সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৭৬.
কোচবিহারের হিমাংশু দেব লিখেছিল :
' আমাদের কবিতাপাক্ষিক। আমি এবং কবিতা পাক্ষিক।'
এরপর হিমাংশু লিখেছিল তার প্রেম এবং কবিতা লেখার প্রচেষ্টার কথা। এসব স্বীকারোক্তি সরল এবং সহজ। এরপরের পর্বে হিমাংশু যোগ করেছিল :
' কবিতাপাক্ষিক ২৩৬-২৩৭ সংখ্যায় গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিশা থেকে বিদিশায় আমায় ২০ বছর এগিয়ে দেয়। আমার জীবনের পিছিয়ে পড়া ২০ টা বৎসর খুঁজে পাই দিশা থেকে বিদিশায়। প্রতীক্ষা করে থাকি প্রতিটি সংখ্যার জন্য। এই কবিতাপাক্ষিক আমার , আমাদের। কবিতা এবং কবিদের সাথে যোগাযোগের মিলনায়তন এই কবিতাপাক্ষিক।তথ্য- প্রযুক্তির যুগে আধুনিতোত্তর কবিতার হাতিয়ার কবিতাপাক্ষিক , সে এক আশ্রয় মাধ্যম কবিতাকে সাথে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া সামনের দিকে ।
কবিতাপাক্ষিক প্রকাশনা আমার সামনে মেলে ধরে পোস্টমডার্ন কবিতা বিচার , পোস্টমডার্ন মানচিত্র ,আধুনিকতার বিরুদ্ধে কথাবাত্রা , পোস্টমডার্ন বিড়ালের সন্ধানে , এই সময়ের পরের কবিতা, অধুনান্তিকতা ও ভবিষ্যতের কবিতা ইত্যাদি।'
শেষের দিকে একটি বহু মূল্যবান কথা লিখেছিল :
' আজ আমি বুঝতে পারছি কোন রাস্তায় হাঁটব শব্দদের সাথে নিয়ে এগিয়ে যাবার জন্য '।
[26/10, 8:35 pm] Kobi Prabhat Chowdhury: ১৭৬ ॥ শেষাংশ
সূচিপত্রের পরের আমাদের একজন সুমন ঝা। সুমন লিখেছিল :
' ১লা বৈশাখের এক হাওয়া ভরা বিকেলে সাগরদিঘির বর্ণময় জীবনযাপনকারী এক মস্ত পাকা যুবকের হাত ধরে আমার জীবনে এসে যায় কবিতা পাক্ষিক। আচ্ছা এটা আবার কী? কিছু এলোমেলো লাইনের সংস্করণ? সত্যি বলছি , কবিতা নিয়ে আগে অন্য ধারণা ছিল, আস্তে আস্তে নিজেই ঢুকে পড়তে থাকলাম, ডুবে যেতে থাকলাম আর একসময় হারিয়ে গেলাম একটি গভীর ঘুম স্বপ্নময় এক দুর্দান্ত জীবন আর অগোছালো হাঁটাচলার মধ্যে নিজেকে ছড়িয়ে দিলাম। প্রতিটি পথের বাঁকে প্রচুর গুপ্তকথা থাকে , থাকে নতুন নতুন অচেনা মুখ অজানা সুরের গানে মিষ্টি মিষ্টি হাসি সবার পাশে আভিও যেন নিজেকে খুঁজে পেলাম বাদাম আখরোট কাজুর দেশে প্রচুর রংবেরঙের কবিতা নিয়ে এল কবিতাপাক্ষিক , আমাদের কবিতাপাক্ষিক ' ।
পারফেক্ট সুমন ঝা। একদম পারফেক্ট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন