সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৩৩.
তৃতীয় বিন্দু ছিল দশঘরায়। হুগলি। একদিকে তারকেশ্বর , অন্যদিক গুড়াপ। দুটি রেলস্টেশন দিয়ে যুক্ত ছিল দশঘরা। উদ্যোক্তা ' তোড়া ' পত্রিকা। আহ্বায়ক : ড: গদাধর দাস। দশঘরা মানেই সেই নাচঘর বা নাচমহল। সামন্ততান্ত্রিক আমি দশঘরা শুনলেই নেচে উঠি। তবে এই ফাঁকে একটা সত্যকথা জানিয়ে রাখতে চাই : আমরা যতই ডাক্তার গদাধর দাশের কথা গলা উঁচু করে বলি না কেন , দশঘরার মূল দায়িত্ব পালন করত আফজল আলি। আমার এমনটাই মনে হয়েছে।আর নেপথ্যে আফজল-পত্নী ফরিদা-র সমর্থন। পরিশ্রম।আপ্যায়ন ইত্যাদি অনেকগুলি শব্দ।আর ছিল জুলফিকর এবং আজেহারের সহযোগিতা। ৭ জুন ২০০৩-এর পর
চতুর্থ অনুষ্ঠান তারকেশ্বরে ৮ জুন সকাল ৯টায় ।৭ জুন রাত্রিযাপনটা হারিয়ে যাচ্ছে কেন ? মনে হচ্ছে তারকেশ্বরে একটা সরকারি বাংলোর ব্যবস্থা করেছিল আফজল।
অনুষ্ঠানটি হয়েছিল তারকেশ্বর মেটারনিটি অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টারে। আয়োজক ছিল 'আমি আর লীনা হেঁটে চলেছি ' পত্রিকার কয়েকজন নবীন তথা প্রাণবন্ত কিশোর । কবিতার প্রতি ভালোবাসা - দায়িত্ববোধ ওদের কাছে শিক্ষণীয় , মনে হয়েছিল আমার।
তারকেশ্বরের একটা কথা আমি কোনোদিন ভুলতে পারবো না। কবিতাপাঠ ইত্যাদি চলছিল। হঠাৎ আমাকে কবিতার কথা বলতে বলা হল। আমার সেদিনের বলা ছিল , যা জানতাম , যা স্বপ্ন দেখতাম , তার সবটুকুই বলেছিলাম। এমনকী পোস্টমডার্ন কবিতা এবং সময়কালকে আমি আমার মতো করে বিশ্লেষণ করেছিলাম।
যখন শেষ করলাম , তখন বোঝা গেল এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট বলেছিল। আমার জীবনের দীর্ঘতম বলা।
আমি বলেছিলাম : থামিয়ে দাওনি কেন !
উত্তর ছিল : শুনতে ভালো লাগছিল যে !
এর কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবার ক্ষমতা আমার নেই।
এরপর ছিল ভোজনপর্ব। টুপি খুলে অভিবাদন জানাই ' আমি আর লীনা হেঁটে চলেছি '- র তরুণদের।
আগের তালিকায় শিবপুর -এর নাম ছিল না। আরো একটা কথা শিবপুর মানে অনেকের কাছে যেমন বোটানিক্যাল গার্ডেন আর আমার কাছে শিবপুর মানে গৌতমকুমার দে এবং প্রো রে না টা পত্রিকাগোষ্ঠী। পঞ্চম পয়েন্টটি হয়েছিল ১৪ জুন , বিকেল ৫ টায় , ১৮৫ , ১৮৬/৪ শিবপুর রোড , ফ্ল্যাট ২০৩। এই ঘরোয়া পরিবেশে কিছু জরুরি কথাবার্তা হয়েছিল, যাতে আমরা সমৃদ্ধ হয়েছিলাম।
পরের দিন ১৫ জুন , রবিবার ।অনুষ্ঠান হয়েছিল শ্রীরামপুরের ৪৫-বি , চাতরা দত্ত পাড়া লেনে । আহ্বায়ক বুদ্ধদেব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্রীরামপুর আমাদের খুব পরিচিত জায়গা। কবিদের শহর। এই অনুষ্ঠানও আমার কাছে গৌরবের।
আগামীকাল লিখবো মুর্শিদাবাদ জেলার অনুষ্ঠান গুলির প্রথম পর্বের কথা।
প্রভাত চৌধুরী
১৩৩.
তৃতীয় বিন্দু ছিল দশঘরায়। হুগলি। একদিকে তারকেশ্বর , অন্যদিক গুড়াপ। দুটি রেলস্টেশন দিয়ে যুক্ত ছিল দশঘরা। উদ্যোক্তা ' তোড়া ' পত্রিকা। আহ্বায়ক : ড: গদাধর দাস। দশঘরা মানেই সেই নাচঘর বা নাচমহল। সামন্ততান্ত্রিক আমি দশঘরা শুনলেই নেচে উঠি। তবে এই ফাঁকে একটা সত্যকথা জানিয়ে রাখতে চাই : আমরা যতই ডাক্তার গদাধর দাশের কথা গলা উঁচু করে বলি না কেন , দশঘরার মূল দায়িত্ব পালন করত আফজল আলি। আমার এমনটাই মনে হয়েছে।আর নেপথ্যে আফজল-পত্নী ফরিদা-র সমর্থন। পরিশ্রম।আপ্যায়ন ইত্যাদি অনেকগুলি শব্দ।আর ছিল জুলফিকর এবং আজেহারের সহযোগিতা। ৭ জুন ২০০৩-এর পর
চতুর্থ অনুষ্ঠান তারকেশ্বরে ৮ জুন সকাল ৯টায় ।৭ জুন রাত্রিযাপনটা হারিয়ে যাচ্ছে কেন ? মনে হচ্ছে তারকেশ্বরে একটা সরকারি বাংলোর ব্যবস্থা করেছিল আফজল।
অনুষ্ঠানটি হয়েছিল তারকেশ্বর মেটারনিটি অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টারে। আয়োজক ছিল 'আমি আর লীনা হেঁটে চলেছি ' পত্রিকার কয়েকজন নবীন তথা প্রাণবন্ত কিশোর । কবিতার প্রতি ভালোবাসা - দায়িত্ববোধ ওদের কাছে শিক্ষণীয় , মনে হয়েছিল আমার।
তারকেশ্বরের একটা কথা আমি কোনোদিন ভুলতে পারবো না। কবিতাপাঠ ইত্যাদি চলছিল। হঠাৎ আমাকে কবিতার কথা বলতে বলা হল। আমার সেদিনের বলা ছিল , যা জানতাম , যা স্বপ্ন দেখতাম , তার সবটুকুই বলেছিলাম। এমনকী পোস্টমডার্ন কবিতা এবং সময়কালকে আমি আমার মতো করে বিশ্লেষণ করেছিলাম।
যখন শেষ করলাম , তখন বোঝা গেল এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট বলেছিল। আমার জীবনের দীর্ঘতম বলা।
আমি বলেছিলাম : থামিয়ে দাওনি কেন !
উত্তর ছিল : শুনতে ভালো লাগছিল যে !
এর কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবার ক্ষমতা আমার নেই।
এরপর ছিল ভোজনপর্ব। টুপি খুলে অভিবাদন জানাই ' আমি আর লীনা হেঁটে চলেছি '- র তরুণদের।
আগের তালিকায় শিবপুর -এর নাম ছিল না। আরো একটা কথা শিবপুর মানে অনেকের কাছে যেমন বোটানিক্যাল গার্ডেন আর আমার কাছে শিবপুর মানে গৌতমকুমার দে এবং প্রো রে না টা পত্রিকাগোষ্ঠী। পঞ্চম পয়েন্টটি হয়েছিল ১৪ জুন , বিকেল ৫ টায় , ১৮৫ , ১৮৬/৪ শিবপুর রোড , ফ্ল্যাট ২০৩। এই ঘরোয়া পরিবেশে কিছু জরুরি কথাবার্তা হয়েছিল, যাতে আমরা সমৃদ্ধ হয়েছিলাম।
পরের দিন ১৫ জুন , রবিবার ।অনুষ্ঠান হয়েছিল শ্রীরামপুরের ৪৫-বি , চাতরা দত্ত পাড়া লেনে । আহ্বায়ক বুদ্ধদেব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্রীরামপুর আমাদের খুব পরিচিত জায়গা। কবিদের শহর। এই অনুষ্ঠানও আমার কাছে গৌরবের।
আগামীকাল লিখবো মুর্শিদাবাদ জেলার অনুষ্ঠান গুলির প্রথম পর্বের কথা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন