শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য ১৪৪ || প্রভাত চৌধুরী || ধারাবাহিক গদ্য

সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য

প্রভাত চৌধুরী



১৪৪.

কলকাতা এবং শহরতলি পর্বে যে-কটি অনুষ্ঠান হয়েছিল তার বিবরণ লিপিবদ্ধ রাখছি ।

১৩ জুলাই ২০০৩ , রবিবার দুপুর তিনটেয় দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে আমরা পরমানন্দে ১০ বর্ষ পূর্তি পালন করেছিলাম। ৩৫ কাষ্ঠডাঙা রোড , শিবরামপুর , সরশুনা। আয়োজক  : দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় সবিতা চট্টোপাধ্যায় বিশাল ভদ্র, কানাকড়ি।

ওই অনুষ্ঠানে যার উপস্থিতি এখনো মনে আছে , সেটি হল একটি গৃহপালিত কোকিল।

অনেক কিছুই স্মৃতি  থেকে মুছে গেছে তথা যাচ্ছে । তবে যতটুকু এখনো মনে আছে সেগুলিকে একত্রে গুছিয়ে রাখতে চেষ্টা করছি।

১৬ জুলাই  ২০০৩ বুধবার সন্ধে ৬ টায় বিশাল ভদ্র-র কানাকড়ি পত্রিকার উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি সভাঘরে। এবং এটা বলা বাহুল্য যে আমাদের পরিবারের সকলেই অংশগ্রহণ করেছিল।

২ আগস্ট দক্ষিণেশ্বরের অনুষ্ঠানের কথা আগেই লিখেছি। সেই লেখায় একটা সংশোধন জরুরি।ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন ড: মণিকুন্তলা দে , লেডিস ক্লাব, আড়িয়াদহ।

এই সুযোগে আরো একটা সংযোজন করতে চাইছি।

২৭ জুলাই বাঁকুড়ার অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন অনিন্দ্য রায় সত্যজিৎ সেন গৌতমকুমার মল্লিক এবং বিকাশরঞ্জন ভূঁই।

সংশোধন পর্বের পর আবার ফিরে আসি অনুষ্ঠানে।

৩ আগস্ট ২০০৩ রবিবার  বিকেল ৩ টেয় যে ঘরোয়া অনুষ্ঠানটি হয়েছিল সেটি জয়দীপ চক্রবর্তীর বাড়িতে। আয়োজক হিসেবে নাম ছিল জয়দীপ এবং সুমি চক্রবর্তীর। এই অনুষ্ঠানের কথা আগেই লেখা হয়ে গেছে।

৩০ আগস্ট  ২০০৩  বিকেল ৪টেয় আমাদের আরো একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠান ছিল গড়িয়া স্টেশন রোডের বিজলি অ্যাপার্টমেন্টে। আয়োজক ছিলেন গোপাল আচার্য।

আমাদের কবিতাপাক্ষিক পরিবারের সিনিয়র মোস্ট। এবং পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্য। অবিবাহিত ।কাজের মানুষ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজকর্ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। এক সময় সিনেমা-শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কলকাতায় এখনো গোপাল আচার্য-র তৈরি বাড়ি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

কবিতাকে ভালোবেসে কবিতাপাক্ষিকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। যতটা সম্ভব সমস্ত রকম কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত থাকতেন সাধ্য মতো।আর কবিতাকে আপডেট করাটাকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করতেন। ওঁনার কবিতার ভেতর কারো কোনো ছায়াও দেখা যায়নি। সম্পূর্ণ নিজের মতো লিখতেন। কবিতাপাক্ষিক ছাড়া অন্য কোনো পত্রিকাতে লেখা দেননি কখনো। আমাদের কবিতা উৎসবের কথা প্রসঙ্গে গোপাল আচার্য-র কথা লেখার সুযোগ পেলাম , এজন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।

উৎসব তার নিজস্ব মেজাজে এগিয়ে চলছিল। আমরা প্রস্তুত হচ্ছিলাম কলকাতার কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানটির জন্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...