সৌমিত্র রায় এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৬০.
এবার মুখের স্বাদ বদলানো যাক বা ফিরে আসা যাক ঢাকের বাদ্যি নিয়ে। অর্থাৎ নিজের ঢাক নিজে পেটানো যাক ।এটাও আত্মপক্ষ সমর্থনের একটি কৌশল । এই কৌশলের সঙ্গে কৌশল্যার বিন্দুমাত্র যোগসূত্র নেই। নেই বলে ' রামচরিত মানস ' কিংবা' ' ' 'ঢোড়াই চরিত মানস ' - এর আত্মীয়তা নেই। এটা এক ভিন্ন কৌশল !
আপনারা অবগত আছেন কবিতাপাক্ষিক - এর ২৫০ সংখ্যাটির মূল বিষয় ছিল :
আমাদের কবিতাপাক্ষিক
ওই সংখ্যায় আমাদের স্বজন এবং সুজনেরা কবিতা- পাক্ষিক-এর গুণকীর্তন করেছিলেন খোলামনে। আমিও গুণীদের দেখানো পথ ধরে সেই কীর্তনের অংশ বিশেষ শোনাতে চাইছি। এখনকার বন্ধুদের হয়তবা জানা নেই এইসব ঐতিহ্য-সমাচার। যে কর্মযজ্ঞ কারো কারো না-পছন্দ হতে পারে , কিন্তু পছন্দ করেন , এমন মানুষের সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। সংখ্যায় তাঁরা অধিক। সংখ্যাগুরুদের মতামতকে সর্বসমক্ষে উপনীত করাটাও একটা কাজ।
প্রথমেই ছিল আমার প্রতিবেদন ।সেটা না হয় শেষে বলা যাবে। আর শেষে ছিল নাসের হোসেন-এর লেখা। আমি শেষের লেখাটিকে প্রথমে স্থান দিলাম। ওখান নাসের লিখেছিল :
১০ বছর ধরে চারটি ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব সহকারে কাজ করেছি। চারটি ক্ষেত্র হল ----বাড়ি , অফিস ,লেখালেখি/ শিল্পসাধনা এবং কবিতাপাক্ষিক সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রয়োজনমতো যেকোনো সময়ে সক্রিয় থেকেছি।
নাসের আরো লিখেছিল :
আশ্চর্য এক স্বপ্নের নাম কবিতাপাক্ষিক।স্বপ্নদ্রষ্টা প্রভাতদাকে তো বটেই , সেইসঙ্গে স্বপ্নকেও প্রণাম জানাই এই ১০ম বছর পূর্তিতে।
নাসেরের পর আহ্বান করছি রবীন্দু বিশ্বাস-কে।
রবীন্দু বিশ্বাস- এর লেখাটির কিছুটা :
রাজনীতি ও সাহিত্য--- দুটির সাংগঠনিক বিক্রিয়ায় জন্ম নিল কবিতাপাক্ষিক।সহজাত পরিশ্রম , শারীরিক ও মানসিক , সম্বল করে কবিদের পারিবারিক কুঠুরিতে ঘটল মেধাবী যাতায়াত। ... ... ... ... ...
কবিতাপাক্ষিকই প্রথম পরিবারপ্রথা চালু করল ৷
ছান্দারের অভিব্যক্তি - উৎপল চক্রবর্তীকে আমি ছোড়দা বলতাম। আমি একা নয় অনেকেই বলতেন।সেই ছোড়দার লেখার দুটি অংশ। প্রথমটি :
আমি কবি নই , তবু ব্যগ্র প্রতীকী উল্লসিত হল যখন ফলকে ,যেখানে কর্মী ছিলাম , প্রভাত চৌধুরী এলেন সঙ্গে অনন্য রায় , তুষার চৌধুরী । স্বল্প পরিচয়ের আড়ষ্টতা মুহূর্তে আড্ডায় গানে সাবলীল।
এই ঘটনার বহুদিন পরের আর একটি স্মৃতিকথা -র দ্বিতীয়টি :
সেই সূত্রেই আবার একদিন অভিব্যক্তিতে । সারাদিন রাত্রিব্যাপী আলোচনা কবিতাপাঠ গান নাচ ।নাসের, রজতেন্দ্র , ঠাকুরদাস ,এবং দুর্গাপুর বাঁকুড়ার অনেকে।অভিব্যক্তি আজন্ম সৃজনের শতপুষ্পে অভিব্যক্তি হতে চেয়েছে ।কবিতাপাক্ষিক প্রাপ্তির উপহার দিল অভিব্যক্তিকে ।
এরপর আসছে মুহম্মদ মতিউল্লাহ্- র কথামালা :
এই সময় যে লেখাটি লিখছি , এটা পৌঁছেলেও আমাকে সেই তিরস্কার শুনতে হবে । ' শতভিষা সংকলন ' সম্পাদনায় যখন হাত দিই , ভয় পেয়েছিলাম তা আদৌ বেরুবে কিনা । প্রভাতদা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে--- তাঁর প্রকাশনা থেকে সেটি প্রকাশ করলেন। অনেকে আমাকে টেলিফোনে অভিনন্দিত করলে সংকুচিত হয়েছি ।স্পষ্টবাক প্রভাতদাকে কেউ এসব মামুলি অভিনন্দন জানাতে গেলে তাঁর চ্যাঁছাছোলা উত্তর --- ' তোমরা তো কেউ কর না , আমরা দায়িত্ব মনে করে করেছি '।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন