবিরত আনাগোনা প্লাবনের আলিঙ্গন।
ক্লান্ত লতা চায় একটু অবলম্বন-
ঠোঁট ফুলিয়ে বলে, হে নিঠুর....!
তবু পরের ঢেউয়ের সিক্ত স্পর্শ চায়
তাকে স্যেঁতিয়ে চুপ রাখতে!
সন্ধ্যে হতে আকাশপ্রদীপ জ্বলে;
তবুও আকাশের রক্তিমতা লতার দলকে..
তখনও স্পর্শ করে, লজ্জাবস্ত্রকে আলিঙ্গন করে।
পুবালী হাওয়ায় দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য~
ঢেউ, মুক্ত প্লাবনের তরঙ্গে তখনও ব্যস্ত।
রাত নিবির হতে অন্ধকারের গাঢ়ত্ব-
নক্ষত্রদের দৃষ্টি উজ্জ্বল করে,
লতার চঞ্চলতাকে স্পর্শ করে,
স্যাঁতস্যাঁতে অঞ্চল অস্পষ্ট হয়,
ঢেউয়ের জলচ্ছ্বাসের ধূসর কোয়াশায়|
দিনের পর দিন, রাতের পর রাত!
চলতে থাকে স্বপ্নের ইচ্ছে প্রকাশ-
আর সাগরবেলার উন্মত্ত আলিঙ্গন;
তিত্তিরে লতা ভূমিতে নিজেকে জরিয়েই বড় হয় একলা।
ধরতে পারে না বৃক্ষের অবলম্বন-
আর হয়তো সত্যই ধরা হয়ে ওঠে না..
তার প্রিয় অবলম্বন! যেখানে বাতাসে মেলবে সে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন