সৌমিত্র রায়- এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৪২.
উত্তরবঙ্গে দ্বিতীয় সফর জলপাইগুড়ি এবং মালদা।
২৩ আগস্ট ২০০৩ শনিবার দুপুর ৩ টেয় সুভাষমঞ্চ , বাবুপাড়া , জলপাইগুড়ির অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন চামেলী সাহা এবং শৈবাল বসু। তবে আমার যতদূর মনে আছে এই উৎসবের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন অমিতাভ মৈত্র। আমি ভুলও লিখতে পারি । ভুল লিখলে ক্ষমা করে দেবেন। এখন অনুভব করছি সময় অনুযায়ী বা সময়ের দূরত্বের কারণে সত্যেরও বদল হয়ে যায়। একারণে সব সত্যকে কি আমরা আপেক্ষিক সত্য বলতে পারি।
উঠেছিলাম জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে। তাও অমিতাভ -র সৌজন্যে।
আমাদের যে উদ্দেশ্য নিয়ে জলপাইগুড়ি যাওয়া তা সাকসেস হয়েছিল , এটা বলার জন্য কোনো সাক্ষী-সাবুদের প্রয়োজন নেই।
রাত্রিবাস জলপাইগুড়ি।
পরের দিন বাসযাত্রা আমাদের পৌঁছে দিয়েছিল মালদা।
প্রথমেই প্রশান্ত গুহ মজুমদারের বাড়ি বা সরকারি আবাসনে। সেখান থেকে বিনয় সরকার অতিথি আবাসে। মালদা জিলা পরিষদের পরিচালনায় এই গেস্টহাউসের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা চোখে পড়েছিল। অনুষ্ঠান ছিল মালদা কালেকটরেটের সামনে রামকিংকর বেইজ প্রদর্শশালায়। বিকেল সাড়ে ৫ টায়। আয়োজক হিসেবে নাম ছিল অভিষেক, মালদা-র পক্ষে তানিয়া গুহমজুমদার এবং সুখেন্দু দাস-এর।
আমরা কিছুক্ষণ আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম সভাঘরে।
মনে আছে তৃপ্তি সান্ত্রা-কে নিয়ে এসেছিল ওর কন্যা। একটি স্কুটিতে ।ওর মেয়ে তখন স্কুলের শেষ কিংবা কলেজের শুরুতে। আমার হাতে তখন কিছুটা সময় অবশিষ্ট ছিল। আমি তৃপ্তি-র মেয়েকে বলেছিলাম , আমাকে তোমার স্কুটির পেছনে তুলে নাও। একটু ঘুরব। ওর মেয়ে আনন্দের সঙ্গে আমাকে পেছনে বসিয়ে মিনিট ১৫ -র একটা ট্রিপ , সেই ঘটনাটা এখনো মনে আছে। কে গান গেয়েছিল তা মনে নেই। আদৌ শুরুর গান ছিল কিনা সেটাও মনে নাই ৷
প্রশান্ত গুহমজুমদার পরিবেশিত তথ্য অনুযায়ী মুরারি সিংহ গৌরাঙ্গ মিত্র যূথিকা এবং আমি কলকাতা থেকে গিয়েছিলাম।
তৃপ্তি সান্ত্রা পলাশ গঙ্গোপাধ্যায় রাজীব সিংহ সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিল।
প্রশান্ত আরো জানিয়ে আমি দীর্ঘ সময় ধরে এই ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানকে ৫০ টি প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম কেন , তা ব্যাখ্যা করেছিলাম।
রাতেই ফেরার বাস ধরেছিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন