শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

কিছু বই কিছু কথা || নীলাঞ্জন কুমার || বজ্রবিদ্যুৎ ঘুড়ি || মৃণালেন্দু দাশ ।

 কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার 



বজ্রবিদ্যুৎ ঘুড়ি । মৃণালেন্দু দাশ । আলো পৃথিবী । ত্রিশ টাকা ।


১৯৮৬ সালের ' অহল্যা কণ্যা আমার ' কাব্যগ্রন্থের পর ২০১৮ সাল অর্থাৎ ৩২ বছরের এক দীর্ঘ ব্যবধানের ফসল মৃণালেন্দু দাশের দ্বিতীয় কাব্য পুস্তিকা 'বজ্রবিদ্যুৎ

ঘুড়ি  ' তে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আরো পরিণত অবস্থান লক্ষ্য করি । 'অহল্যা... ' র ভেতরে সামান্য হলেও যে অমার্জিতের সন্ধান পেয়েছিলাম তা এ কাব্যগ্রন্থে প্রায় নির্মূল । সে কারণে তাঁর বেশিরভাগ পংক্তিতে সন্ধান পাই সেই বিন্দুতে সিন্ধুর , যা তৃপ্তি দেয় । সেই রকম পংক্তি : ' আগুনে পোড়ালে যা,  সে তো কাঠামো এক/  এর বেশি আর কিছু নয়,  / আগুন রহিত তুমি,  অবিনাশী বীজ/  শুধু মাত্র  ধ্বনি ' ( ' আগুন রহিত ') কিংবা  , ' আমার মাথার চারপাশে এত চক্কর মারছে/  বজ্রবিদ্যুৎ ঘুড়ি,  মাটিতে বসে যাচ্ছি/  যেন কর্ণের রথের চাকা- '( ' রথের চাকা ')।

                কবির কবিতার ভেতর তাঁর সত্য সন্ধান    , যৌক্তিকতা  নিয়ে আসে এই পুস্তিকায়  । মাত্র ১৬ পৃষ্ঠার ১২টি কবিতার ভেতরে তা বিশেষভাবেই  ছুঁয়ে যায় ।  কলেবর বেশি হয়নি বলে পুস্তিকাটি টানটান হয়ে উঠেছে। নাহলে ' বজ্রবিদ্যুৎঘুড়ি'র সিরিজমাধুর্য লঙ্ঘিত হতো । 

               তবে বিষয় ও যৌক্তিক দিকটি বিশেষভাবে লক্ষ্য করতে গিয়ে শব্দচয়নের ক্ষেত্রে কোন কোন সময় 

পুস্তিকার চিন্তনের ভারের সঙ্গে মেলেনা । ' যতই লাঠি খেলা হোক , চৌচির বায়ু/  মাথা যাক ফেটে,  নড়ছি না ' - র মতো পংক্তি এ পুস্তিকায়  মানায় না।  ভবিষ্যৎ বলবে তিনি এর থেকে  নিজেকে পরিশিলিত করবেন । অর্কদীপ দাশের প্রচ্ছদে বইটির মেজাজের সমাচার নির্দেশ করে । কবির ভবিষ্যৎ কাব্যগ্রন্থের দিকে তাকিয়ে রইলাম ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...