পূরবী~৪০
অভিজিৎ চৌধুরী
অঙ্গীরা বলল,তুমি আমায় চিনতে পারছ! আমার মুখটা মনে আছে তোমার!
তীর্থ তাকাল একবার বলল,না বড় হোসনি।আমি তো শুনতে পাচ্ছি,তুই ডাকছিস ভূতুম, খেতে এসো।
দীঘায় চোরাবালিতে একবার হারিয়ে গেছিল একবার।চারিদিকে শুধু জল আর জল।সৈকত দেখা যাচ্ছে না।অদূরে দেবলীনা ওগৈরিকা।তাদেরও একই অবস্থা। জীবনেরও যেন তল নেই।
রবীন্দ্রনাথ বললেন,নীলমণি,আস্তে টিপ দেখি।কি কঠিন হাত তোর।পা দুটো টনটন করছে।প্রতিমা আড়ালে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন।
প্রতিমা বললেন,কিছু তো বলিনি।তবে গান্ধীবাবার ভাগ্য ঢের ভালো।বলুনন।
এবার দেখতে পেলেন রবীন্দ্রনাথ। বললেন,হাসছ! আমি পুরুষসিংহ ছিলাম দুদিন আগেও।
কেউ আসে না আর!
বা- রে,এই তো এসেছিলেন ওঁরা।
কবে!
পয়লা বৈশাখে আপনার জন্মদিনে!
কবি এখন কানে কম শুনছেন।
রথী এলেন এবার।বললেন,বাবামশাই,অপারেশনের ডেট ঠিক হয়ে গেল।
বিমর্ষ হয়ে গেলেন কবি।
শেষ আশা লুপ্ত হল।
ডক্টর সরকারও রাজী হয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন