পূরবী~ ৪৪
অভিজিৎ চৌধুরী
কোন কিছু ফিরে দেখার সময় নেই।অথচ নীহরিকার দিকে তাকালে মনে হয় সবটাই তো অচেনা রয়ে গেল।যদি আর ফিরে না আসা হয় তবে তো কিছুই হল না
রবীন্দ্রনাথ প্রায় বলতেন,এ কি আত্মখণ্ডন।যা আছে আর যা রইল না তাকে কি করে মেলানো যায়!
তীর্থও তাই ভাবে।আলোকবর্ষে পিছনে যেতে যেতে মানুষ কি তার কৈশোর দেখতে পায়।তার কি পুরোনো অবয়ব আছে,ভাষা আছে একই ভালোবাসা আর দুর্মর আকাঙ্খা রয়েছে!
সেই সমস্ত দিন কঠোর ছিল,অনিশ্চিত ছিল কিন্তু তার নিজস্ব ভাষা ছিল।
ক্রমশ অন্যরা বলে আর তীর্থ নিজের ভাষা বলতে পারে না।
রবীন্দ্রনাথ বরাবরই নিজের ভাষা আর নিজের জীবনটার কাছে কারুর কাছে আত্মসমর্পণ করেননি।জালিয়ানাবাগ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবাদ তো গান্ধীজীর করা উচিৎ ছিল।তিনি করেন নি।
এগিয়ে এলেন রবীন্দ্রনাথ। নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করলেন।সেই রবীন্দ্রনাথ যিনি বরাবর ভেবে এসেছেন,ব্রিটিশরা শোসক হলেও তাঁদের কাছ থেকে গ্রহণও আমাদের অনুচিত কর্ম নয়।
কেন নয়!
ভারতবর্ষের হিন্দু রাজারা কখনও সঙ্ঘবদ্ধ কেন্দ্রীয় শাসন উপহার দিতে পারেননি।মোঘলেরা কেন্দ্রীয় শাসন- ব্যবস্থা চালু করেছিলেন কিন্তু ইউরোপের তুলনায় অনাধুনিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন