ব্যক্তিত্ব || দেবাশিস চক্রবর্তী || নিজস্ব কলম
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের এক প্রত্যন্ত গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবা ফণিভূষণ চক্রবর্তী ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। মা লীলা চক্রবর্তী ভালো গান ও আবৃত্তি করতেন। পারিবারিক সাংস্কৃতিক পরিবেশে একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠেন দেবাশিস। প্রথম জীবনে বাবার মতোই লেখালেখি করতেন। তারপর এলো আবৃত্তির প্রতি গভীর অনুরাগ। এখানে ওখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করতেন।১৯৮০ সালে প্রখ্যাত বাচিক
শিল্পী জগন্নাথ বসুর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসেন। ওনার কাছে তালিম নিয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন। পাঁচ বছর আকাশবাণী কলকাতার নাটক বিভাগে চাকরি করেছেন। কলকাতা
দূরদর্শনে একাধিকবার আবৃত্তি পরিবেশন করেছেন। জীবনে অনেক পুরস্কার ও সম্বর্ধনা পেয়েছেন। তাঁর আবৃত্তির অ্যালবাম-'জীবনের জলছবি' ও শ্রুতিনাটকের সিডি-'অধরা মাধুরী' এবং 'রাগে অনুরাগে' শ্রোতাদের কাছে উচ্চপ্রশংসিত হয়। তাঁর সম্পাদিত দুটি সংকলনগ্রন্থ হল-'কবিতা যখন আবৃত্তি' ও 'ছোটদের কবিতা যখন আবৃত্তি। জীবনে চলার পথে বহু গুণী মানুষের সাহচর্য পেয়েছেন।
ছাত্রজীবন-প্রথমে গ্রামের প্রাথমিক স্কুল,তারপর কোলাঘাট হাইস্কুল। পরে তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যালয় এবং সবশেষে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। বিভিন্ন সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম অনুলিখনের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু। প্রথমে সাহিত্যিক মনোজ বসুর সহকারী ছিলেন। কিছুকাল উল্টোরথ ও নবকল্লোল পত্রিকায় যুক্ত ছিলেন। সাহিত্য সংসদ প্রকাশনীর প্রুফরিডারের চাকরি করেছেন এক বছর।
পরবর্তীকালে পুরোপুরি বাচিকশিল্পের জগতে চলে আসেন। বহু স্বনামধন্য ব্যক্তির সান্নিধ্য ও স্নেহ পেয়েছেন সারাজীবন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় আবৃত্তিশিল্পকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। অনেক কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
বেশ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন যৌবনে।'জোনাকি' পত্রিকা সম্পাদনা দিয়ে সম্পাদকজীবন শুরু। 'আবৃত্তি সংবাদ' নামে শেষ সম্পাদিত মাসিক পত্রিকা। আজীবন আবৃত্তিশিল্পের প্রচার ও প্রসারে নিবেদিতপ্রাণ তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন